ইউএন নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জেনেভায় নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন এখন তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে রয়েছে এবং আমরা সবাই আশা করি যে তার মধ্যেই কিছু কার্যকর ভ্যাকসিন আছে যা মানুষকে করোনা সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।’
তবে, এ মুহূর্তে কোনো ‘জাদুর কাঠি’ নেই এবং তা হয়ত কখনও পাওয়া যাবেও না, বলেন টেড্রোস।
তিনি বলেন, ‘জনগণ ও সরকারকে দেয়া প্রতিটি বার্তা স্পষ্ট। এগুলো অনুসরণ করুন এবং কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তা মেনে চলুন।’
ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক সব দেশের সব জাতিকে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখ, হাত ধোয়া এবং করোনা পরীক্ষাসহ স্বাস্থ্যবিধিগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আপাতত, করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়গুলো এখন জনস্বাস্থ্য এবং রোগ নিয়ন্ত্রণের মূল বিষয়ে নেমে এসেছে। রোগীদের পরীক্ষা করা, আইসোলেশনে রাখা, চিকিৎসাসেবা দেয়া এবং আক্রান্তদের চিহ্নিত করা ও আলাদা করার ব্যবস্থা করতে হবে। এগুলোর সবই করতে হবে।’
‘সম্প্রদায়গুলোকে এ বিষয়ে অবহিত করুন, ক্ষমতায়িত করুন এবং তাদের কথা শুনুন। যার সবগুলোই করতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
কোভিড-১৯ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি কমিটির শুক্রবারের বৈঠকে বর্তমান করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিকে ‘বিস্ময়কর মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেন এর প্রধান টেড্রোস।
তিনি বলেন, তিন মাস আগে কমিটি যখন জেনেভাতে সভা করেছিল তখন ৩০ লাখ কোভিড-১৯ আক্রান্ত ছিল এবং দুই লাখেও বেশি লোকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। তারপর থেকে এখন আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ গুণ বেড়ে এক কোটি ৭৫ লাখে দাঁড়িয়েছে এবং মৃত্যুর সংখ্যা তিনগুণের চেয়ে বেশি বেড়ে হয়েছে ৬ লাখ ৮০ হাজার।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে এক দিনে আরও ৩০ জন মারা যাওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১৮৪ জনে। এছাড়া, এ দিন ১৩৫৬ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৪২ হাজার ১০২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে সোমবার দেয়া তথ্যে দেখা যায়, করোনা শনাক্তের জন্য গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪ হাজার ২৩৮টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ৪ হাজার ২৪৯টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩১.৯১ শতাংশ। মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০.২১ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৩২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩০ জনের মধ্যে পুরুষ ২৫ এবং নারী পাঁচজন।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১০৬৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৯০৫ জন। সুস্থতার হার ৫৬.৯৬ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।