দ্বিতীয় দিনের পর তৃতীয় কার্যদিবসেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার;সবকটি সূচক কমেছে ঢাকা-চট্টগ্রামের বাজারে, দর হারিয়েছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৪ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ১২৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০২ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২১৮ কোম্পানির মধ্যে ৫৬ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৩৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ২৪ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭ কোম্পানির।
৩৫ কোম্পানির ২৮ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ৬ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৮৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৯২ কোটি টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার কাত্তালি টেক্সটাইল লিমিটেড। অন্যদিকে ১০ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মেঘনা কনডেন্স মিল্ক।
আরও পড়ুন: সূচকের উত্থান-পতনের দোলাচলে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৫ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৮৯ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৭, কমেছে ১০১ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ১৬ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ১০ কোটি টাকা।
৯.৯৮ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ড্যাফোডিল এবং ৯.৮৯ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে আইসিবি।