তবে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র আর কোনো ‘সামরিক পদক্ষেপ বা আগ্রাসন’ চালালে তার ‘কঠোর’ জবাব দেয়া হবে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মজিদ তখত রাভঞ্চি।
বুধবার রাতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ও মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বরাবর দেয়া এক চিঠিতে তিনি বলেন, ‘ইরান ইরাকে অবস্থিত একটি মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে যেখান থেকে শহীদ (কাসেম) সোলাইমানির ওপর কাপুরুষোচিত সশস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল।’
জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ইরান তাদের আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করেছে বলে জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, ‘অভিযানটি সুনির্দিষ্ট ছিল এবং সামরিক লক্ষ্যবস্তুতেই হামলা চালানো হয়েছে যাতে বেসামরিক মানুষের সম্পদ ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের চিফ অব স্টাফ জেনারেল মার্ক মাইলি এবং দেশটির প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পশ্চিম ইরাকের আল-আসাদ ঘাঁটিতে ইরানের ১১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মাঝারি ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নাগরিক নিহত বা আহত হননি।
তবে ওই হামলায় বেশ কয়েকজন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইরান।