বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯ কোটি ২২ লাখ ৯১ হাজার ৩৩ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৯ লাখ ৭৭ হাজার ৮৯৩ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে ২ কোটি ৩০ লাখ ৭১ হাজার ৫৬ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৬৩৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে প্রায় ৪ হাজার মানুষ মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দেশে কোভিড টিকা দেয়া শুরু হবে: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে লুটপাটের আয়োজন চলছে, অভিযোগ বিএনপির
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৪ লাখ ৯৫ হাজারের বেশি এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৫১ হাজার ৫২৯ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৮২ লাখ ৫৬ হাজারের বেশি এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ৯৬৪ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ৮৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, ৮৯০ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ২৪ হাজার ৯১০ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বুধবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জরুরি ব্যবহারের আগে চীনা ভ্যাকসিন উৎপাদকদের সাথে কাজ করছে ডব্লিউএইচও
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১৯৯ ল্যাবে আরটি-পিসিআর, জিন এক্সপার্ট ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৬ হাজার ৩৩৮টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৭২৭টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৩৪ লাখ ১ হাজার ৫০৬টি।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: কোভিড টিকা সংগ্রহ ও বিতরণে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান টিআইবির
নতুন যে ১৪ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৬ এবং নারী ৮ জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ৯৪৩ জন বা ৭৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ৮৯০ জন বা ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৮৪১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৫২২ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: আগামী ১০০ দিনে ঝুঁকিতে থাকাদের কোভিড টিকাদানে সরকারদের প্রতি ডব্লিউএইচওর প্রধানের আহ্বান
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।