বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়েছে, ক্ষমতা হারানোর পর, ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি সাইরাস ভ্যানস জুনিয়রের নেতৃত্বে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘ট্রাম্প অর্গানাইজেশন’ নিয়ে নিউইয়র্কের ম্যানহাটন ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিসের তদন্তটি বর্তমানে বেশ আলোচিত এবং সমালোচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিভিন্ন আইনি সুবিধা নেয়া ট্রাম্প, ক্ষমতা হস্তান্তরের পরপরই নিশ্চিতভাবে বিভিন্ন আইনি জটিলতার মুখে পড়বেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যাংক ও বীমা জালিয়াতি, কর ফাঁকি ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নথিপত্র জালিয়াতির তদন্ত গতি পেতে পারে বলে ধারণা হচ্ছে। এছাড়া ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুই নারীর করা যৌন নির্যাতন মামলা এবং ব্যক্তিগত স্বার্থে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও সম্পদ ব্যবহারের অভিযোগের বিস্তৃত তদন্তও শুরু হতে পারে।
তবে ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করার জন্য কোনো তদন্তে পর্যাপ্ত প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।
এদিকে ট্রাম্প বলেছেন, ক্ষমতা ছাড়ার আগে নিজেই নিজেকে ক্ষমা করার নির্দেশনায় স্বাক্ষর করার ‘সঠিক অধিকার’ তার রয়েছে। তবে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারেন কিনা সে বিষয়ে দেশটির সংবিধানে স্পষ্ট নির্দেশনা নেই এবং এখন পর্যন্ত কোনো প্রেসিডেন্ট সেটি করার চেষ্টাও করেননি।
প্রেসিডেন্টরা তাদের নিজেদের ক্ষমার আদেশে স্বাক্ষর করতে পারেন না উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের ১৯৭৪ সালের বিচার বিভাগের মতামতে বলা হয়েছে, ‘নিজের মামলায় কেউ নিজের বিচারক হতে পারেন না, কারণ এটি মৌলিক বিধির লঙ্ঘন।’