চলুন জেনে নেয়া যাক ২০২০ সালটির শুরু কীভাবে করেছে বিভিন্ন দেশের মানুষ:
প্যারিস: ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বিখ্যাত আর্ক দে ত্রিয়ম্ফ অ্যাভিনিউতে নজরকাড়া আতশবাজি দেখার জন্য মধ্যরাতে জড়ো হয়েছিল হাজারো মানুষ। এ অনুষ্ঠানকে নির্বিঘ্ন করতে চ্যাম্পস-এলিসিস এলাকার আশপাশে কড়া নজরদারিসহ প্যারিসের অ্যালকোহল পান ও যান-চলাচল নিষিদ্ধ করে পুলিশ। আর বিখ্যাত আইফেল টাওয়ারে আয়োজন করা হয় মনোমুগ্ধকর লাইট আর লেজার শো।
রোম: ভ্যাটিকান সিটির সেইন্ট পিটার্স স্কয়ারে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পোপ ফ্রান্সিস নিজে আসেন নববর্ষ উদযাপন করতে। যা সেখানে নববর্ষ উদযাপন করতে আসা ১০ হাজার ভ্রমণকারীর আনন্দের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছিল। তারা এসময় চিৎকার বলতে থাকেন ‘পোপ! পোপ!’ ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ ।
এসময় ৮৩ বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিস মানুষদের আরো সংহতিপূর্ণ আচরণ অনুশীলন এবং ‘বন্ধন তৈরির’ আহ্বান জানান।
হংকং: বছর জুড়েই বিক্ষোভ চলা হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের অনেকেই ২০২০ সালে দেশটির জন্যে শুভ হবে এ আশায় বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোতে জড়ো হয়েছিলেন। তবে নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে বিখ্যাত ভিক্টোরিয়া হারবারের ঐতিহ্যবাহী আলোকসজ্জা এবছর প্রদর্শন এবার করা হয়নি।
অস্ট্রেলিয়া: চলমান দাবানলের সংকটে পড়া অস্ট্রেলিয়ার সর্বাধিক জনবহুল রাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলসের ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ার পরেও নববর্ষ উদযাপনে সিডনি হারবার ও তার পাশ্ববর্তী অঞ্চলে লাখ লাখ মানুষের মেতে উঠাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। নববর্ষ উদযাপনকারীরা মুগ্ধ হয়ে সিডনির আলোকসজ্জায় উপভোগ করেছেন।
নিউইয়র্ক: নববর্ষের প্রাক্কালে টাইমস স্কয়ারের ছয় ঘন্টাব্যাপী লাল ও সোনা রঙের পোশাকে বিখ্যাতদের চীনা নৃত্য পরিবেশনায় বিমোহিত হয়েছেন দর্শনার্থীরা।
লন্ডন: টেমস নদীর তীর লন্ডন আই এবং পার্লামেন্টের স্বন্নিকটে নববর্ষ উদযাপনে দর্শনীয় আতশবাজির প্রদর্শন দেখেছেন লন্ডনবাসীরা।
সোমবার রাতেই এডিনবার্গে হোগমানায়ে টর্চলাইট কুচকাওয়াজ দিয়ে শুরু হয় বহু-দিনের পুরনো নববর্ষের অনুষ্ঠান আয়োজন।
এছাড়াও থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো, বার্লিন ও দুবাইসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ নানা রকম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাকজমকপূর্ণভাবে বরণ করে নেয় নতুন বছরকে।