দ্য ল্যানসেট ইনফেকশিয়াস ডিজিজেজ জার্নালে প্রকাশিত প্রাথমিক ও মধ্য-পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের প্রাপ্ত ফলাফল অনুসারে এ তথ্য জানা গেছে।
গবেষণায় দেখা যায়, ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের পর যাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে তা কোভিড থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের চেয়ে কম। কিন্তু ওই ভ্যাকসিন থেকে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তা করোনাভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
‘করোনা ভ্যাক’ নামের এই ভ্যাকসিনটি প্রস্তুত করেছে চীনের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিনোভাক বায়োটেক।
ভ্যাকসিনটি ফেজ-১ এবং ফেজ-২ এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সাত শতাধিক সুস্থ মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছিল, যাদের বয়স ১৮ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে।
গবেষনার অন্যতম অংশীদার ঝু ফেংচাই বলেন, ভ্যকসিনটি ১৪ দিন ব্যবধানে ২টি ডোজ প্রয়োগ করা হয়েছিল। যাদের শরীরে ভ্যকসিন দেয়া হয়েছে, তাদের শরীরে কার্যকর হয়েছে এবং এই ভ্যাকসিনটি মহামারি প্রতিরোধ করতে সক্ষম প্রমাণিত হয়েছে।
তবে ভ্যাকসিন দেওয়ার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের প্রতিক্রিয়ার সময়কাল যাচাই করার জন্য আরও গবেষণা করা দরকার, বলেন তিনি।
ঝু আরও জানান, ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা আরও জানার জন্য, যাদের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছিল, তাদের শরীরে তৃতীয় পর্যায়ের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে।