গাজায় যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ী করে ইসরায়েল ও হামাসের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের আবেদন জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম খান। তার ওই আবেদনে সমর্থন দিয়েছে ফ্রান্স ও বেলজিয়াম।
সোমবার করিম খানের করা ওই আবেদনের প্রতি সংহতি জানিয়ে পৃথক দুটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে ইউরোপের এই দুই দেশ।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োভ গালান্ট এবং হামাসের ৩ শীর্ষ নেতা- ইয়াহিয়া সিনওয়ার, মোহাম্মদ দাইফ ও ইসমাইল হানিয়া রয়েছেন করিম খানের তালিকায়।
আরও পড়ুন: যুদ্ধাপরাধে ইসরায়েল ও হামাসের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের আবেদন
সোমবার রাতে প্রকাশিত ফ্রান্সির বিবৃতি বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, এর স্বাধীনতা ও সব পরিস্থিতিতে দায়মুক্তির বিরুদ্ধে লড়াইকে সমর্থন করে ফ্রান্স।’
অন্যদিকে, বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাবিব লাহবিব এক্সে একটি বিবৃতি শেয়ার করে লেখেন, ‘অপরাধী নির্বিশেষে গাজায় সংঘটিত অপরাধের জন্য অবশ্যই সর্বোচ্চ পর্যায়ে তাদের বিচার করা উচিত।’
খানের এই পদক্ষেপকে ‘লজ্জাজনক ও ইহুদিবিরোধী’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন ইসরায়েলি নেতারা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও কৌঁসুলির এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ‘হামাসের আক্রমণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার’কে সমর্থন দিয়েছেন।
এ অভিযোগকে ‘অসম্মানজনক’ এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও গোটা ইসরায়েলের ওপর আক্রমণ বলে অভিহিত করেছেন নেতানিয়াহু। সেইসঙ্গে হামাসের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানি প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার আশঙ্কা
নেতানিয়াহু ও গালান্টকে গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা একান্তই ‘আক্রোশজনক’ বলে অভিহিত করেছেন বাইডেন। তিনি বলেছেন, ‘এই প্রসিকিউটর (কৌঁসুলি) যা-ই বোঝানোর চেষ্টা করুন না কেন, হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের তুলনা হতে পারে না।’
অন্যদিকে, হামাসের পক্ষ থেকেও আইসিসির ওই প্রসিকিউটরের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানানো হয়েছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামাস নেতাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি ‘ভুক্তভোগীকেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া’র মতো।