ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলের একটি আগ্নেয়গিরি অল্প সময়ের জন্য সক্রিয় হয়েছিল। এর ফলে আকাশে চার কিলোমিটার (২.৪ মাইল) উঁচু ছাই এবং ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ে।
কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) আগ্নেয়গিরিটির অগ্ন্যুৎপাতের ছাই ছড়িয়ে পড়লে কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত নিকটবর্তী চারটি গ্রামের স্কুলের ক্লাস বাতিল করেছে।
ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজির তথ্য অনুযায়ী, কানলাওন পর্বতের অগ্ন্যুৎপাত এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে। ছাই নেগ্রোস দ্বীপের আগ্নেয়গিরির দক্ষিণ-পশ্চিমে কমপক্ষে চারটি কৃষি গ্রামে পৌঁছেছিল। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে ডিসেম্বরে আগ্নেয়গিরিটিতে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে হাজার হাজার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সিভিল ডিফেন্স অফিস জানিয়েছে, বাস্তুচ্যুত বাসিন্দাদের অনেকেই আজ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। কারণ, কানলাওন যেকোনো সময় সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে—এমন লক্ষণ প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি মেরাপিতে অগ্ন্যুৎপাত
ফিলিপাইনের প্রধান আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ তেরেসিতো বাকোলকোল অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, আগ্নেয়গিরির ভূমিকম্প বৃদ্ধির মতো উচ্চতর আগ্নেয়গিরির ক্রিয়াকলাপের কোনো উল্লেখযোগ্য নতুন সূচক নেই। এজন্য সতর্কতার বর্তমান স্তর ৩ থেকে বাড়ানোর প্রয়োজন হবে—যা ‘উচ্চ স্তরের আগ্নেয়গিরির অস্থিরতা’ নির্দেশ করে। সর্বোচ্চ সতর্কতা স্তর ৫ সংকেতটি তখনি দেওয়া হয়—যখন একটি ‘বিপজ্জনক অগ্ন্যুৎপাত হয়’।
জনগণকে সতর্ক থাকতে এবং আগ্নেয়গিরির চারপাশে ৬ কিলোমিটার (৩.৭ মাইল) স্থায়ী বিপদজনক অঞ্চল এড়াতে পরামর্শ দিয়ে বেকোলকোল বলেন, ‘বড় অগ্ন্যুৎপাতের সম্ভাবনা সবসময়ই থাকে।’
মাউন্ট কানলাওন ২ হাজার ৪৩৫ মিটার (৭৯৮৮ ফুট) লম্বা এবং ফিলিপাইনের ২৪টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির মধ্যে একটি।
কর্মকর্তারা স্মরণ করেন যে, ১৯৯৬ সালে চূড়ার কাছে অপ্রত্যাশিত অগ্ন্যুৎপাতের পর তিনজন পর্বতারোহী মারা যান এবং বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়।
ফিলিপাইন প্রশান্ত মহাসাগরের 'রিং অব ফায়ার' বরাবর অবস্থিত। এর ফলে ঘন ঘন ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের জন্য পরিচিত দেশটি। ফিলিপাইনে বছরে প্রায় ২০টি টাইফুন এবং ঝড়ের কবলে পড়ে। আর একারণে এটি সারা বিশ্বের মধ্যে একটি অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চল।