পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে এ সংবাদ জানিয়েছে এপি।
তুষার চিতা হিসেবে পরিচিত অং রিতা প্রথমবারের মতো ১৯৮৩ সালে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতের চূড়ায় আরোহণ করেন।
নিজের অর্জনের জন্য আন্তর্জাতিক খ্যাতি পাওয়া প্রথম শেরপা গাইডদের একজন অং রিতা অনেক বছর ধরে বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যা ভুগছিলেন এবং ১৯৯৬ সালে এভারেস্ট জয়ে রেকর্ড করার পর আর কোনো পর্বতে আরোহণ করেননি।
তার মেয়ে দোলমা লামো জানান, তার বাবা সোমবার নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর উপকণ্ঠের বাসায় ঘুমের মাঝে মারা যান।
অং রিতা জাতীয় বীর হলেও অর্থনৈতিক সংকটে ছিলেন। তিনি যকৃত ও মস্তিষ্কের সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন। চিকিৎসার জন্য ১৯৯৯ সালে তাকে পাহাড়ি গ্রামের বাড়ি থেকে হেলিকপ্টারে করে কাঠমান্ডুর হাসপাতালে আনা হয়। মস্তিষ্কের রোগ বহাল থাকায় তিনি ২০১৭ সালে কয়েক মাস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
শেরপারা হিমালয় অঞ্চলের এক জাতিগত গোষ্ঠী। তাদের অনেকে বিদেশি পর্বত আরোহীদের গাইড ও সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করেন। তারা গ্রাহকদের চূড়ায় পৌঁছাতে সাহায্য করার জন্য মালামাল বহন এবং তুষার ও বরফের মাঝে রাস্তা তৈরি করে থাকেন। কিন্তু এমন কঠিন কাজ করেও তাদের স্বীকৃতি মেলে খুব কমই।
অং রিতা তার সময়ে সর্বোচ্চবার এভারেস্ট জয়ের যে রেকর্ড করেছিলেন পরে অনেক পর্বত আরোহী তা ভেঙে দিয়েছেন। কামি রিতা (অং রিতার কেউ নন) নামে একজন ২৯ হাজার ২৩৫ ফুট উচ্চতার চূড়া ডিঙিয়েছেন মোট ২৪ বার।