এদিকে, রহস্যময় এ রোগের বিষয়ে জানতে তদন্তে নেমেছেন দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
স্থানীয় চিকিৎসকদের বরাতে রবিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগই অন্ধ্র প্রদেশের এলুরু শহরের বাসিন্দা এবং তাদের মধ্যে বমিভাব থেকে শুরু করে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ার হওয়ার মতো বিভিন্ন উপসর্গ রয়েছে।
জরুরি প্রয়োজন বিবেচনায় ওই এলাকার সরকারি হাসপাতালগুলোর বেড খালি রাখা হয়েছে।
দেশটিতে করোনাভাইরাস ব্যাপক সংক্রমণের মধ্যেই রহস্যজনক এই রোগ দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, অসুস্থ সবার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু তাদের কারও শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
এলুরু সরকারি হাসপাতালের একজন চিকিৎসক দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, ‘অসুস্থদের মধ্যে বিশেষ করে শিশুরা চোখে জ্বালাপোড়া হওয়ার কথা জানিয়ে হঠাৎ করেই বমি করা শুরু করে। তাদের মধ্যে অনেকে আবার অজ্ঞান বা খিঁচুনির শিকার হয়েছে।’
তবে অসুস্থদের অনেকে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং পরে তাদের হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।
অন্ধ্রপ্রদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রী আলা কালী কৃষ্ণা শ্রীনিভাস জানিয়েছেন, রক্ত পরীক্ষায় অসুস্থদের শরীরে কোনো ধরনের ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েনি।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এলুরু সফর করে এখানকার পানি ও বাতাসে কোনো ধরনের দূষণের কারণে এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মত দিয়েছেন। নানা ধরনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ল্যাবে সেসব পরীক্ষার পরই আসল কারণ জানা যাবে।’
তবে কোনো দূষণের কারণেই রহস্যজনক এই রোগ দেখা দিয়েছে উল্লেখ করে, এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তদন্তের দাবি জানিয়েছে অন্ধ্র প্রদেশের বিরোধী দল তেলেগু দেশম পার্টি।