বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানিকৃত তুলাবোঝাই ট্রাকে কীটনাশকসহ অন্যান্য চোরাই পণ্য আমদানির অভিযোগে ৭ কোটি টাকা মূল্যের একটি ‘র কটোনের’চালান আটক করা হয়েছে।
বন্দরের ভারতীয় ট্রাক টার্মিনাল থেকে রবিবার রাতে পণ্য চালানটি আটক করে কাস্টমস কর্মকর্তারা।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস লিমিটেড ভারত থেকে তুলা আমদানি করেন। পণ্যচালানটি ১৭টি ট্রাকে করে আমদানি করা হয়। যার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কলকাতার রোটাস ড্রেসইসফাস কোম্পানি লিমিটেড। পণ্যচালানটি বন্দরে প্রবেশের পর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কমিশনার আ. আজিজের নির্দেশে ডাক্লুবি ৫১-৫৪৩৮ নাম্বারের ভারতীয় ট্রাকটি আটক করেন যুগ্ম কমিশনার-১ আব্দুর রশিদ মিয়া।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন কড়াকড়িতে বেনাপোলে যাত্রী যাতায়াত কমেছে
পরে পণ্যচালানটি আইআরএমের ডেপুটি কমিশনার অনুপম চাকমার নেতৃত্বে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে ঘোষণা বহির্ভুত কীটনাশক, তামাক ও সবজির বীজ পাওয়া যায়।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমনা সজন জানান, একটি বহিরাগত চোরাচালানী চক্র ভারতীয় তুলোর ট্রাকে এসব পণ্য তুলে দিয়েছে। মালের মধ্যে মিথ্যা ঘোষণার কোন পণ্য পাওয়া যায়নি। পাওয়া গেছে ভারতীয় ট্রাকের মধ্যে। এ দায় দায়িত্ব কেবল ভারতীয় ট্রাক চালাককেই নিতে হবে। এ ঘটনায় আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কোনভাবেই জড়িত নয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১২০ মেট্রিক টন বিস্ফোরক আমদানি
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া জনান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে বৈধ আমদানিকারকদের ক্ষেত্রে কাস্টমস সব সময় ট্রেড ফেসিলিটিশন নীতি অবলম্বন করে আসছে। কিন্ত অবৈধ আমদানিকারকদের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে কাজ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় কাস্টমস একটি বিভাগীয় মামলা দায়ের করেছে। দি কাস্টমস এজেন্টস লাইসেন্সিং রুলস ২০০২ অনুযায়ী লাইসেন্সটি সময়িক বাতিল করার নির্দেশনা দেয়া হয়।