এদিকে, বন্দরের কার্যক্রম চালু হওয়ায় কর্মহীন শ্রমিকসহ বন্দর ব্যবহারকারীদের মাঝে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসে।
গত শনিবার বিকালে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের চলমান সংকট নিরসনে জেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বন্দর সংশ্লিষ্ট ও প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম এই জরুরি সভা আহ্বান করেন। বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত টানা ৭ ঘণ্টাব্যাপী এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় দীর্ঘ আলোচনার পর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর লিমিটেড ও ইজারাদার এটিআই লিমিটেডের সাথে আমদানিকারক, ব্যবসায়ী ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সমঝোতা হয়। এরই ফলে দীর্ঘ ১৭ দিন পর রবিবার থেকে এ বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়।
জানা যায়, সভায় আমদানিকৃত পাথরের টন প্রতি ১০৪ টাকার মধ্যে পণ্য আনলোড বাবদ শ্রমিকদের প্রতি টনে ২৭ দশমিক ১১ টাকা এবং পণ্য লোডের জন্য আমদানিকারক ব্যবসায়ীদের প্রতি টন ২৪ টাকা প্রদান সাপেক্ষে উভয়পক্ষই একমত হন।
সভায় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) আনিছ আহমদ, উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর লিমিটেডের মহা-ব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. গোলাম আযম, পঞ্চগড় কাস্টমসের উপ বিভাগীয় কমিশনার (ডিসি) মো. হাফিজুল ইসলাম, পঞ্চগড় চেম্বারের সভাপতি আব্দুল হান্নান শেখ, ইজারাদার বাবুলসহ আমদানিকারক, ব্যবসায়ী, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, শ্রমিক, বন্দর সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে লেবার হ্যাল্ডেলিংয়ের জন্য ইজারাদার নিয়োগের পর থেকেই মাঝে মাঝেই অস্থির হয়ে উঠছিল চর্তুদেশীয় (বাংলাদেশ, ভারত, নোপাল ও ভুটান) ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভানাময় স্থলবন্দরটি।
বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে আমদানিকারক ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের দ্বন্দ্ব আর অসন্তোষের জেরে গত ৩০ আগস্ট থেকে এ স্থলবন্দর দিয়ে চতুর্দেশীয় সকল প্রকার পণ্য আমাদনি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মামুন সোবহান জানান, বন্দরের চলমান সমস্যা নিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আমদানিকারক, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে সমঝোতা হওয়ায় বন্দরের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম পূর্বের ন্যায় শুরু হয়েছে। এখন আর কোনো সমস্যা নেই।