যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ কোটি ৭৬ লাখ ৯০ হাজার ৩২৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা গেছেন ৩২ লাখ ৮৩ হাজার ৪৮ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৫ লাখ ৮৩ হাজার ৪৮ জন।
এদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২১ হাজার ৩১৬ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৫১ লাখ ৪৫ হাজার ৮৭৯ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ ল্যাটিন আমেরিকার এই দেশটি। করোনা মহামারির প্রকোপ শুরু হবার পর গেল এপ্রিলেই সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখতে পায় ব্রাজিল।
অপরদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে চলমান করোনার প্রকোপে এই পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ২২ লাখ ৯৬ হাজার ৮১ জন এবং মারা গেছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৩৪৭ জন।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত কমলেও মৃত্যু আরও বেড়েছে বলে শনিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, করোনায় আরও ৪৫ জন মারা গেছেন। এনিয়ে মোট মৃত্যু ১১ হাজার ৮৭৮ জনে দাঁড়াল।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ২৮৫ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৭২ হাজার ১২৭ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে শুক্রবার অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ জন মারা গেছেন এবং ১ হাজার ৬৮২ জন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৭০৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ৮.৭৪ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৪৯২ জন। মোট সুস্থ ৭ লাখ ৬ হাজার ৮৩৩ জন। সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত: আইইডিসিআর
এদিকে, বাংলাদেশে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।
শনিবার দুপুরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে সংস্থাটি।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের একটি নমুনা পরীক্ষায় ভারতীয় স্টেইন ধরা পড়েছে, যা জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটাতে (জিএসআইডি) প্রকাশিত হয়েছে।
এ বিষয়ে আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএসএম আলমগীর ইউএনবিকে বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতালে একটি নমুনা পাওয়া গিয়েছে। সেটি আমি দেখেছি। আর না ধরা পড়লে তো এধরনের কোনও তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করেনি।
কয়জনের মধ্যে এরকম ধরন পাওয়া গেছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত কয়জনের মধ্যে পাওয়া গেছে সেই সংখ্যাটা এখনও আমাদের কাছে আসেনি, তাই বলতে পারছি না।