ঢাকার সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এবং মার্কিন এনজিও মাইক্রোফিনান্স অপারচুনিটিজের (এমএফও) ‘মেসিভ শিফট টু ডিজিটাল ওয়েজস পেমেন্টস ইন বাংলাদেশ আরএমজি সেক্টর’ শীর্ষক যৌথ জরিপে এটি উঠে এসেছে।
জরিপে দেখা গেছে, মে মাসের বেতন পাওয়া পুরুষ এবং নারী শ্রমিকদের সংখ্যার মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬৪ শতাংশ নারী বেতন পেয়েছেন, যেখানে পুরুষ শ্রমিকদের এ হার ৭৪ শতাংশ ।
গবেষকরা ফোনে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের এক হাজার ৩৩৮ কর্মীর ওপর এ সমীক্ষা করেছেন।
এর আগে শ্রমিক এবং গবেষকরা পোশাক শ্রমিকদের দিনলিপি গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন। যেখানে ২০১৯ থেকে ২০২০ সালের জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত ১,৩০০ শ্রমিকের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল।
এতে অংশ নেয়া শ্রমিকরা দেশের পাঁচটি প্রধান শিল্পাঞ্চল (চট্টগ্রাম, ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ এবং সাভার) এর বিভিন্ন কারখানায় কাজ করেন।
জরিপের অনুসন্ধানে বলা হয়েছে, ১৫ মে পর্যন্ত বেতনভুক্ত শ্রমিকদের ৮২ শতাংশই কোনো না কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে (বিকাশ, রকেট, নগদ বা ব্যাংকের) তাদের বেতন পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। যা গত এপ্রিলে চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি। ওই মাসে পোশাক খাতের ২৮ শতাংশ শ্রমিককে ডিজিটাল মাধ্যমে বেতন দেয়া হয়েছিল। এক মাসের ব্যবধানে নগদ থেকে ডিজিটাল মাধ্যমে এত বেতন দেয়া নজিরবিহীন ঘটনা বলা চলে।
নারী এবং পুরুষ উভয়কে যথাক্রমে ৮২ এবং ৮৪ শতাংশ হারে ডিজিটাল উপায়ে বেতন দেয়া হয়েছে।