মহামারি
বাংলাদেশে সংক্রামক রোগ-মহামারি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের ‘ওয়ান হেলথ’ প্রকল্প
বাংলাদেশে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকার ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইআইডি) নতুন ‘ইউএসএআইডি ওয়ান হেলথ’ প্রকল্প চালু করছে।
এ প্রকল্পের অধীনে পাঁচ বছরের জন্য ২৬ মিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ও ইউএসএআইডি। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করবে।
মানুষ ও প্রাণীদের মধ্যে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, শনাক্তকরণ এবং সেই প্রতিক্রিয়াগুলো সমন্বয়ের পাশাপাশি অন্যান্য মহামারির হুমকি আরও কার্যকরভাবে কমিয়ে আনতে একসঙ্গে কাজ করবে এই তিন মন্ত্রণালয়।
চলতি মাসের শুরুর দিকে, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নতুন গ্লোবাল হেলথ সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজি ২০২৪ এর অধীনে ৫০টি অংশীদার দেশের তালিকায় একটি ছিল বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: দেশের বেসরকারি সৌর প্রকল্পে ১২১.৫৫ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন এডিবির
ইউএসএআইডি ওয়ান হেলথ প্রকল্প রোগ শনাক্তকরণ ও তদারকি উন্নত করতে এবং রোগ নির্ণয়ের ক্ষমতা উন্নয়নে পরীক্ষাগার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে ওয়ান হেলথ কর্মীবাহিনী গড়ে তুলবে। এই প্রকল্প মানুষ ও প্রাণীদের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের প্রভাব কমাতে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করবে এবং প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে। এ প্রকল্প সরকারের একাধিক মন্ত্রণালয়কে রোগের প্রাদুর্ভাব চিহ্নিত করতে এবং সমন্বিত প্রতিক্রিয়ার জন্য আরও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে সক্ষম করবে।
ইউএসএআইডির মিশন ডিরেক্টর রিড অ্যাশলিম্যান বলেন, 'এভিয়ান ফ্লু বা অন্যান্য প্রাণীজনিত অসুস্থতা থেকে মানুষকে রক্ষা করতে এবং সামগ্রিকভাবে মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশগত স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটি, ইস্টার্ন মেডিটেরেনিয়ান পাবলিক হেলথ নেটওয়ার্ক এবং এমপাওয়ার সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজেসের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভস ইনকর্পোরেটেড (ডিএআই) ইউএসএআইডি ওয়ান হেলথ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
আরও পড়ুন: টিকিটের বর্তমান মূল্য বজায় রাখতে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রতি এনসিপিএসআরআরের আহ্বান
পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে বাংলাদেশ অঙ্গীকারাবদ্ধ: আইএইএ প্রধানকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৭ মাস আগে
কোভিড-১৯ এর মতো আরেকটি মহামারি প্রতিরোধে বিশ্বকে অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে: জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ এর মতো ভবিষ্যত মহামারি মোকাবিলায় উত্তম চর্চা বাড়িয়ে ও অতীতের ভুলগুলো এড়িয়ে সম্মিলিত শিক্ষা গ্রহণের জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরে মহামারি প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া (পিপিপিআর) বিষয়ক এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বলেন, ‘সমতা ও সংহতি অবশ্যই আমাদের প্রচেষ্টার প্রাণভোমরা তৈরি করবে।’
এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য তিনি ৫টি অগ্রাধিকারের কথা উল্লেখ করেছেন, যেগুলো হলো:
প্রথম- উন্নয়নশীল দেশগুলোতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য রেয়াতযোগ্য আন্তর্জাতিক অর্থায়ন;
দ্বিতীয়- মহামারি নজরদারি, প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিতে মোকাবিলার জন্য সম্পদ ও দক্ষতা একত্রিত করা;
তৃতীয়- সকলের জন্য ভ্যাকসিনসহ মানসম্পন্ন, সাশ্রয়ী ও কার্যকর মহামারি পণ্যগুলোর ন্যায়সঙ্গত ও অবাধ প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা;
চতুর্থ- প্রযুক্তির প্রাপ্যতা ও বাস্তব জ্ঞানের মাধ্যমে মহামারি পণ্যগুলোর উৎপাদন বৈচিত্রকরণ;
পঞ্চম- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে প্রাপ্যতা ও সুবিধা ভাগ করে নেওয়ার জন্য একটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কাঠামো তৈরি করা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জাতিসংঘ স্বীকৃত কমিউনিটি ক্লিনিক মডেলের জন্য সম্মাননা পেলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এ লক্ষ্যে আমরা একটি মহামারি চুক্তি ও আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধিমালার (২০০৫) সংশোধনী থেকে ন্যায্য এবং সুনির্দিষ্ট ফলাফল দেখার আশা করি। বাংলাদেশ উভয় প্রক্রিয়ার সঙ্গে গঠনমূলকভাবে জড়িত থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি আমাদের সকলের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে হাজির হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সারা বিশ্বে অনেককে হারিয়েছি। আমরা বুঝতে পেরেছি, মানুষের হস্তক্ষেপের জন্য প্রকৃতির নিজস্ব সীমা রয়েছে। আমরা বিশ্ব সংহতির অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতাও পেয়েছি। আমরা স্বীকার করেছি, সবাই নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউই নিরাপদ নই।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ কোভিড-১৯ এর প্রভাবের বাইরে ছিল না।
তিনি বলেন, ‘তবুও, আমরা কোভিড-১৯ পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে একটি বৈশ্বিক সূচকে ৫ম স্থানে রয়েছি। শুরু থেকেই আমাদের জীবন বাঁচানো ও জীবিকা রক্ষার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় একটি জাতীয় প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
প্রথম দিকে ডব্লিউএইচও’র সহায়তায় একটি জাতীয় প্রস্তুতি ও পরিস্থিতি মোকাবিলা পরিকল্পনা গ্রহণ করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা গরিবদের জন্য বিনামূল্যে ওষুধ ও পিপিই (ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম) সরবরাহ নিশ্চিত করি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি করি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জাতিসংঘ স্বীকৃত কমিউনিটি ক্লিনিক মডেলের জন্য সম্মাননা পেলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, শূন্য থেকে ৮৮৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষাগার স্থাপন করা হয়। প্রায় সমস্ত হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়। কয়েক মাসের মধ্যে প্রায় ১১ হাজার ডাক্তার ও ১৩ হাজার মেডিকেল সাপোর্ট স্টাফ নিয়োগ করা হয়। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশে সীমিত রাখাসহ আমাদের ফ্রন্টলাইন কর্মীরা বিস্ময়করভাবে কাজ করেছে।
তিনি আরও বলেন, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পরিচালনার জন্য একটি ডেডিকেটেড ডিজিটাল অ্যাপ চালু করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা কমপক্ষে দ্বিতীয় ডোজ দিয়ে ৯৩ শতাংশ ভ্যাকসিন কভার করেছি। আমি মহামারি ভ্যাকসিনগুলোকে বিশ্বব্যাপী জনসাধারণের পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ২৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের একটি প্রণোদনা প্যাকেজ চালু করে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ৪ কোটিরও বেশি নিম্ন আয়ের মানুষকে সরাসরি খাদ্য সহায়তা দিয়েছি। বাংলাদেশ অন্যান্য বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর পাশাপাশি বিদেশে অবস্থানরত অভিবাসী কর্মীদের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাইডেনের নৈশভোজে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক দুর্নীতির কারণে মহামারিতে রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু: বিএনপি
তিনি বলেন, অযোগ্যতা ও দুর্নীতির কারণে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকার চরমভাবে ব্যর্থতা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অনির্বাচিত ও দায়িত্বজ্ঞানহীন মেয়র-কমিশনারদের উদাসীনতায় ডেঙ্গুর খারাপ পরিস্থিতি: বিএনপি
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, স্বাস্থ্য খাতে সর্বব্যাপী দুর্নীতির কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখন মহামারি আকারে পৌঁছেছে। এ বছর অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন যে, ডেঙ্গুজনিত মৃত্যু দীর্ঘদিন ধরে মিডিয়ার প্রধান শিরোনাম হয়ে উঠেছে। কারণ প্রতিদিনই গড়ে প্রায় ২০ জন করে মানুষ মারা যাচ্ছেন।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস (ডিজিএইচএস) অনুসারে- চলতি বছরে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১৬ জনে এবং চলতি বছরের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৩৫ জন।
এদিকে শুধু আগস্ট মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ছিল ৩৪২ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৭১ হাজার ৯৭৬ জন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান কারাগারে
ঢাকায় শনিবার গণমিছিল করবে বিএনপিসহ সমমনা দল
১ বছর আগে
অস্থির বৈশ্বিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
বর্তমান অস্থির বিশ্ব পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশংকা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘...পৃথিবীর এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি কতদিন চলবে তা কেউ বলতে পারে না। হয়তো পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’
রবিবার সংসদে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য আফসারুল আমিনের প্রতি উত্থাপিত শোক প্রস্তাবে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, খাদ্য ঘাটতি, মূল্যস্ফীতি, পরিচালন ও পরিবহন ব্যয় এবং বিদ্যুতের সংকট বিশ্বে সবার জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে।
সংসদ নেতা বলেন, সরকার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেল, কয়লা বা গ্যাসের সংকট চলছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন কেনা খুব কঠিন। কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তারপরও আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুন: হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, সরকার কাতার ও ওমানের সঙ্গে জ্বালানি ক্রয়ের চুক্তি করেছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার জলবিদ্যুৎ আমদানির ব্যবস্থাও নিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইতোমধ্যে কয়লা কেনার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যাতে আমরা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো পুনরায় চালু করতে পারি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ আর্থ-সামাজিকভাবে এগিয়ে যাওয়ায় স্বাধীনতার সুফল জনগণের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে যাচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞা, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি ও জ্বালানি তেলের সংকট যার জন্য শুধু বাংলাদেশ নয়, উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে জ্বালানির ঘাটতি রয়েছে। আছে লোডশেডিং বা বিদ্যুতের সীমিত ব্যবহার। খাবার থেকে শুরু করে সব কিছুর দাম বেড়েছে। এমনকি উন্নত দেশগুলোতেও অনেক মানুষ তাদের চাকরি হারাচ্ছে।’
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
তিনি আরও বলেন,‘আমি জানি না আগে কখনো এমন হয়েছে কিনা। সম্ভবত প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দুর্ভিক্ষ হয়েছিল।’
শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ীতা বজায় রাখার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: শান্তি বিঘ্নিত করতে অশুভ শক্তি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে: প্রধানমন্ত্রী
এসময় তিনি বলেন, ‘আমাদেরও খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমাদের চেষ্টা করতে হবে। পৃথিবীর এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি কতদিন চলবে তা কেউ বলতে পারছে না। তবে আমাদের দেশের জনগণের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সবকিছু করছি।’
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির ফলে সারা বিশ্বে খাদ্য সংকট, মূল্যস্ফীতি, পরিচালন ও পরিবহন ব্যয়, বিদ্যুতের ঘাটতি এবং তারপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ প্রতিটি মানুষের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশে আমাদের সেরাটা করছি।
আফসারুল আমিনের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত।
প্রতিটি সংগ্রামে তিনি ভূমিকা রেখেছেন। তিনি একজন নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। দলের প্রতি তার নিষ্ঠা ও সততা ছিল অতুলনীয়।
তিনি মন্ত্রী হিসেবেও দারুণ সাফল্য দেখিয়েছেন।
শোক প্রস্তাবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী, ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ওয়াসেকা আয়েশা খান, মোতাহার হোসেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, মুজিবুল হক চুন্নু ও মসিউর রহমান রাঙ্গা।
পরে, হাউসে সর্বসম্মতভাবে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
এক মিনিট নীরবতা পালন ও মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি কামনা প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে
যুদ্ধ ও মহামারি সত্ত্বেও মানুষের কষ্ট লাঘবে যা দরকার আ.লীগ তা করবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে উদ্ভূত অর্থনৈতিক মন্দার কারণে জনগণের দুর্ভোগ কমাতে আওয়ামী লীগ সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য যা যা করা দরকার আওয়ামী লীগ সরকার তা করবে।’
শনিবার আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম যৌথসভায় সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার, দল ও তার নেতাকর্মীরা সব সময় দুস্থ মানুষের পাশে আছে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য এই দেশের মানুষের জন্য একটি উন্নত জীবন নিশ্চিত করা। আমরা সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করব।’
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ও এর নেতাকর্মীরা এজন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত মানুষের জন্য খাদ্য নিশ্চিত করতে পেরেছি। আমরা গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য বাড়ি দিচ্ছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশে কেউ গৃহহীন, ভূমিহীন ও ঠিকানাহীন থাকবে না।’
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে পুরো বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় নিমজ্জিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তবে সর্বশক্তিমানের কৃপায় আমরা এখন পর্যন্ত দেশে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে পেরেছি।’
তিনি দেশের সার্বিক অগ্রগতির পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি নিশ্চিত করার জন্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন।
আরও পড়ুন: গ্যাস ও বিদ্যুতের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ পেতে উৎপাদন খরচ পরিশোধ করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের কারণে সরকারকে ভোজ্যতেল, জ্বালানি, চিনি, মসুর ডাল, গম ও ভুট্টার মতো বিভিন্ন জিনিস বেশি দামে কিনতে হচ্ছে; যাতে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষদের এগুলো ন্যায্যমূল্যে সরবরাহ করা যায়।
তিনি আরও বলেছেন যে সরকার সারাদেশে জনগণের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করছে।
তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে এসব জিনিসের দাম যাই হোক না কেন, সাধারণ মানুষের বোঝা কমাতে আমরা এ বিষয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছি।
তিনি আবারও সকলকে পরিমাণ যাই হোক না কেন, নিজেদের আবাদি জমি ব্যবহার করে কিছু না কিছু উৎপাদন করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘অনেক দেশ খাদ্য সংকটে ভুগছে, অনেক দেশ আমাদের কাছ থেকে খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করতে চায়। আমাদের জমির সঠিক ব্যবহার করতে পারলে, আমরাও খাদ্য সরবরাহ করতে পারব।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশে খাদ্য উৎপাদনের জন্য সব ধরনের ঋণ সহায়তা দেবে।
গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত ২২তম জাতীয় কাউন্সিলে শেখ হাসিনা টানা দশম মেয়াদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ওবায়দুল কাদের তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: স্বচ্ছতা নিশ্চিতে সরকার মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চায়: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
জনস্বাস্থ্য ও মহামারি বিশেষজ্ঞ নিয়োগে ১০ সিটি করপোরেশন মেয়রের সুপারিশ
প্রথমবারের মত দেশের ১০ সিটি করপোরেশনের মেয়র নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামোগত বিভিন্ন দিক, এর চ্যালেঞ্জসমূহ ও উত্তরণের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
এসময় তারা তাদের নিজ নিজ এলাকায় করোনাকালীন এবং করোনাপরবর্তী সময়ে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে অন্তত একজন এপিডেমিওলজিস্টের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন।
বুধবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (ইউএস সিডিসি) এর যৌথ উদ্যোগে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ ও সেফটিনেট কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘বাংলাদেশের নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ কর্মসূচি’-এর অধীনে অনুষ্ঠিত ‘মেয়র সংলাপ: নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জসমূহ ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেন, মহামারি-অতিমারিতে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, বিশেষ করে মহামারি বিশেষজ্ঞের (এপিডেমিওলজিস্ট) গুরুত্ব পুরো বিশ্ব টের পেয়েছে। যার ফলে এক্ষেত্রে আরও বেশি কাজ করার আছে।
পিটার ডি হাস বলেন, ‘কোভিড- ১৯ মহামারি আমাদের দেখিয়েছে উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশগুলোতে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা। একটি পরামর্শ বারবারই এসেছে- জনস্বাস্থ্য ও মহামারি বিশেষজ্ঞদের স্থায়ীভাবে সিটি করপোরেশন কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করা। বিশেষজ্ঞরা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন যে কিভাবে জনস্বাস্থ্য ও মহামারি বিশেষজ্ঞদের ওপর বিনিয়োগ সংক্রামক এবং অসংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে খরচ এবং প্রভাবকে ব্যাপকভাবে হ্রাস করতে পারে। বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য খাতে আরও ব্যাপক পরিসরে কাজ করার আছে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসি’র প্রতিটি ওয়ার্ডেই ব্যায়ামাগার করা হবে: মেয়র তাপস
তিনি বলেন, ‘প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের জন্য সিটি করপোরেশনকে আইন দ্বারা ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। আমি যতটুকু জানি সিটি করপোরেশনগুলোতে এপিডেমিওলজিস্ট অন্তর্ভুক্ত করণের জন্য অরগানোগ্রামে একটি প্রস্তাব আমাদের দেয়া হয়েছে, আমাদের কিছু সম্মিলিত অনুমোদন লাগবে। আরবান ও রুরাল হেলথ কেয়ারগুলোকে টেক কেয়ার করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দায়িত্বপ্রাপ্ত। মেগা হেলথকেয়ার সেন্টার যেমন- ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল- এসব জায়গায় যদি স্থানীয় সরকারকে ক্ষমতায়ন করা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের কিছুটা ভার বহন করা যাবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পরক্ষে তখন অনেক দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হবে।’
এই মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ১২টি সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগণ, ইউ এস সিডিসি এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. সুসান (নিলি) কায়ডোস-ড্যানিয়েলস, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অনো ভ্যান ম্যানেন, ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. শামীম জাহান, সেফটিনেট বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ডা. সৈয়দ হাসান আবদুল্লাহ, দেশের শীর্ষস্থানীয় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা এবং সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ ও সেফটিনেট বাংলাদেশের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা।
দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনে বাস্তবায়িত ‘বাংলাদেশের নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ কর্মসূচি’-টি জনস্বাস্থ্যগত কৌশলগত পরিকল্পনা, কার্যকারিতা ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিরোধমূলক নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ভূমিকা রেখে চলছে। এই লক্ষ্যে প্রতিটি নগরে এক জন করে জনস্বাস্থ্য রোগতত্ত্ববিদ সংযুক্ত করা হয়েছে–যারা নগর নেতৃত্বকে যথাযথ গবেষণালব্ধ তথ্যের ভিত্তিতে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক নীতিমালা ও কর্মকাণ্ড গ্রহণে সাহায্য করে চলছে। একইসঙ্গে এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনে বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে দুই মাসব্যাপী ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ভবন নির্মাণে কোড অমান্য হলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
২০ ফিটের কম প্রশস্তের রাস্তার উন্নয়নে কোনো বরাদ্দ নেই: মেয়র আতিক
২ বছর আগে
২৫ অর্থবছরের মধ্যে বাজেট ঘাটতি ৫% এর মধ্যে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য সরকারের
সরকার বর্তমান ৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মধ্যে বাজেট ঘাটতিকে জিডিপির ৫ শতাংশের মধ্যে ফিরিয়ে আনবে।
একটি সরকারি বাজেট নথি অনুসারে, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি ৫ দশমিক ১ শতাংশ হবে বলে অনুমান করা হয়েছে।
২০২১-২০২২ অর্থবছরে সংশোধিত ঘাটতি ছিল ৫ দশমিক ১ শতাংশ। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ৩ দশমিক ৭ শতাংশ।
কোভিড-১৯ মহামারির প্রাদুর্ভাবের আগে বর্তমান ঘাটতি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ছিল: ১৫ অর্থবছর থেকে ১৯ অর্থবছর পর্যন্ত ঘাটতি গড় জিডিপির ৩ দশমিক ৫ শতাংশ ছিল।
নথি অনুযায়ী, চলমান ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের জিডিপির আকার ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা।
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য এটি ৪৯ লাখ ৯১ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা হবে এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৫৬ লাখ ৬ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা।
নথিতে বলা হয়েছে, বাজেট ঘাটতি কমাতে সরকার অভ্যন্তরীণ সম্পদের ওপর নির্ভর করবে।
চলমান ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপির ৩ দশমিক ৩ শতাংশ আসবে অভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে এবং জিডিপির ২ দশমিক ৪ শতাংশ আসবে ব্যাংকিং খাত থেকে।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট পাস
নথি অনুযায়ী, বহিরাগত অর্থায়ন চলমান অর্থবছরে জিডিপির প্রায় ২ দশমিক ২ শতাংশ অবদান রাখবে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিডিপির ২ দশমিক ৯ শতাংশ আসবে অভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে এবং জিডিপির ২ দশমিক ৩ শতাংশ আসবে ব্যাংকিং খাত থেকে।
বাহ্যিক অর্থায়ন চলতি অর্থবছরে জিডিপির প্রায় ২ দশমিক ২ শতাংশ অবদান রাখবে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে জিডিপির ২ দশমিক ৮ শতাংশ আসবে অভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে এবং ২ দশমিক ৩ শতাংশ আসবে ব্যাংকিং খাত থেকে।
নথি অনুসারে, বাহ্যিক অর্থায়ন চলমান অর্থবছরে জিডিপির প্রায় ২ দশমিক ৩ শতাংশ অবদান রাখবে।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মারাত্মক ধাক্কা খেয়েছিল।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল, তখন নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় বিশ্ব আরেকটি ধাক্কা খায়।
নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে একটি সম্ভাব্য বিশাল বৈশ্বিক সরবরাহ-সাইড শক প্রবৃদ্ধি হ্রাস করতে পারে এবং মুদ্রাস্ফীতিকে ধাক্কা দিতে পারে, যা কোভিড-১৯-পরবর্তী পুনরুদ্ধারকে প্রভাবিত করবে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং পরবর্তীতে রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সরবরাহকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
আরও পড়ুন: বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
নথিতে বলা হয়েছে যে রাশিয়া বিশ্বের প্রায় ১০ শতাংশ শক্তি সরবরাহ করে, যার মধ্যে ১৭ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস এবং ১২ শতাংশ তেল রয়েছে।
তেল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি শিল্পের খরচ বাড়াবে এবং ভোক্তাদের প্রকৃত আয় হ্রাস করবে।
বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশে রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি বর্তমানে স্পষ্ট।
দেশে ১২ মাসের গড় মূল্যস্ফীতি ২১ অর্থবছরে ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। বাণিজ্য অংশীদারদের মুদ্রাস্ফীতির পরিস্থিতি বিবেচনা করে, ২২ অর্থবছরের জন্য মুদ্রাস্ফীতির অনুমান সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ২৩ অর্থবছরের জন্য ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
অন্যদিকে, পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ২২ মার্চ ৬ দশমিক ২৯ শতাংশে উন্নীত হচ্ছে, যা আগের বছর ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ ছিল।
আরও পড়ুন: বাজেট বাস্তবায়নে সুশাসন বড় চ্যালেঞ্জ: এফবিসিসিআই
২ বছর আগে
নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় ব্রাজিলের নতুন প্রেসিডেন্টকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বলেছেন, দুই দেশের জনগণের স্বার্থে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে তিনি ব্রাজিলের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘একই সঙ্গে আমরা এই কঠিন সময়ে বিশ্বের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্যও কাজ করতে পারি। আমরা এখনও মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য লড়ছি এবং ইউক্রেন সংকটের মুখোমুখি হয়েছি।’
আরও পড়ুন: ইতালির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী মেলোনিকে শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আপনার অসাধারণ বিজয়ের জন্য আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ব্রাজিল পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগে আরও ব্যাপক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উপভোগ করে।
তিনি বলেন,‘দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে বন্ধন সময়ের সঙ্গে আরও গভীর ও প্রশস্ত হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী তার সুস্বাস্থ্য ও সুখ এবং ব্রাজিলের জনগণের অব্যাহত অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
আরও পড়ুন: জ্বালানি সহযোগিতায় সম্মত বাংলাদেশ ও ব্রুনাই
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ-ব্রুনাই দ্বিপক্ষীয় আলোচনা সম্পন্ন
২ বছর আগে
মহামারি শুরু হওয়ার পর করোনাভাইরাসে মৃত্যু সর্বনিম্ন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান বুধবার বলেছেন যে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর সংখ্যা গত সপ্তাহে সবচেয়ে কম গণনা করা হয়েছে। যা এই মহামারি সময়ে একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে।
জেনেভায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচও এর মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেইয়েসাস বলেন, বিশ্ব কোভিড-১৯ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এর চেয়ে ভালো অবস্থানে আগে ছিল না।
ম্যারাথন দৌড়বিদদের ফিনিশ লাইনে পৌঁছানোর প্রচেষ্টার সাথে তুলনা করে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও সেখানে যেতে পারিনি, কিন্তু এর শেষ দেখা যাচ্ছে। দৌড়ানো থামানোর জন্য বর্তমান সময়টি সবচেয়ে খারাপ। এখনই সময় আরও জোরেশোরে দৌড়ানোর এবং ফিনিশ লাইন অতিক্রম নিশ্চিত করা। যাতে আমরা আমাদের কঠোর পরিশ্রমের পুরস্কার ছিনিয়ে নিতে পারি।’
মহামারি নিয়ে সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, গত সপ্তাহে মৃত্যু ২২ শতাংশ কমেছে। এসময় বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর সংখ্যা ছিল মাত্র ১১ হাজারের কিছু বেশি। ৩১ লাখ নতুন সংক্রমণ দেখা দিয়েছে, যা ২৮ শতাংশ কম। বিশ্বের প্রতিটি অংশে সংক্রমণে এক সপ্তাহে দীর্ঘ পতন দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে সোমালিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মসূচি চালু
তবুও, ডব্লিউএইচও সতর্ক করেছে যে বিশ্বের অনেক দেশে নমুনা পরীক্ষায় শিথিলভাব আছে এবং এতে সংক্রমণের অনেক ঘটনা আড়ালেই থেকে গেছে। সংস্থাটি কোভিড-১৯ এর প্রত্যাশিত শীতকালীন বৃদ্ধির আগে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করার জন্য সরকারগুলোর জন্য নীতিমালা জারি করেছে এবং সতর্ক করা হয়েছে যে ভাইরাসের নতুন ধরনের বৃদ্ধি কমিয়ে পূর্বের অবস্থায় আনতে হবে।
তেদ্রোস বলেন, ‘যদি আমরা এখনই এই সুযোগ গ্রহণ না করি, তাহলে আমরা আরও বৈচিত্র্য, আরও মৃত্যু, আরও ব্যাঘাত এবং আরও অনিশ্চয়তার ঝুঁকি নিয়ে ফেলব।’
আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ফের করোনায় মৃত্যু হার বেড়েছে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
২ বছর আগে
ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় বিশ্ব প্রতিনিধিদের সচেতনতা বাড়াতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় বিশ্ব প্রতিনিধিদের সচেতনতা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোকে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে এবং একইসঙ্গে স্বাস্থ্য গবেষণায় আরও জোরালোভূমিকা রাখতে হবে।
মঙ্গলবার ভুটানের পারো শহরে শুরু হওয়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আয়োজিত পাঁচদিনব্যাপী সাউথ ইস্ট এশিয়ান রিজিওনাল অর্গানাইজেশনের (এসইএআরও ) আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
পাঁচদিনব্যাপী এই আঞ্চলিক সভায় সদস্য দেশগুলো উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কৌশল অন্যদেশে কীভাবে সাফল্যের সঙ্গে কার্যকরভাবে ব্যবহার করে সাফল্য অর্জন করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
দেশগুলো ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলা, কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা, সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাসহ অসংক্রামক ব্যাধি মোকাবিলার কৌশল নির্ধারণসহ সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে একযোগে কাজ করার কৌশল নির্ধারণ করবে।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সভার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং।
আরও পড়ুন:অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সভায় এসইএআরও ভুক্ত ১০টি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের মধ্যে আটটি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক সভায় প্রথম দিনের কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন।
সভায় কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফলপ্রসু দিক নির্দেশনা ও সার্বিক পরামর্শের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল এতে অংশগ্রহণ করেছেন।
তারা হচ্ছেন- স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম, উপ-সচিব খন্দকার জাকির হোসেন, উপ-সচিব মোহাম্মদ শাহাদত খন্দকার, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মেখালা সরকার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আরাফাতুর রহমান।
আরও পড়ুন:দেশে প্রতিদিন যক্ষায় ১০০ জনের বেশি মানুষ মারা যায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে