মঙ্গলবার সকালে পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ১১ হাজার ১৮৬ জনে পৌঁছেছে। বিশ্বব্যাপী মোট ৭ লাখ ৩৪ হাজার ৬৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ লাখ ৮৯ হাজার ৪১৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যা বিশ্বের মোট আক্রান্তের প্রায় এক চতুর্থাংশ। দেশটিতে মারা গেছে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৪২৫ জন।
করোনায় বিশ্বের ক্ষতিগ্রস্থ দেশসমূহের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল। দেশটিতে ৩০ লাখ ৫৭ হাজার ৪৭০ জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন এবং ভাইরাসে মারা এক লাখ ১ হাজার ৭৫২ জন।
আর করোনার বেশি আক্রান্তের দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশর প্রতিবেশী ১২৫ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারত। দেশটিতে ইতোমধ্যে ২২ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, মেক্সিকো এবং পেরুতে এখন পর্যন্ত চার লাখের বেশি করে মানুষ করোনায় আক্রান্ত। এদিকে, করোনায় মেক্সিকো, যুক্তরাজ্য, ভারত, ইতালি এবং ফ্রান্স প্রতিটি দেশে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
বিশ্বে গত কয়েক মাস ধরে করোনার নতুন সংক্রমণ তীব্র আকার ধারণ করেছে। ২৮ জুন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ১ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়। এর মাত্র ৪৩ দিন পরে এ সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সোমবার সকাল পর্যন্ত দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৩৮ জন।
এছাড়া, নতুন করে ২ হাজার ৯০৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ২ লাখ ৬০ হাজার ৫০৭ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, করোনা শনাক্তের জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি ল্যাবগুলোতে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৮৫৫টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৮৪৯টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১২ লাখ ৭৩ হাজার ১৬৮টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২.৬২ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষার ক্ষেত্রে শনাক্ত হয়েছেন ২০.৪৬ শতাংশ।
নতুন যে ৩৯ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৫ এবং নারী চারজন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ২ হাজার ৭২১ জন বা ৭৯.১৪ শতাংশ এবং নারী ৭১৭ জন বা ২০.৮৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৩২ শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৬৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৪৩৭ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৫৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।