দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্ব উপকূলীয় একটি শহরের কিছু অংশ দাবানলে পুড়ে গেছে। এতে কয়েক ডজন ঘরবাড়ি ধ্বংস করে। প্রবল বাতাসের কারণে কয়েকশ নাগরিক দাবানল থেকে বাঁচতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার শহরটিতে দাবানল ছড়িয়ে পড়ে।
গ্যাংওয়ান প্রদেশের গভর্নর কিম জিন-তাই এবং স্বরাষ্ট্র ও নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের মতে, গ্যাংনিউং-এর কেন্দ্রীয় অংশে একটি পাহাড়ে শুরু হওয়া আগুন নেভাতে ৭০০ -এর বেশি দমকলকর্মী এবং ৩০০টি যানবাহন পাঠানো হয়েছে।
আগুনে কমপক্ষে ৪৪টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং ৩০০ জনেরও বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আশ্রয়স্থল গুলোর মধ্যে আইস-স্কেটিং এলাকা এবং একটি মিডল স্কুল জিম রয়েছে।
আরও পড়ুন: ক্যালিফোর্নিয়ায় ৭,৮৬০ দাবানলে এ বছর পুড়েছে ৩৪ লাখ একর বনভূমি
মন্ত্রণালয়ের মতে, আহত বা মৃত্যুর কোনো তাৎক্ষণিক খবর পাওয়া যায়নি।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকল কর্মীদের কতক্ষণ সময় লাগবে তা তাৎক্ষণিকভাবে বলা যায়নি। কারণ প্রবল বাতাসের কারণে বিমান ব্যবহার করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
কিম একটি টেলিভিশন ব্রিফিংয়ে বলেন যে দমকলকর্মীরা গ্যাংনিউংয়ের আরও জনবহুল অঞ্চলে আগুন ছড়িয়ে পড়া রোধ করার দিকে মনোনিবেশ করার সময় বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।
দাবানলের ছবিগুলোতে দেখা যায় দমকলকর্মীরা ঘরবাড়ি এবং বিল্ডিংগুলোর দিকে পানি ছিটাচ্ছে এবং বড়, কমলা অগ্নিশিখাগুলো সমুদ্রতীরবর্তী একটি রিসর্ট হোটেলের কাছে একটি পাইন বনকে গ্রাস করছে৷
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল দাবানল দ্রুত নিভিয়ে ফেলার জন্য এবং প্রাণহানি এড়াতে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের ‘সব সহজলভ্য সরঞ্জাম ও কর্মী’ মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: গ্রিসের ১০ হাজার একরের বনাঞ্চল দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত