ইরাকের প্রভাবশালী শিয়া নেতা রাজনীতি থেকে পদত্যাগের ঘোষণার পর দেশটির রাজাধানী বাগদাদে তার সমর্থকদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
শিয়া নেতা মুকতাদা আল-সদরের সমর্থকরা দড়ি দিয়ে সরকারি প্রাসাদের বাইরের সিমেন্টের বাধা টেনে নামিয়ে দেয় এবং প্রাসাদের গেট ভেঙ্গে ফেলে, যেখানে দেশটির বিভিন্ন সরকারি ভবন এবং কূটনৈতিক মিশন রয়েছে।
এ ঘটনায় ইরাকের সামরিক বাহিনী দেশব্যাপী কারফিউ ঘোষণা করেছে এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী সহিংসতার প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রিসভার অধিবেশন স্থগিত করেছেন।
চিকিৎসা কর্মকর্তারা বলেছেন, দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে গুলি ও কাঁদানে গ্যাস এবং সংঘর্ষে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছে।
গ্রিন জোনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিশেষ বাহিনী বিভাগের অন্তত একজন সৈনিক নিহত হয়েছেন। একজন বেসামরিক নারীসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন। বেশ কয়েক রাউন্ড মর্টারের শব্দ শোনা গেছে।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন, সংঘর্ষে মর্টার এবং রকেট চালিত গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছে।
গত বছরের অক্টোবরের সংসদীয় নির্বাচনে আল-সদরের দল সবচেয়ে বেশি আসন জিতেছে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট নয় বলে ইরাকের সরকার অচল অবস্থায় পড়ে। তারা ইরান-সমর্থিত শিয়া প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে আলোচনা করতে অস্বীকৃতি এবং পরবর্তীতে আলোচনা থেকে প্রস্থান দেশটিতে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং অস্থিরতা দেখা দেয়।
ইরাকের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনসংখ্যা শিয়া ও সুন্নি এই দুই দলে বিভক্ত। সাদ্দাম হোসেনের অধীনে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন আগ্রাসন রাজনৈতিক শৃঙ্খলাকে উল্টে না দেয়া পর্যন্ত শিয়ারা নিপীড়িত ছিল। এখন শিয়ারা নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে, বিরোধ ক্ষমতা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদকে কেন্দ্র করে তারা রাস্তায় প্রভাব বিস্তার করছে।