গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউজ প্রেস সেক্রেটারি ক্যালিগ ম্যাকইনেনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘হুম, প্রেসিডেন্টের প্রতিবারের পরীক্ষার সময়সহ বিস্তারিত তথ্য আপনাদের দিচ্ছি না আমি।’
একই সুর দেখিয়ে হোয়াইট হাউজের কৌশলগত যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক অ্যালিসা ফারাহ বলেন, ‘এটা আমি এখন প্রকাশ করতে পারব না। চিকিৎসকরা এটি ব্যক্তিগত (গোপন) রাখতে চান।’
‘আমি পেছনে ফিরে তাকাতে চাই না,’ বলেন প্রেসিডেন্টের চিকিৎসক ডা. শন কনলি।
যদি এ প্রশ্নটির উত্তর পাওয়া যেত তাহলে প্রেসিডেন্টের অসুস্থ হওয়ার সময়ক্রম জানার পাশাপাশি তিনি কখন সংক্রমিত হয়েছেন এবং কাদের সংস্পর্শে গেছেন সে সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিস্তারিত তথ্য মিলত।
হার্ভার্ডের স্কুল অব পাবলিক হেলথের মহামারিবিদ্যার অধ্যাপক মাইকেল জোসেফ মিনা বলেন, ‘এ মুহূর্তে এটা খুব অদ্ভুত যে তারা আমাদের তথ্যটি দিতে অনিচ্ছুক। এর ফলে মানুষ মনে করতে শুরু করবে না যে প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে কি অধিক হারে (ভাইরাসটি) ছড়িয়েছে?...যদি কোনো অসাধু কাজ না হয়ে থাকে তাহলে তাদের এ প্রশ্নের উত্তর দেয়াতে তো কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না।’
প্রেসিডেন্ট থেকে আর কেউ ভাইরাসটির সংস্পর্শে এসেছেন কি না তা শনাক্ত করার জন্যও এ তথ্যটি গুরুত্বপূর্ণ। যার ফলে ওইসব ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে নতুন গুচ্ছ সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হবে।