ফিলিপাইন
ফিলিপাইনের ভিগান ভ্রমণ গাইড : ঘুরে আসুন ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান
অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি গোটা বিশ্বে এশিয়ার দেশগুলোর ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিরও রয়েছে ব্যাপক সমাদর। তারমধ্যে সবচেয়ে ব্যতিক্রমী সংস্কৃতির ভূখণ্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফিলিপাইন। জাঁকজমক শহর থেকে শান্ত দ্বীপ পর্যন্ত বিচিত্রতার সঙ্গে এখানে এমন এক ভিন্নতা রয়েছে, যার সঙ্গে এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর কদাচিৎ সাদৃশ্য মেলে। পশ্চিম ফিলিপাইন সাগরের কোলঘেঁসে দেশের বৃহত্তম দ্বীপ লুজোনের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত ভিগান ঠিক তেমনি একটি শহর। প্রায় ৩ শতাব্দি পূর্ব স্প্যানিশ শিল্পকলা ও ঔপনিবেশিক স্থাপত্য এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে এই দ্বীপ নগরীতে। চলুন, ফিলিপাইন্সের সাগর পাড়ের ছবির মতো শহর ভিগানের সেরা পর্যটন আকর্ষণগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
ভিগান শহরের বিশেষত্ব
ফিলিপাইনের ইলোকোস সুর প্রদেশের এই রাজধানী দেশের অবশিষ্ট স্প্যানিশ ঔপনিবেশিক শহরগুলোর মধ্যে একটি, যার পুরোনো অবকাঠামোগুলোর বেশিরভাগই অক্ষত আছে। এর পায়ে হাঁটা পথ থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি স্থাপনায় স্পষ্ট চোখে পড়ে স্প্যানিশ ঔপনিবেশিক যুগের অনন্য স্থাপত্যশৈলী। ইউনেস্কো প্রথমে নগরীটিকে তাদের বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষণা করে। পরবর্তীতে এটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী শহর হিসেবেও স্বীকৃতি পায়। ২০১৫ সালের মে মাসে ভিগানকে নিউ ৭ ওয়ান্ডার সিটিগুলোর মধ্যে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল।
ভিগান শহরের জনপ্রিয় কয়েকটি দর্শনীয় স্থান
.
কালি ক্রিসলগো
স্প্যানিশ শৈলীর চিহ্নগুলো সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ভিগানের মেস্টিজোতে, যার প্রাণকেন্দ্র এই কালি ক্রিসলগো। এখানকার বাড়িগুলো মূলত ১৭ শতকের ফিলিপিনো-চীনা ব্যবসায়ীদের পরিবারের। সারিবদ্ধ মুচির এই রাস্তাগুলোর ওপর দিয়েই বিপণী হতো সেই সময়কার বিখ্যাত অ্যাবেল কাপড়, সোনা ও তামাকের।
আরো পড়ুন: দার্জিলিংয়ের টংলু ও সান্দাকফু যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
ঘরগুলোর ছাদের লাল টাইলস, অত্যধিক মোটা দেয়াল, বৃহদাকৃতির দরজা, সিঁড়ির ধাপ, উঁচু সিলিং এবং জানালা পর্যন্ত স্লাইডিং ক্যাপিজ শেল ছবি তোলার দারুণ ব্যাকগ্রাউন্ড দেয়। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এগুলো টিকে রয়েছে শত শত প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগের ভেতর দিয়ে। যে অংশগুলো ভেঙে গেছে তা অবিলম্বে মেরামত করে নিয়েছে বসবাসরত পরিবারগুলো। কেবল পূর্বসূরীদের ভিটে-বাড়ি বলেই নয়, বিগুয়েনরা (ভিগানের স্থানীয়দের জাতিগত নাম) বেশ শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গির।
কিছু কিছু স্থাপনা পরিণত হয়েছে দোকান, জাদুঘর, সরাইখানা ও রেস্তোরাঁয়। অথচ এগুলোর গ্রিল এবং কাঠের সুক্ষ্ম কারুকাজ এখনও দর্শনার্থীদের মনে করিয়ে দেয় ৩ শতাব্দির আগের সময়ের কথা।
সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে সৃষ্টি হয় সেই ১৮ শতকের প্রদীপ জ্বালানো রাস্তার আলো-আধারী পরিবেশ যা পর্যটকদের আরও বিমোহিত করে তোলে।
প্লাজা সালসেডো
ভিগানের একদম কেন্দ্রে অবস্থিত এই প্লাজা ও এর আশপাশ শহরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ট্যুরিস্ট স্পট।
মধ্যযুগীয় স্প্যানিশ ঘরানায় বানানো প্লাজা সালসেডোকে ঘিরে রয়েছে টাউন হল, শপিং সেন্টার, গির্জা এবং ফুড কোর্ট।
আরো পড়ুন: নেপালের অন্নপূর্ণা ট্রেকিংয়ে যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
প্লাজার ঠিক কেন্দ্রে রয়েছে একটি কৃত্রিম ফোয়ারা। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটের জন্য চালু করা হয় এই শো। সপ্তাহান্তে এটি শুরু হয় রাত সাড়ে ৮টায়।
২ সপ্তাহ আগে
জাতিসংঘের আলোচনায় কৃষকদের জন্য জলবায়ু তহবিলের অংশ দাবি
অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে এ বছর ফিলিপাইনের এসথার পেনুনিয়ার ছোট খামারে আনারস নষ্ট হয়ে গেছে।
এশিয়ান ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল পেনুনিয়া জীবিকা নির্বাহের জন্য খামারের উপর নির্ভর করেন না। তাই তিনি বিপর্যস্ত হওয়ার চেয়ে বেশি হতাশ হয়েছেন।
তবে পেনুনিয়া চিন্তিত তার মতো বিশ্বব্যাপী লাখো ক্ষুদ্র কৃষকদের নিয়ে। কারণ তারা ধানখেত, নারকেল বাগান এবং সবজি খেতের উপর নির্ভরশীল। অথচ সবই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হুমকির মুখে।
এটাই কারণে এ বছরের জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে বরাদ্দের কিছু অংশ কৃষি খাতে দেবে বলে আশা করছেন তিনি। বিশেষ করে যারা বিশ্বের অনেক অঞ্চলে অধিকাংশ মানুষকে খাদ্য সরবরাহ করে, এমন কৃষিজীবী পরিবারের জন্য।
তিনি বলেন, ‘আপনি যদি ক্ষুদ্র কৃষকদের সাহায্য না করেন, তাহলে আপনি খাবার কোথা থেকে পাবেন? কে আপনার জন্য কৃষিকাজ করবে? কে মাছ ধরবে, কে মধু সংগ্রহ করবে, কে আপনার সবজি রোপণ করবে?’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের রাখাইনে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের পূর্বাভাস জাতিসংঘের
গ্লোবাল সাউথের অনেক দেশের জন্য অতিরিক্ত অর্থ প্রয়োজন। বিশেষ করে টাইফুনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মাঠের পুনরুদ্ধার, কৃষকদের অত্যাধিক খরা থেকে সুরক্ষিত রাখতে এবং উষ্ণ পৃথিবীর জন্য ভালো বীজ, ভালো সার ও উন্নত সেচ অবকাঠামো প্রস্তুত করতে এই অর্থ প্রয়োজন।
তবে, বিশ্ব সম্পদ ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞদের মতে, দরিদ্র দেশগুলোর প্রয়োজন ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু অর্থায়ন। অর্থাৎ ধনী দেশগুলো যে পরিমাণ অর্থ দিতে প্রস্তুত তার মধ্যে বিশাল ব্যবধান রয়েছে।
যে চুক্তিই হোক না কেন, এটা নিশ্চিত যে টাকা সংগ্রহ করতে হবে। এখানে একটি বিষয় নিয়ে বিতর্ক রয়েছে-ঠিক কতটুকু অর্থ কৃষির জন্য এবং কতটুকু অর্থ জীবাশ্ম জ্বালানির নির্গমন কমানোর জন্য বরাদ্দ দেওয়া উচিত।
ক্লাইমেট পলিসি ইনিশিয়েটিভের গত বছরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্ষুদ্র কৃষকরা জলবায়ু অর্থায়নের ১ শতাংশেরও কম পান। একই সময়, খাদ্য ব্যবস্থা—অর্থাৎ খাবার তৈরি, পরিবহন ও নিষ্পত্তির সব প্রক্রিয়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত। পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ উষ্ণায়নের জন্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন দায়ী।
উষ্ণ হয়ে যাওয়া জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে কৃষকদের প্রচেষ্টা আরও কঠিন হয়ে ওঠছে বলে মন্তব্য করেছেন সিজিআইএআরের নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসমাহানে এলৌফি। কপ২৯-এ ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য জলবায়ু-স্মার্ট সমাধান নিয়ে একটি প্যানেল আলোচনা চলাকালে তিনি বলেন, ‘যদি আমরা এই সমস্যার সমাধান করতে চাই, তবে আমরা কীভাবে এমন একটি খাতে বিনিয়োগ না করে থাকব, যা সমস্যার তৃতীয়াংশের জন্য দায়ী?’
জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে কৃষির অভিযোজনের জন্য কেন দেশগুলোকে সহায়তা করা উচিত তার একটি সহজ কারণ তুলে ধরেন সেভ সয়েল নামে একটি আন্দোলনের প্রধান বৈজ্ঞানিক এবং কারিগরি কর্মকর্তা প্রবীনা শ্রীধর।
যেখানে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর ব্যাপারে সম্মত হওয়া অনেক কঠিন, সেখানে কৃষি সমাধানগুলোর জন্য সহায়তা প্রদান করা তুলনামূলকভাবে সহজ হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও ধাঁধাটি সমাধান করতে পারিনি। কিন্তু সেসব ধাঁধার যেটুকু সমাধান করতে পেরেছি আমরা, সেগুলো দেখে কাজ শুরু করছি না কেন?’
তবুও অন্যরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন, এর ফলে জীবাশ্ম জ্বালানি মোকাবিলান মতো সবচেয়ে বড় সমস্যা থেকে মনোযোগ সরে যাবে।
বার্কলে আর্থের একটি গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানী জেক হাউসফাদার একটি ইমেইল বার্তায় বলেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমন কমাতে ভূমি ব্যবস্থাপনার পরিবর্তনে ‘সত্যিকার সম্ভাবনা’ রয়েছে।
তবে তিনি বলেন, বৈশ্বিকভাবে এর মাধ্যমে প্রতি বছর প্রায় এক বিলিয়ন টন কার্বন ডাইঅক্সাইড কমানো সম্ভব। যদিও বিশ্বে প্রতি বছর যে ৪০ বিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়, এটি তার একটি ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ মাত্র।
আরও পড়ুন: যেকোনো হত্যাকাণ্ডের তদন্ত হওয়া উচিত: জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান
১ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় ট্রামির আঘাতে ফিলিপাইনে মৃত ও নিখোঁজের সংখ্যা বেড়ে ১৩০
ফিলিপাইনে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় ট্রামির প্রভাবে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে মৃত ও নিখোঁজের সংখ্যা প্রায় ১৩০ জনে পৌঁছেছে। অনেক এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং সেসব এলাকার বাসিন্দাদের উদ্ধার করা প্রয়োজন বলে জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র।
ফিলিপাইনের সরকারের দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা জানিয়েছে, দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় দ্বীপপুঞ্জে চলতি বছরে এ পর্যন্ত আঘাত হানা সবচেয়ে প্রাণঘাতী ও ধ্বংসাত্মক এই ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত ৯০ জন নিহত ও ৩৬ জন নিখোঁজ রয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার বাতাঙ্গাস প্রদেশের হ্রদ তীরবর্তী শহর তালিসে থেকে নিখোঁজ হওয়া এক গ্রামবাসীকে মাটি খুঁড়ে বের করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে তালিসের সাম্পালোক গ্রামের একটি জঙ্গলাকীর্ণ শৈলশিরার খাড়া ঢাল থেকে কাদা, পাথর ও গাছের স্তূপে বেশ কয়েকটি লাশ পাওয়া যায়।
শনিবার ম্যানিলার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় একটি অঞ্চল পরিদর্শন করে প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস বলেন, ঝড়ের কারণে অস্বাভাবিক পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে - যার মধ্যে কিছু অঞ্চলে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এক থেকে দুই মাসের সমান বৃষ্টিপাত দেখা গেছে।
বন্যা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান মার্কোস।
তিনি আরও বলেন, 'পানি অনেক বেশি। আমাদের উদ্ধার কাজ এখনও শেষ হয়নি। অনেক এলাকা এখনও বন্যার কবলে রয়েছে এবং সেখানে বড় ট্রাকও পৌঁছানো যাচ্ছে না সেজন্য উদ্ধারে বিলম্ব হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে মৌসুমি ঘূর্ণিঝড়ে নিহত ২০, নিখোঁজ ১৪
ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়েছে ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ, যাদের মধ্যে কয়েকটি প্রদেশের ৫ লাখ মানুষ ৬ হাজার ৩০০টিরও বেশি জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে।
ট্রামিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮২৫ মিলিয়ন পেসো (প্রায় ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। কৃষিখাতে ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার ৪৩২ বিলিয়ন পেসো (২৪.৫ মিলিয়ন ডলার)।
এদিকে তৃতীয় দিনের মতো স্কুল ও সরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। আন্তঃদ্বীপ ফেরি পরিষেবাও স্থগিত করা হয়েছে, হাজার হাজার লোক আটকা পড়েছে।
প্রশান্ত মহাসাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরের মধ্যবর্তী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপপুঞ্জ ফিলিপাইনে প্রতি বছর প্রায় ২০টি ঝড় ও টাইফুন আঘাত হানে। ২০১৩ সালে, টাইফুন হাইয়ান, সবচেয়ে শক্তিশালী রেকর্ড করা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে একটি, যার ফলে ৭ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি লোক মারা বা নিখোঁজ হয়েছিল এবং পুরো গ্রাম চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়।
ঝড়টি এই সপ্তাহের শেষে ভিয়েতনামে আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে ‘ট্রামি’র আঘাতে নিহত বেড়ে ৮১, নিখোঁজ ২০
১ মাস আগে
ফিলিপাইনে ১০ কমিউনিস্ট বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে সেনাবাহিনী
ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলীয় দুর্গম এলাকায় এক সংঘর্ষে অন্তত ১০ সন্দেহভাজন কমিউনিস্ট গেরিলাকে হত্যা করেছে দেশটির সেনা সদস্যরা।
শুক্রবার (২৮ জুন) এ কথা জানিয়েছেন সামরিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।
মাত্র এক হাজার গেরিলা অবশিষ্ট থাকায় বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে কয়েক দশক ধরে চলা এ বিদ্রোহ।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত সপ্তাহে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ থেকে পিছু হটতে থাকা প্রায় ২০ জন নিউ পিপলস আর্মির গেরিলাকে ধরে ফেলে সেনাসদস্যরা। বুধবার নুয়েভা এসিজা প্রদেশের পান্তাবাঙ্গান শহরের একটি গ্রামের কাছে তিন কমান্ডারসহ ১০ বিদ্রোহী নিহত হয়।
সংঘর্ষস্থল থেকে ১৩টি রাইফেল ও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন: রাফায় ১০ ফিলিস্তিনি নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী
আঞ্চলিক সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জিমসন মাসাংকে টেলিফোনে জানান, দুর্গম এলাকা থেকে সরে আসা আরও ১০ জন গেরিলাকে সেনারা ধাওয়া করছিল।
সেনাবাহিনীর পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নরউইন জোসেফ পাসামোন্তে সৈন্যদের প্রশংসা করলেও বিদ্রোহীদের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এক বিবৃতিতে পাসামোন্তে বলেন, সরকার তাদের আত্মসমর্পণ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার বিষয়ে হাল ছাড়েনি। এসব মৃত্যু বাকিদের আত্মসমর্পণ করতে রাজি করাতেও পারে।
মাসাংকে বলেন, উত্তরাঞ্চলের ধান উৎপাদনকারী অঞ্চল নুয়েভা এসিজা কয়েক দশক আগেও কমিউনিস্ট বিদ্রোহের কেন্দ্রস্থল ছিল, কিন্তু এখন ওই এলাকায় ৫০ জনেরও কম মাওবাদী গেরিলা আছে।
নরওয়ের মধ্যস্থতাকারীদের মতে, গত নভেম্বরে সরকার ও কমিউনিস্ট বিদ্রোহীরা নরওয়ের রাজধানী অসলোতে বৈঠকের পরে এশিয়ার অন্যতম দীর্ঘতম সশস্ত্র বিদ্রোহের অবসানের লক্ষ্যে আলোচনা পুনরায় শুরু করতে সম্মত হয়েছিল।
তবে প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের অধীনে প্রকৃত শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু হয়নি।
ফিলিপাইনের কর্মকর্তারা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে বিদ্রোহীদের বিপর্যয়, আত্মসমর্পণ ও দলাদলির কারণে এখন মাত্র এক হাজার কমিউনিস্ট যোদ্ধা টিকে আছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের শাসনামলে নরওয়ের মধ্যস্থতায় হওয়া শান্তি আলোচনা ভেস্তে যায় কারণ উভয় পক্ষই আলোচনার বদলে একে অপরকে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য অভিযুক্ত করে।
আরও পড়ুন: ডিআর কঙ্গোতে এডিএফ বিদ্রোহীদের হামলায় ৩০ জন নিহত: সেনাবাহিনী
৫ মাস আগে
ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিপিসিসিআই সভাপতি হুমায়ুন রশীদের বৈঠক
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ ফিলিপাইন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিপিসিসিআই) নবনিযুক্ত সভাপতি হুমায়ুন রশীদ।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সংগঠনটির সহসভাপতি ইমরান আহমেদ।
সোমবার(১১ জুন) ঢাকাস্থ ফিলিপাইন দূতাবাসে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক চলাকালে, নতুন নির্বাচিত কমিটির পক্ষ থেকে হুমায়ুন রশীদ ও ইমরান আহমেদ বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করে কার্যকরী বাণিজ্য কৌশলসহ দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়ের সম্ভাব্য সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।
বৈঠকে বিপিসিসিআই সভাপতি ও সহসভাপতি ২০২৪ ও ২০২৫ সালে সংগঠনের লক্ষ্য তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে সংগঠনের প্রতিশ্রুতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ফলপ্রসূ এ বৈঠকে বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যে ভবিষ্যৎ সহযোগিতামূলক কার্যক্রম এবং অংশীদারিত্বের সুযোগ নিয়ে মতবিনিময় করা হয়। এতে উভয় পক্ষই নতুন সুযোগ এবং বিদ্যমান বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে আগ্রহ প্রকাশ করে।
বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল দুই অর্থনীতির দেশ – বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে বিপিসিসিআই।
২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বিপিসিসিআই দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে পরিসর বাড়ানোর লক্ষ্য অর্জনেও ভূমিকা রাখে এই সংগঠনটি।
৬ মাস আগে
পর্যটন শিল্পে ফিলিপাইনকে বিনিয়োগের আহ্বান জানালেন ফারুক খান
ফিলিপাইনের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন পর্যটন মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল অসান জুনিয়রের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে ফিলিপাইনের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করলে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পে একত্রে কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যকার বন্ধুত্ব আরও জোরদার হবে।
আরও পড়ুন: বিমানে দুর্নীতি আছে কি না আগে দেখতে হবে: ফারুক খান
বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করে ফিলিপাইনে রাষ্ট্রদূত বলেন, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও অনন্য সুন্দর প্রকৃতি নিয়ে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় পর্যটন গন্তব্য। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগের জন্য ফিলিপাইনের বিনিয়োগকারীদের মতামত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ সময় ঢাকা-ম্যানিলা সরাসরি বিমান যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার বিষয়েও রাষ্ট্রদূত আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যকার বিদ্যমান এয়ার সার্ভিস চুক্তিটি অনেক আগের হওয়ায় তা দ্রুত পরিবর্তন করে নতুন করে সই করার বিষয়ে তিনি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন এবং ঢাকা-ম্যানিলা সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে যাত্রী ও কার্গোর বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্যও তিনি নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত নগুয়েন মান চোং মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সেসময় তারা দুই দেশের পর্যটন সম্পর্কিত বিষয়ে মত বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ হতে হবে: ফারুক খান
১০ মাস আগে
ফিলিপাইনে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ২৯
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলীয় এন্টিক প্রদেশে যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে অন্তত ২৯ জন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে হ্যামটিক শহরের খাদে পড়ে যায় বাসটি।
৫৩ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি ইলোইলো সিটি থেকে প্রাচীন প্রদেশের সান জোসে দে বুয়েনাভিস্তা যাচ্ছিল। এ সময় রাস্তার কংক্রিটের বেষ্টনীর সঙ্গে ধাক্কা লেগে হ্যামটিক শহরের ১৫ মিটার গভীর খাদে পড়ে যায়।
প্রাদেশিক তথ্য দপ্তরের প্রধান জুনলি সায়লো রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ঘটনাস্থলেই ২৫ জন এবং স্থানীয় একটি হাসপাতালে আরও চারজন মারা গেছেন।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম এবিএস-সিবিএন জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বাসচালক ও তার সহকারীও রয়েছেন।
প্রাচীন প্রাদেশিক সরকারের বরাত দিয়ে আঞ্চলিক সংবাদপত্র পানায় নিউজ জানিয়েছে, কেনিয়ার এক ব্যক্তিসহ গুরুতর আহত দুই যাত্রীকে চিকিৎসার জন্য ইলোইলো সিটির একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জরুরী কর্মীরা জীবিতদের উদ্ধার করছে এবং খাদে পড়ে থাকা লোকজনের লাশ উদ্ধার করছে।
১ বছর আগে
ফিলিপাইনের নোবেল বিজয়ী মারিয়া রেসা কর ফাঁকির মামলায় খালাস
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মারিয়া রেসা মঙ্গলবার চূড়ান্ত কর ফাঁকির মামলায় খালাস পেয়েছেন, যদিও তিনি এখনও দু’টি অবশিষ্ট আইনি মামলার মুখোমুখি রয়েছেন।
রেসা ও তার অনলাইন সংবাদ সংস্থা র্যাপলারের বিরুদ্ধে ৫টি কর ফাঁকির অভিযোগ আনা হলেও গত জানুয়ারিতে একটি আদালত এর মধ্য থেকে ৪টি অভিযোগ থেকে খালাস দেন। অন্য একটি আদালত পঞ্চম অভিযোগের শুনানি করে মঙ্গলবার তাকে খালাস দেন।
আদালত প্রাঙ্গনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সত্যের জয়, ন্যায়বিচারের জয়।’
রেসা ও রুশ সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতোভ তাদের সংবাদ সংস্থাগুলোর অস্তিত্বের জন্য লড়াই করে এবং তাদের বন্ধ করার সরকারি প্রচেষ্টাকে উপেক্ষা করে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার প্রচেষ্টার জন্য ২০২১ সালের নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন।
তিনি বলেছিলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল কারণ র্যাপলার অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে দুতার্তে'র নৃশংস অভিযানের সমালোচনা করেছিলেন, যার ফলে হাজার হাজার ক্ষুদ্র মাদক সন্দেহভাজন নিহত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মানুষের উন্নত ভবিষ্যৎ-শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ার পথ হলো শিক্ষা: জাতিসংঘ মহাসচিব
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এই অভিযানকে মানবতার বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অপরাধ হিসেবে তদন্ত করছেন।
র্যাপলার করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় দুতার্তে'র সমালোচনা করেন, যার মধ্যে রয়েছে দীর্ঘায়িত লকডাউন, যা দারিদ্র্যকে আরও গভীর করে তোলে, দেশের অন্যতম খারাপ মন্দা সৃষ্টি করে এবং সরকারি চিকিৎসা কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করে।
তিনি আরও বলেন, ফিলিপাইনের নতুন নেতা ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের অধীনে ‘ভয় দূর করা’ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে, যিনি ১৯৮৬ সালে সেনা-সমর্থিত ‘জনশক্তি’ অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসকের নামপুত্র।
রেসা এখনও অনলাইন মানহানির দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করছেন, যখন র্যাপলার সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের জারি করা একটি বন্ধের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করছেন।
তিনি বলেন, ‘আপনার বিশ্বাস থাকতে হবে। এই খালাস এখন বিচার ব্যবস্থা চালিয়ে যাওয়ার, রাজনৈতিক হয়রানি সত্ত্বেও, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ সত্ত্বেও আদালতে আত্মসমর্পণ করার আমাদের সংকল্পকে শক্তিশালী করেছে। এটি দেখায় যে আদালত ব্যবস্থা কাজ করে এবং আমরা আশা করি বাকি অভিযোগগুলো খারিজ হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: ইমরান খানের দুর্নীতির মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড স্থগিত
গোপনে আদানি গ্রুপের বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন প্রতিষ্ঠানের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা
১ বছর আগে
ড. আব্দুল মোমনেকে ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এনরিক এ. মানালো বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ড. মোমেনের কাছে প্রেরিত এক শুভেচ্ছা বার্তায় ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মানালো বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।
ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী এবং বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা তুলে ধরে এনরিক মানালো বলেন, ‘উভয় দেশের জনগণের কল্যাণে এবং আমাদের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে সবধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদারে আমরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাবো।’
আরও পড়ুন: আব্দুল মোমেনকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জো বাইডেন ও অ্যান্টনি ব্লিনকেনের শুভেচ্ছা
১ বছর আগে
ফিলিপাইনে ফেরিতে আগুন লেগে নিহত ৩১, নিখোঁজ ৭
দক্ষিণ ফিলিপাইনে বুধবার গভীর রাতে প্রায় ২৫০ জন যাত্রী ও ক্রু বহনকারী একটি ফেরিতে আগুন লেগে ৩১ জন মারা গেছেন। এসময় ২৩ যাত্রী আহত এবং কমপক্ষে ৭জন নিঁখোজ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণের দ্বীপ বাসিলানের প্রাদেশিক গভর্নর জিম হাতমান বলেছেন, নিখোঁজদের খোঁজে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
হাতমান জানিয়েছেন, যাত্রীদের অনেকেই আগুন দেখে আতঙ্কিত হয়ে ‘এমভি লেডি মেরি জয়-৩’ নামের ফেরিটি থেকে সাগরে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। উপকূলরক্ষী, নৌবাহিনী, অন্য একটি ফেরির লোকেরা এবং স্থানীয় জেলেরা মিলে পানিতে ভাসমান অনেক মানুষকে উদ্ধার করেছে।
তিনি আরও বলেন, নিখোঁজ সাত যাত্রীর সন্ধানে উদ্ধার অভিযান বৃহস্পতিবারও অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোয় অভিবাসন কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডে ৩৯ জন নিহত
হাতামান বলেন, পোড়া ফেরিটি বাসিলানের উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে উপকূলরক্ষী কর্মী এবং অন্যান্য কর্তৃপক্ষ যাত্রী কেবিনের একটি অংশ থেকে ১৮টি লাশ উদ্ধার করেছে।
গভর্নর জানান, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে।
তিনি আরও বলেন, ফেরিটি দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর জাম্বোয়াঙ্গা থেকে সুলু প্রদেশের জোলো শহরের দিকে যাচ্ছিল। মধ্যরাতে বাসিলানের কাছাকাছি এসে এটিতে আগুন ধরে যায়।
হাতমান টেলিফোনে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের কারণে কেউ কেউ জাহাজ থেকে লাফ দিয়েছিল।’
ঘন ঘন ঝড়, দুর্বল নৌযান, অতিরিক্ত ভিড় এবং বিশেষ করে প্রত্যন্ত প্রদেশে নিরাপত্তা বিধি না মানার কারণে ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জে সাগরে প্রায়ই নৌযানডুবি হয়।
১৯৮৭ সালের ডিসেম্বরে ফেরি ‘ডোনা পাজ’ একটি জ্বালানি ট্যাঙ্কারের সঙ্গে সংঘর্ষের পরে ডুবে যায়। বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ এই সামুদ্রিক বিপর্যয়ে ৪ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ইকুয়েডরে ভূমিধসে নিহত ৭, নিখোঁজ অনেকে
সৌদি আরবে সেতুর সঙ্গে বাসের ধাক্কায় নিহত ২০
১ বছর আগে