কয়েক দশকের মধ্যে তুরস্কের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াইয়ের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর কিলিচদারুগ্লু পর্যাপ্ত ভোট পাননি। ফলে তাদেরকে আবারো লড়াইয়ে অবতীর্ণ হওয়া লাগতে পারে।
রবিবার দেশটিতে ভোটগ্রহণ শেষে প্রায় সমস্ত ভোট গণনা করার পর তুরস্কের সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিল বলেছে যে এরদোগান ৪৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগ্লু ৪৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এরদোগান কিলিচদারোগ্লু প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য যথেষ্ট ভোট না পাওয়ায় দেশটির নির্বাচনী নিয়মানুযায়ী দুই সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় পর্বের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনের পর এরদোয়ান আঙ্কারায় তার একে পার্টির সমর্থকদের বলেছেন যে তিনি প্রয়োজনে দ্বিতীয় পর্বের ভোটের জন্য প্রস্তুত, তবে বিশ্বাস করেন যে তিনি এখনও সরাসরি জয়লাভ করতে পারবেন।
এদিকে কিলিচদারোগ্লু দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার অঙ্গীকার করে বলেছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী জনগণের কাছ থেকে আস্থার ভোট পেতে ব্যর্থ হয়েছেন।
দেশটিতে বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির পটভূমিতে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।
তুরস্কে ভূমিকম্পের ২৯৬ ঘণ্টা পর দম্পতি জীবিত উদ্ধার, মারা গেছে তাদের সন্তান
একে পার্টির জোট প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫০ শতাংশের অধিক ভোট না পেলেও পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ছয় কোটি ৪০ লাখ তুর্কি এই নির্বাচনে তাদের ভোট দেওয়ার যোগ্য ছিল। তবে এবারে তাদের মধ্যে ৫০ লাখ প্রথমবারের ভোটার ছিল, যাদের বয়স ১৮ থেকে ২২ -এর মধ্যে।
এরদোয়ান এবং তার একে পার্টি ২০০২ সাল থেকে দেশ শাসন করে আসছে। তাই তরুণ ভোটাররা তাদের জীবদ্দশায় ক্ষমতায় থাকা অন্য কোনো দল সম্পর্কে জানেন না।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্প: নিহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়াল, তুরস্কে ঠিকাদার আটক
২০০২ সালের আগের দশকে তুরস্ক জোট সরকার দ্বারা শাসিত হয়েছিল। যা প্রতি দুই থেকে তিন বছর পর পর নির্বাচনের মাধ্যমে পরিবর্তনের প্রবণতা ছিল।
তুর্কি ভোটাররা শুধু নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতেই ভোট দেয়নি, বরং তারা পার্লামেন্টের ৬০০ আসন পূরণের জন্যও ভোট দিয়েছে।
এরদোয়ানের একে পার্টি (একেপি) সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে, কিন্তু দলটির নেতা ভালো করতে পারেনি।
২০০২ সালে একে পার্টি ৩৬৩টি আসন জিতেছিল। তারপর থেকে, প্রতিটি নির্বাচনে তাদের সংখ্যা কমে গেলেও, দলটি কখনও ৩০০ -এর কম আসন পায়নি।
২০১৮ সালের নির্বাচনে এই সংখ্যাটি ২৯৫-এ নেমে এসেছে। কিন্তু জোটগতভাবে তাদের প্রাপ্ত আসন ছিল ৩৪৪টি।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক খাসোগি হত্যাকাণ্ডের অডিও টেপ শুনেছে সৌদিসহ অন্যরা: এরদোগান