করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়েছে- এখনো এমনটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ফলে বৈশ্বিক এ সমস্যাটিকে উন্নত দেশগুলোও গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। আক্রান্তদের সেবার পাশাপাশি নাগরিকদের আশ্বস্ত করা হচ্ছে। পরিস্থিতি কতোটা বিপর্যয়কর হলে কানাডার সরকার প্রধান ট্রুডো অঝোরে কাঁদছেন। দেশের মানুষকে নানাভাবে আশ্বস্ত করছেন। জরুরি অবস্থা জারি আছে।
ইতালিতে ঘরে বন্দি দশায় থেকে একজন বাংলাদেশি একটি ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে বলেছেন, ইতালি সরকার শুরুতে এই সমস্যার বিষয়টি আমলে নেয়নি। গুরুত্ব দেয়নি। এখন শত শত মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। তার মতো অনেক ভুক্তভোগী বাংলাদেশের সরকারসহ সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে এ সঙ্কট মোকাবিলার জন্য সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আসলেই পরিস্থিতি দিনকে দিন খারাপের দিকে যাওয়ার ইঙ্গিত কিন্তু সামনে দেখা যাচ্ছে। এ কারণে এখই বেশ কিছু বিষয়ে ভাবনাগুলো গুছিয়ে রাখতে হবে। নিতে হবে কিছু জরুরি সিদ্ধান্ত।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে শক্তভাবে। না হলে সিন্ডিকেট করে দেশকে অভাবের কাছে নিয়ে যাবে। এতে যারা ন্যূনতম খাবার বা নিত্যপণ্য পাবেন না, তারা অমানবিক আচরণ করতে পারেন।
তারা বলছেন না যে, অভাব এসেই যাবে বা চুরি ডাকাতি বেড়ে যাবে। কিন্তু সরকার বা দেশের বদনাম হতে পারে এমন অস্বাভাবিক আচরণ যদি নিত্যপণ্য না পাওয়া কেউ করেন তখন অবাক হবার কিছু থাকবে না। তাই এখন থেকেই কঠোরভাবে বাজার ব্যবস্থাপনা মনিটরিং করতে হবে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ নানা ধরনের পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। এছাড়া চাল, ডালসহ নিত্যপণ্য সরবরাহের বিষয়টিতে কোনো ঘাটতি আছে কীনা তা সময়ে সময়ে দেখতে হবে। মজুদদাররা যেনো ফায়দা নিতে না পারে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবায় অবহেলা না করার বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন অনেকেই। তারা বলেন, এই জায়গাটায় প্রশাসনের বেশি মনোযোগ দিতে হবে। এই ভাইরাস প্রতিরোধ ও রোগীদের সারিয়ে তোলার বিষয়ে একেবারে সুক্ষপরিকল্পনা করে কাজ করতে হবে। প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে একাধিক মনিটরিং সেল গঠন করা যেতে পারে। জনগনকে এ বিষয়ে সঠিক সেবা ও সঠিক তথ্য দেয়া গেলে কেউ গুজব ছড়াতে পারবে না।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই কঠিন বিপদ থেকে রক্ষা করুন। দেশের সব মানুষের জন্য দোয়া করতে হবে সবাইকে।