সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে শুক্রবার একটি হোটেলে সশস্ত্র বন্দুকধারীদের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে বলে পুলিশ ও প্রতক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
শনিবার পুলিশ জানিয়েছে, মোগাদিসুর জনপ্রিয় হায়াত হোটেলে এই হামলায় শিশুসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে।
সন্ত্রাসীরা ভবনে ঢোকার আগে হোটেলের বাইরে বিস্ফোরণের মাধ্যমে হামলা শুরু করে।
হামলা শুরুর প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরও দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী হোটেলটি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করছে। স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যার দিকেও সেখানে গুলির শব্দ শোনা গেছে। নিরাপত্তা বাহিনী হোটেলের ওপরের তলায় লুকিয়ে থাকা বন্দুকধারীদের আটকের চেষ্টা করেছে।
দেশটির ইসলামী চরমপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠী আল-শাবাব হামলার দায় স্বীকার করেছে।
সোমালিয়ায় মার্কিন দূতাবাস এক টুইট বার্তায় এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘আমরা নিহত প্রিয়জনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই, আহতদের পূর্ণ সুস্থতা কামনা করি।’
নিহতদের পরিচয় সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলা হয়নি। তবে অনেকেই বেসামরিক নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মোগাদিশুর মদিনা হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবদিরহমান এপিকে বলেন, হামলায় আহত অবস্থায় ৪০ জনকে সেখানে ভর্তি করা হয়েছে। নয়জনকে চিকিৎসার পর বাড়ি পাঠানো হলেও পাঁচজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল্লাহি হুসেন ফোনে এপিকে বলেছেন, ‘আমরা যখন হোটেলের লবির কাছে চা খাচ্ছিলাম তখন প্রথম বিস্ফোরণের পর গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই। এরপর আমি দ্রুত নিচতলায় হোটেলের কক্ষের দিকে ছুটে যাই এবং তালা লাগিয়ে দেই। জঙ্গিরা ওপরের তলায় গিয়ে গুলি শুরু করে। নিরাপত্তা বাহিনী এসে আমাকে উদ্ধার না করা পর্যন্ত আমি রুমের ভিতরেই ছিলাম।’
হোটেলের রিসেপশনের বাইরে মাটিতে বেশ কিছু লাশ পড়ে থাকতে তিনি দেখেছেন বলে জানিয়েছেন।