যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ কোটি ৬৯ লাখ ৮৫১ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা গেছেন ৩২ লাখ ৬৯ হাজার ৮৪১ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ২৬ লাখ ৫১ হাজার ৩৬ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৫ লাখ ৮০ হাজার ৮৮৬ জন।
এদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১৯ হাজার ১১৪ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ ৮২ হাজার ৪৪৯ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ ল্যাটিন আমেরিকার এই দেশটি। করোনা মহামারির প্রকোপ শুরু হবার পর গেল এপ্রিলেই সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখতে পায় ব্রাজিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: মোমেন
অপরদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে চলমান করোনার প্রকোপে এই পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ১৮ লাখ ৯২ হাজার ৬৭৬ জন এবং মারা গেছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ২৭০ জন।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্ত আরও কমেছে বলে শুক্রবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, করোনায় আরও ৩৭ জন মারা গেছেন। এনিয়ে মোট মৃত্যু ১১ হাজার ৮৩৩ জনে দাঁড়াল।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬৮২ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৭০ হাজার ৮৪২জনে পৌঁছেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় ৪১ জন মারা গেছেন এবং ১ হাজার ৮২২জন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ১৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ৯.৮৯ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ১৭৮ জন। মোট সুস্থ ৭ লাখ ৪ হাজার ৩৪১ জন। সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫৪ শতাংশ।
এদিকে, বৃহস্পতিবার করোনার টিকা সংগ্রহের ব্যাপারে জনগণকে বরাবরের মতোই আশ্বস্ত করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকার সকল উৎস থেকেই করোনার টিকা সংগ্রহের সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই রাশিয়ার কাছ থেকে স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিন সংগ্রহে চুক্তি সম্পাদনের পর্যায়ে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য দেশে উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকা সংগ্রহের চেষ্টাও অব্যাহত রেখেছে সরকার।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘অক্সফোর্ড টিকার জন্য ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটকে ৩ কোটি টিকা সরবরাহের টাকা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা মাত্র ৭০ লাখ ডোজ পেয়েছি। এছাড়া ভারতের সরকারের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ৩০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়া গেছে। কিন্তু বর্তমানে আমাদের কাছে পর্যাপ্ত টিকা নেই, যা আছে তা দ্বিতীয় ডোজের জন্য ব্যবহার করতে হবে।’