বর্ষবরণ
দু বছর পর ফের বাংলা বর্ষবরণে মেতেছে চট্টগ্রামবাসী
আবারও প্রাণের উচ্ছ্বাসে মেতেছে চট্টগ্রামবাসী। বরণ করছে বাংলা নববর্ষকে। করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর সারাদেশের মত চট্টগ্রামেও পহেলা বৈশাখের কোনো আয়োজন হয়নি। এবার সংক্রমণ কমে আসায় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বর্ণাঢ্য আয়োজন। নগরীর ডিসি হিল, সিআরবির শিরীষতলা, শিল্পকলা একাডেমি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ (চবি) বিভিন্ন স্থানে হয়েছে নববর্ষকে বরণ করে নেয়ার নানা আয়োজন।
তবে পবিত্র রমজানের কারণে উচ্ছাসে কিছু ভাটা পরিলক্ষিত হয়েছে। এবার বসেনি মেলা, নেই ভুভুজেলার উৎপাতও। প্রশাসনের বেঁধে দেয়া ১১ নির্দেশনা মেনে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে পহেলা বৈশাখের নানা অনুষ্ঠান। গ্রহণ করা হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিভিন্ন এলাকা সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি সাদা পোশাকে নিয়োজিত আছেন নিরাপত্তা কর্মীরা। নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে যানবাহন চলাচল। বর্ষবরণ উৎসবের সকল আয়োজনও করা হয়েছে সংক্ষিপ্ত। অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে দুপুরের মধ্যে।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) ভোর ৬টায় ডিসি হিলে নজরুল স্কয়ারে শুরু হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদের আয়োজনে এবার ৪৫তম বৈশাখ বরণের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘পহেলা বৈশাখ বাঙালির, সবার যোগে জয়যুক্ত হোক’।
বর্ষবরণ করে নিতে ডিসি হিলে দর্শকদের উপচেপড়া ভিড়। বর্ষবরণের ১ম অধিবেশনে ‘সংগীত ভবন, জয়ন্তী, ছন্দানন্দ সাংস্কৃতিক পরিষদ, গুরুকুল সংগীত একাডেমি, সুর-সাধনা সংগীতালয়, গীতধ্বনি, ইমন কল্যাণ সংগীত বিদ্যাপীঠ, সৃজামি সাংস্কৃতিক অংগন, নটরাজ নৃত্যাঙ্গন একাডেমি, স্কুল অব ওরিয়েন্টাল ডান্স, ওডিসি অ্যান্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার, গুরুকুল, নৃত্যম একাডেমি, ঘুঙুর নৃত্যকলা কেন্দ্র, সঞ্চারী নৃত্যকলা একাডেমি, নৃত্য নিকেতন, দি স্কুল অব ফোক ডান্স, বোধন আবৃত্তি পরিষদ, প্রমা আবৃত্তি সংগঠন, স্বরনন্দন প্রমিত বাংলা চর্চা কেন্দ্র ও বিভাস আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র’ সংগঠনের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করছে।
আরও পড়ুন: উৎসাহের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ
এখানে সকাল থেকে চলে পহেলা বৈশাখ বরণ। নাচে-গানে জমজমাট পুরো এলাকা। অনেক দিন পর প্রাণভরে শ্বাস নিতে ছুটে এসেছেন সবাই। বাঙালি নারীর ঐতিহ্য শাড়ি, পুরুষরা পাঞ্জাবি পড়ে এসেছেন অনুষ্ঠানস্থলে। শিশুরা মুখে বা হাতে রং-তুলি দিয়ে আঁকিয়ে নিচ্ছে ‘শুভ নববর্ষ’। গত ৪২ বছর ধরে পহেলা বৈশাখের সবচেয়ে পুরনো আয়োজনটি হয়ে থাকে নগরীর ডিসি হিল এলাকায়। সংগীত ভবন, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, বোধন আবৃত্তি পরিষদ, ওডিসি ড্যান্স মুভমেন্টসহ বিভিন্ন সংগঠন নাচ-গান ও আবৃত্তি পরিবেশন করেছে উৎসবে। এসব পরিবেশনা মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করেছেন দর্শনার্থীরা।
সিআরবির শিরীষতলায় সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছে। সেখানেও আসছেন নানান বয়সীরা। তবে এবার সেখানে বলীখেলা হচ্ছে না।
চবি চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে সকাল ১০টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হবে। রমজান মাসের কারণে মঙ্গল শোভাযাত্রা যাবে কাজীর দেউড়ি পর্যন্ত। চারুকলা অনুষদে এবারের আয়োজন চিত্রশিল্পী রশিদ চৌধুরীকে উৎসর্গ করা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে চিত্রশিল্পী রশিদ চৌধুরীর স্লোগান ‘শিল্পের প্রয়োজন; বিবেকের জন্য, জীবনের জন্য’কে প্রতিপাদ্য করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক আহমেদ ইকবাল হায়দার বলেন, গত দুই বছর বন্ধ ছিল নববর্ষ বরণের উৎসব। তবে এবার রোজার কারণে সংক্ষিপ্ত পরিসরে উৎসব চলছে।
এছাড়া চবি চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে সকাল ১০টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। রমজান মাসের কারণে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি যায় কাজীর দেউড়ি পর্যন্ত।
চারুকলা অনুষদে এবারের আয়োজন চিত্রশিল্পী রশিদ চৌধুরীকে উৎসর্গ করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে চিত্রশিল্পী রশিদ চৌধুরীর স্লোগান ‘শিল্পের প্রয়োজন; বিবেকের জন্য, জীবনের জন্য’কে প্রতিপাদ্য করা হয়েছে।
২ বছর আগে
ঘরে বসে ভিন্ন আঙ্গিকে পহেলা বৈশাখ উদযাপন
আজ পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। এবছর বাংলা দিনপঞ্জিকায় ভিন্ন এক রূপে শুরু হয়েছে নতুন বছর ১৪২৭ সাল।
৪ বছর আগে
বর্ণাঢ্য আয়োজনে ২০২০ সালকে স্বাগত জানাল বিশ্ব
নতুন বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও উৎসবে মেতে উঠেছিল পুরো বিশ্ব। রাত ১২টা ১ মিনিটে আতশবাজি প্রদর্শন, নানা রং-ঢংয়ের সাজ পোশাক, উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ স্বাগত জানায় ২০২০ সালকে।
৪ বছর আগে