কাশ্মীরের শ্রীনগরে একটি ওষুধের দোকান চালানো রশীধ আলী বলেন ‘পুরো উপত্যকা এখন একটি কারাগারের মতো’। তবে ‘বাধা নিষেধ উঠে গেলেই মানুষ রাস্তায় নামবে’ বলে মনে করেন তিনি।
বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, বিশ্মের অন্যতম সামরিক অঞ্চল কাশ্মীরে এখন হাজার হাজার অতিরিক্ত সেনা রাস্তায় অবস্থান করছে। সেখানকার মার্কেট, স্কুল কলেজ সবকিছু বন্ধ এবং চারজনের বেশি লোকের কোথাও সমবেত হওয়া নিষিদ্ধ, এমনকি স্থানীয় নেতারাও আটক হয়ে আছেন।
জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা অবলুপ্তি এবং এটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের কয়েকদিন পরে বড় ধরণের প্রতিবাদ হতে পারে আশঙ্কা থেকেই এমন সব ব্যবস্থা নিয়েছে ভারত সরকার।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সংসদে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সমাপ্ত করার একটি প্রস্তাব পাস করেছে। ওই রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল: জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে বিভক্ত করার একটি বিলও পাস করানো হয়েছে।
বিশেষ মর্যাদা বাতিলের আগে সম্পদের মালিকানা ও মৌলিক অধিকারের বিষয়ে নিজেরাই নীতি প্রণয়ন করতে পারতো কাশ্মীরিরা। এমনকি রাজ্যের বাইরের কারও সেখানে জমি কেনাও নিষিদ্ধ ছিলো।
পাশাপাশি, নিজেদের সংবিধান, আলাদা পতাকা ও আইন প্রণয়নের স্বাধীনতা ছিলোও তাদের। শুধু পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও যোগাযোগ ছিলো কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে।
কাশ্মীরিরা মনে করছে বিশেষ মর্যাদা বাতিলের মাধ্যমে হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপি সরকার কাশ্মীরের বাইরের মানুষদের সেখানে জমি কেনার অধিকার দিয়ে সেখানকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যার বৈশিষ্ট্যকেই পাল্টে দিতে চায়।