শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সফররত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংয়ের মধ্যে আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক জানান, ভুটান বাংলাদেশের বাজারে তাদের ১৬টি পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার চেয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ভুটানের বাজারে ১০টি পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার চেয়েছে।
তিনি জানান, ‘ভুটানের ১৬টি পণ্যের বাংলাদেশের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারের বিষয়টি বিবেচনার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশা করা যায় এটি কার্যকর করা হবে।’
‘বৈঠকে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে (ভুটানের পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারের বিষয়ে)। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভুটানে আমাদের ১০টি পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার নিয়ে আলোচনা করা হবে। দুদেশই এটি কার্যকরের বিষয়ে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। এখন এটি বাস্তবায়ন পর্যায়ে কাজ করতে হবে,’ যোগ করেন পররাষ্ট্র সচিব।
দুদেশের ঘণ্টাব্যাপী আনুষ্ঠানিক বৈঠকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন এবং ভুটানের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর অভ্যন্তরীণ নৌপথ, স্বাস্থ্য, কৃষি ও পর্যটন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং জনপ্রশাসন প্রশিক্ষণের বিষয়ে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ ও ভুটান।
চার দিনের সরকারি সফরে শুক্রবার সকালে বাংলাদেশে আসেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।