শনিবার ইন্টারনেট সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ হস্তক্ষেপ চেয়েছে।
আইএসপিএবির সভাপতি মো. আমিনুল হাকিম বলেন, ‘আমরা ভ্যাট জটিলতা সমাধানের পাশাপাশি আইএলডিসি, আইআইজি এবং আইএসপি ইন্ডাস্ট্রিকে তথ্য-প্রযুক্তি সক্ষম পরিষেবাদি (আইটিইএস) ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করছি।’
আইএসপিএবি এ মাসের মধ্যে তাদের দাবি মানা না হলে ২-৩ ঘ্ণ্টা ব্রডব্যান্ড সংযোগ বন্ধ রাখার হুমকি দেন।
আমিনুল হাকিম বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে কর্মীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও বিল আদায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কমে গেলেও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে আসছে।
তিনি জানান, ইন্টারনেটে ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ভ্যালু চেইনের অন্যান্য (আইটিসি, আইআইজি, এনটিটিএন) খাতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারিত হওয়ায় ইন্টারনেট সেবা খাতে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
আমিনুল হাকিম বলেন, ‘আমরা এ সেক্টরে সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।’
দীর্ঘদিন ধরে সৃষ্টি হওয়া জটিলতার কারণে চলমান ইন্টারনেট সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে, তিনি যোগ করেন।
তিনি আরও বলেন, এ সমস্যা সমাধান না করা হলে প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টরনেটের মূল্য ৩০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
এর আগে ৫ এপ্রিল করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময় পরিষেবাগুলো নিরবচ্ছিন্ন রাখতে এবং এ খাতকে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য আইএসপিএবি ৬১০ কোটি টাকার সরকারি অনুদান চেয়েছিল।
আইএসপিএবি টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বারের কাছেও এ বিষয়ে একটি আবেদন জমা দিয়েছে।
তারা কমপক্ষে দুই বছর ধরে ইন্টারনেট সেবা সরবরাহকারীদের ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে।