মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, মালয়েশীয় মন্ত্রিপরিষদ মনে করছে তেরেঙ্গানু প্রদেশে ওই নারীরা যা করেছিলেন তা ছিল তাদের প্রথম অপরাধ। প্রথমে তাদেরকে উপদেশ দেয়া বেশি উপযুক্ত ছিল। কিন্তু তাদেরকে প্রথমেই বেত্রাঘাতের শাস্তি দেয়া উচিৎ হয়নি।
মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরকম বিচারের ঘটনায় ইসলাম ধর্মে একটি খারাপ ছাপ পড়েছে।
পেতালিং জয়া থেকে স্টার অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুকে পেজে এক ভিডিওতে মাহাথির বলেন, ‘এ কারণেই আমরা মনে করি যে, এরকম ঘটনা ঘটলে সেটি সুনির্দিষ্ট অবস্থার প্রেক্ষিতে বিবেচনা করা উচিৎ। যেখানে ইসলাম কঠোরতার পথ দেখায় না। ইসলামের অধীনে আমরা হালকা শাস্তি দিতে পারি এবং পরামর্শ ও আরো অনেক কিছু দিতে পারি।
ড. মাহাথির উল্লেখ করেন, ‘এটি প্রদর্শন করা গুরুত্বপূর্ণ যে ইসলাম কোনো কঠোর ধর্ম নয়। মানুষকে অপমানজনক এমন কঠোর শাস্তির পথ দেখায় না ইসলাম। সেজন্য মন্ত্রিপরিষদের মতামত হচ্ছে এবং আমরা আশা করি ইসলাম ধর্মের বিষয়ে আমাদের আরো সতর্ক হতে হবে। ইসলাম যে সমঝোতা ও বিবেচনার ভিত্তিতে কাজ করে সেটা প্রদর্শন করতে হবে।’
‘এমনকি আমরা যখন কোনো কাজ শুরু করে তখন মহান আল্লাহর নামে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ বলে শুরু করি,’বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত সোমবার মালয়েশিয়ায় একটি গাড়ির মধ্যে সমকামিতা করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত দুই নারীকে একটি ধর্মীয় আদালতে ছয়বার করে বেত্রাঘাত করা হয়। এই শাস্তির ঘটনা রাজনৈতিক ও সিভিল সোসাইটি গ্রুপগুলো দ্বারা ব্যাপক সমালোচিত হয়।