চিকিৎসা
বাংলাদেশে বিরল রোগ এসএমএ চিকিৎসায় আশার আলো
দেশে নিউরোমাসকুলার রোগের একটি পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা কেন্দ্র চালু হওয়ায় আশার আলো খুঁজে পেয়েছেন স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি (এসএমএ) আক্রান্ত শিশুদের মা-বাবারা।
মেরুদণ্ডের পেশী অ্যাট্রোফি (এসএমএ) একটি বিরল জিনগত রোগ, যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র, পেরিফেরাল স্নায়ুতন্ত্র ও স্বেচ্ছাসেবী পেশী আন্দোলনকে (কঙ্কালের পেশী) প্রভাবিত করে। এই রোগে প্রধানত শিশুরা আক্রান্ত হয়।
পেশী নিয়ন্ত্রণ করে এমন বেশিরভাগ স্নায়ু কোষ মেরুদণ্ডের কর্ডে অবস্থিত। এ কারণে রোগের নামটির সঙ্গে মেরুদণ্ড শব্দটি যুক্ত।
এতদিন দেশে এ রোগের চিকিৎসা করার সামান্য সুযোগ ছিল। তবে সচেতনতামূলক প্রচারণা, ক্লিনিক খোলাসহ নানা কর্মসূচির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত রোগী ও অভিভাবকরা এখন আশার আলো দেখছেন।
সম্প্রতি দেশে একটি পূর্ণাঙ্গ নিউরোমাসকুলার রোগ চিকিৎসা কেন্দ্রের যাত্রা শুরু হয়েছে। কারণ এ রোগের চিকিৎসায় বহুমুখী পদ্ধতি প্রয়োজন। একইভাবে আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে প্রয়োজনীয় প্রায় সব চিকিৎসা সেবাকে এক ছাতার নিচে এনে 'নিউরোমাসকুলার ডিজিজ ট্রিটমেন্ট সেন্টার' নামে একটি বিশেষ এসএমএ ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দেশে এই বিরল রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা বিকাশের জন্য সব পক্ষের সঙ্গে সমন্বিত প্রচেষ্টা করার বিষয়ে একমত পোষণ করেন এই ক্লিনিকের চিকিৎসকরা।
বিশিষ্ট নিউরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ ইউএনবিকে বলেন, বিশ্বে এখন পর্যন্ত বেশ কিছু ওষুধ অনুমোদিত হয়েছে। বাংলাদেশে এরই মধ্যে ওরাল ড্রাগ (রিসডিপ্লাম) অনুমোদন পেয়েছে। সরকারসহ বিভিন্ন দল ওষুধের দাম ও আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র নিয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আগামীতে ওষুধের দাম সবার নাগালের মধ্যে চলে আসবে।’
অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, হতাশ হবেন না। এসএমসি নিয়েও স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব। বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান তিনি।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ডা. মো. বদরুল আলম বলেন, এসএসএ বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল চিকিৎসা সেবা এবং ওষুধের দামও বেশি। এ রোগের একটি ভ্যাকসিনের জন্য খরচ হয় প্রায় ২২ কোটি টাকা। দেশে ওরাল মেডিসিনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফলে এর দাম নেমে এসেছে ৩ লাখে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটি সবার পক্ষে এটি কেনা সম্ভব হয় না। তাই এ ব্যাপারে সরকারের আন্তরিকতা খুবই প্রয়োজন। তবে এর জন্য সারা দেশের রোগীদের একটি পূর্ণাঙ্গ পরিসংখ্যান প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সব পক্ষকে একযোগে কাজ করা উচিত।’
তিনি বলেন, তবে আশার কথা হচ্ছে, চিকিৎসা সেবা ও স্বল্পতার কারণে ওষুধের প্রয়োজনীয়তা খুব একটা অনুভূত হচ্ছে না। তাই সুষ্ঠু সেবা নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া দেশের প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার উল্লেখ করে কিউর এসএমএ বাংলাদেশের সহসভাপতি হাছান মাহমুদ বলেন, এই বিরল ও দুরারোগ্য ব্যাধির পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা ব্যবস্থা এখনো গড়ে ওঠেনি। এ অবস্থায় কিউর এসএমএ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সদস্যরা এই এসএমএস ক্লিনিককে সাফল্য হিসেবে দেখছেন।
এখন থেকেই এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা রয়েছে সংগঠনটির। সংগঠনটি ইতোমধ্যে এসএমএ সচেতনতা বিষয়ে সেমিনার, ভার্চুয়াল পরামর্শ সভা, র্যালিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে।
এসএমএ বা স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি একটি দুরারোগ্য বিরল রোগ। এই বিরল জিনগত ব্যাধিটি পেশীগুলোর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে এমন মোটর নিউরনগুলোর ক্ষতির কারণে ঘটে। রোগের তীব্রতার উপর ভিত্তি করে এসএমএ ধরন-১ থেকে ধরন-৪ পর্যন্ত হয়ে থাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে এসএমএ লক্ষণগুলো বিকাশের আগে প্রাথমিক চিকিৎসা করা, আরও ভাল চিকিৎসার ফলাফলের জন্য সহায়ক। নবজাতকের স্ক্রিনিংয়ের সাহায্যে প্রাথমিক চিকিৎসা করা যেতে পারে।
আক্রান্ত শিশুকে ওষুধের পাশাপাশি থেরাপিসহ সহায়ক যত্নের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফেরানো যেতে পারে। এমনকি গর্ভাবস্থায় অ্যামনিওটিক ফ্লুইড পরীক্ষা করেও অনাগত সন্তান আক্রান্ত কিনা তা জানার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। তাই সচেতনতাই এ রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে বলেও জানান তারা।
১ মাস আগে
চিকিৎসার জন্য শিগগিরই লন্ডনে নেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে লন্ডন এবং পরে তৃতীয় কোনো দেশে নিয়ে যাওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, 'তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে আমরা যত দ্রুত সম্ভব তাকে বিদেশের একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি হাসপাতালে স্থানান্তরের প্রস্তুতি শুরু করেছি।’
তিনি বলেন, ‘এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আমরা একটি দূরপাল্লার বিশেষায়িত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করছি এবং প্রয়োজনীয় যোগাযোগ করছি। প্রাথমিকভাবে তাকে (খালেদা জিয়া) বিমানযোগে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে, সেখানে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতির পর তাকে বহুমুখী চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে এমন কোনো দেশে নিয়ে যাওয়া হবে। আমরা আশা করছি শিগগিরই সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পারব, যাতে ম্যাডাম দ্রুত বিদেশ ভ্রমণ করতে পারেন।’
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের জন্য ২ লাখ টাকা অনুদান দিলেন খালেদা জিয়া
জাহিদ আরও বলেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে চিকিৎসক, নার্স ও স্বজনদের বিস্তারিত তথ্য ইতোমধ্যে তার কার্যালয় থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর খালেদা জিয়ার পেট ও বুকে পানি জমে যাওয়া ও লিভারে রক্তক্ষরণ বন্ধে ট্রান্সজুগুলার ইন্ট্রাহেপ্যাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট (টিপস প্রসিডিউর) নামে পরিচিত হেপাটিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তার চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫।
২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট তার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার সাজা হয়।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে ৭৭৬ দিন পর তাকে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়। তবে শর্ত দেওয়া হয় যে তিনি গুলশানের বাসায় থাকবেন এবং দেশত্যাগ করতে পারবেন না।
৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের নির্দেশে খালেদা জিয়াকে পুরোপুরি মুক্তি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ৫ মামলা থেকে খালাস পেলেন খালেদা জিয়া
১ মাস আগে
ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, চাপ সৃষ্টি হচ্ছে ভঙ্গুর স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর
এ বছরও দেশজুড়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। একই সঙ্গে হাসপাতালগুলো সুযোগ-সুবিধার অপ্রতুলতার কারণে ক্রমবর্ধমান রোগীর চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
এরই মধ্যে হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর চাপ বেড়েছে। অক্টোবরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩১ জনে, আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৩৪ জন।
দুই মাস আগে সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা নিয়ে সতর্ক করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। অক্টোবরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকায় মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত কয়েক মাসের তুলনায় এখন প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা।এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর ৫৫ শতাংশই ঢাকার বাইরের।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হসপিটাল, ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর চাপ সামলাতে সাধারণ ওয়ার্ডের বাইরেও আলাদা করে সিঁড়ির কাছে রোগীদের জন্য বেডের ব্যবস্থা করতে হয়েছে।এসব হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত বড়দের ও শিশুদের জন্য আলাদা ফ্লোরে ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এসব হসপিটালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক মাসের তুলনায় এ মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। গত মাসের তুলনায় এ মাসে ক্রমাগত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চলতি বছর আগস্ট মাসে হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৮০০’র বেশি রোগী। আর এ মাসে এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজারের বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন। এখনও মাস শেষ হতে বাকি আরও ৭ দিন।
চিকিৎসকরা বলেন, বেশিরভাগ রোগী ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহ রূপ শক সিনড্রোম অবস্থা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তাদের ব্লাড প্রেশার কমে যাচ্ছে, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কিছুটা অচল হয়ে আসছে, বমি হচ্ছে, শরীরে পানি চলে আসছে, কিছুটা ল্যাথার্জিক- এমন অবস্থা নিয়ে আসছে।
আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ড. মুশতাক আহমেদ ইউএনবিকে বলেন, প্রথমত রোগীর সংখ্যা বাড়লে আনুপাতিক হারে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে। দ্বিতীয়ত গত বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে যেসব কারণে, সেগুলো কিন্তু দূর হয়নি।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে আরও ১৯৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
তিনি আরও বলেন, আমাদের যে চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে, সেটা বিকেন্দ্রীকরণ হয়নি। এছাড়া যেসব রোগীকে শনাক্ত করা হচ্ছে কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ রোগী নয়, তাদের মাঠপর্যায়ে হাসপাতালে রাখার কথা, আবার যারা জটিল রোগী তাদেরও একসঙ্গে রাখা হচ্ছে, ফলে তারা যথার্থ চিকিৎসা পাচ্ছে না। সব এক জায়গায় হওয়ার কারণে ব্যবস্থাপনা করা যাচ্ছে না। যতই ডাক্তার দেন, স্যালাইন দেন, ফ্লোরে রোগী রেখে কী সমাধান করা যায়? কাজেই চিকিৎসা ব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণ করা খুব দরকার।
তিনি জানান, অনেক ক্ষেত্রেই রোগীকে উপজেলা পর্যায়ে প্রাথমিক চিকিৎসা না দিয়ে জেলা কিংবা বিভাগীয় হাসপাতালে রেফার করা হয়। এতে মধ্যবর্তী সময়ে অনেক রোগী প্লাটিলেট কমে গিয়ে মুমূর্ষু হয়ে যায়। অন্তিম অবস্থায় চিকিৎসা পাওয়া এসব রোগীকে সুস্থ করা কঠিন হয়ে পড়ে বলে জানাচ্ছেন বিশ্লেষকরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার ইউএনবিকে বলেন, ডেঙ্গু রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সই চিকিৎসা দিতে পারে। অথচ তা না করে জেলা হাসপাতালে ট্রান্সফার করে বা বিভাগীয় হাসপাতালে ট্রান্সফার করে দেয়।এতে যে সময় লাগে তাতে রোগীর প্লাজমালি কেইস হয়ে যায়, প্লাটিলেট কাউন্ট কমে গিয়ে এই রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নিতে হবে:
অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেন, কীভাবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা যাবে সেটি সবাই জানে। কিন্তু প্রতিবারই আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছি। প্রতিবারই বলছি আমরা কাজ করছি, এটা করছি, সেটা করছি। কিন্তু নাগরিকরা ফলাফল পাচ্ছে না। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় বিজ্ঞান ভিত্তিকভাবে সমন্বিত মশক ব্যবস্থাপনার প্রয়োগ ঘটাতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারের যেসব প্রতিষ্ঠান বা যারা এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছে তাদের চাকরি নয় বরং সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।
হটস্পট ম্যানেজমেন্টের আওতায় যেসব বাড়িতে ডেঙ্গু রোগী আছে সেখানে ২০০ মিটারের মধ্যে ক্রাশ কর্মসূচি করতে হবে। উড়ন্ত এডিস মশা ও লার্ভা ধ্বংস করতে হবে। ফলে ওই বাড়িতে বা আশেপাশের বাড়িতে কেউ আক্রান্ত হবে না।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ড. মহ. শের আলী ইউএনবিকে বলেন, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনে 'মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সমন্বিত উপায়ে ও যথাযথভাবে বাস্তবায়ন' নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সারাদেশে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। মৃত্যু হারও বেড়েছে। যদিওবা এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে আমরা যথাযথ গুরুত্ব সহকারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলেছি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘যেসব এলাকায় ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বেশি সেসব এলাকায় গতকাল রবিবার থেকে আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ সমন্বিতভাবে বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেছে। এর মাধ্যমে আমরা ডেঙ্গু রোগের বিস্তার কমিয়ে আনতে সক্ষম হব।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান ইউএনবিকে বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি এডিসের লার্ভা জন্মাতে পারে এমন উৎসগুলো পরিচ্ছন্ন করার মাধ্যমে ধ্বংস করতে হবে৷ স্বাস্থ বিভাগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও প্রকৌশল বিভাগ সম্মিলিতভাবে কাজ করলে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত তদারকি টিম প্রতিটি অঞ্চলে পরিচালিত কার্যক্রম সঠিকভাবে তদারকি করছে। শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য নাগরিকদের সম্পৃক্ত করতে হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে।'
নগরবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আমাদের কর্মীরা বাসাবাড়ির আশপাশ পরিষ্কার করে এবং ওষুধ ছিটায়। কিন্তু বাসাবাড়ির ভেতরে আমাদের কর্মীদের পক্ষে কাজ করা সম্ভব হয় না। তাই নিজেদের বাসাবাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ফ্রিজ, এসি, ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কোথাও যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।'
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে একযোগে ডিএনসিসির সব ওয়ার্ডে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশা নিধন কর্মসূচি শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এই বিশেষ কর্মসূচি ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিচালনা করা হবে।
সপ্তাহব্যাপী পরিচালিত বিশেষ মশা নিধন কর্মসূচিতে প্রতিটি ওয়ার্ডকে বিভিন্ন সাব ব্লকে ভাগ করে প্রতিটি ব্লকের সব বাড়ি পরিদর্শনের মাধ্যমে এডিস মশার প্রজনন স্থল চিহ্নিত করে কীটনাশক প্রয়োগ এবং ধ্বংস করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজন রোগীও যেন মারা না যায়: উপদেষ্টা হাসান আরিফ
২ মাস আগে
ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা দিতে ঢাকায় আসছে চীনের মেডিকেল টিম
সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের গণঅভ্যুত্থানের সময় যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তাদের উন্নত চিকিৎসা দিতে ঢাকায় আসছে চীনের একটি জাতীয় জরুরি মেডিকেল টিম।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনুরোধে চীন এই দলটি পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছে ঢাকার চীনা দূতাবাস।
দলটি কুনমিং থেকে রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
মেডিকেল টিমকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
৩ মাস আগে
ভেঙে পড়েছে খুমেকের চিকিৎসা সেবা, রোগীরা ভোগান্তিতে
ভেঙে পড়েছে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা। অজানা কারণে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন পরিচালক ডা. গৌতম কুমার পাল। এরইমধ্যে পদত্যাগ করেছেন হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মো. আকতারুজ্জামান। আর অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে ৪১ চিকিৎসককে। ফলে একরকম বন্ধ হয়ে গেছে খুমেকের চিকিৎসা সেবা।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) খুমেকের বহির্বিভাগ ও আন্তঃবিভাগের অর্ধশত চিকিৎসক অনুপস্থিত। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা।
আরও পড়ুন: খুমেক হাসপাতালে অপর্যাপ্ত শয্যা ও জনবল, চিকিৎসায় ভোগান্তি
দেখা যায়, বহির্বিভাগের ২০২ নম্বর রুমের প্রীতম চক্রবর্তী, ২০৯ নম্বর রুমের ডা. হিমেল সাহা, ২০৭ নম্বর রুমের ডা. অনিরুদ্ধ সরদার, ২০৫ নম্বর রুমের ডা. শেখ তাসনুভা আলম, ২০৪ নম্বর রুমের ডা. সুব্রত কুমার মন্ডল, ২০৩ নম্বর রুমের আরএমও ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার, ২১১ নম্বর রুমের ডা. দীপ কুমার দাশ, ২১২ নম্বর রুমের আরএমও ডা. সুমন রায়, ১০৩ নম্বর রুমের ডা. তড়িৎ কান্তি ঘোষ, ৩০৮ নম্বর রুমের ডা. নিরুপম মন্ডল, ২০৪ নম্বর রুমের ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন, ৪১১ নম্বর রুমের ডা. রনি দেবনাথ তালুকদার, ৪১০ নম্বর রুমের ডা. মিথুন কুমার পাল, ৪১২ নম্বর রুমের ডা. জিল্লুর রহমান তরুণ, ১০৫ নম্বর রুমের চিকিৎসক শিবেন্দু মিস্ত্রিসহ প্রায় ২০ জন চিকিৎসক অনুপস্থিত।
নিরাপত্তা ঝুঁকিতে তারা আসেননি বলে জানান হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া আন্তঃবিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার কনসালট্যান্টসহ আরও ২১ জন চিকিৎসক অনুপস্থিত। এতে পুরো হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। দূর থেকে আসা রোগীরা সেবা না পেয়ে ফেরত যাচ্ছেন।
বাগেরহাট থেকে চিকিৎসা নিতে আসা কুলসুম বেগম বলেন, ব্রেস্ট টিউমার নিয়ে খুমেকে এসেছি। কাউন্টারে টিকিট কেটে কক্ষে এসে দেখি ডাক্তার নেই। এখন ফেরত যেতে হবে। কবে এ অবস্থা ঠিক হবে জানি না।
এসব বিষয়ে খুমেকের পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) এবং আরএস কেউ কর্মস্থলে না থাকায় কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া তাদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: খুমেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মনজুরুল মুর্শিদ বলেন, হাসপাতাল সরাসরি আমাদের অধীনে না। তারপরও আমি বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সব জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি অংশের চাপে হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মো. আকতারুজ্জামান পদত্যাগ করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে মেডিকেল কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থীকে নিয়ে উপস্থিত হন কার্ডিওলোজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মোস্তফা কামাল।
তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এমন ৪১ জন চিকিৎসকের একটি তালিকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এতে ভয়ে দুটি কাগজেই সই করেন ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আক্তারুজ্জামান।
এই ৪১ জন চিকিৎসকের মধ্যে পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, আরএস, আরএমও, রেজিস্ট্রারসহ গুরুত্বপূর্ণ সব পোস্টের চিকিৎসক রয়েছেন।
উপপরিচালক ডা. আক্তারুজ্জামান বলেন, জীবনে কেউ আমাকে আওয়ামী লীগ ও স্বাচিপ কোনো কিছুর প্রাথমিক সদস্য হয়েছি কোনো দিন দেখাতে পারলে আমি সব শাস্তি মাথা পেতে নেব। আমি কোনো দিন সরকারি চাকরি ছাড়া কোনো দিন কোনো আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছি এমন কোনো রেকর্ড নেই। বরং আমাকে আওয়ামী লীগ সরকার বারবার শাস্তিমূলক বদলি করেছে। নিচের গ্রেডে নামিয়ে দিয়েছে। এতকিছুর পর গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ভাবলাম এবার হাসপাতালের জন্য কিছু করতে সুযোগ পাব, কিন্তু আমাকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো হলো।
আরও পড়ুন: খুমেক হাসপাতালে ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু
খুলনা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক ফোরামের সদস্য সচিব ডা. তাহমিদ মাশরুর বলেছেন, স্যার ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন এমন অভিযোগে তাকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পদত্যাগ করিয়েছেন এমন কোনো বিষয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা অবগত নন।
৩ মাস আগে
ফেনীতে বন্যার্তদের চিকিৎসা দেবে ১৪ স্বাস্থ্য ক্যাম্প
ফেনী জেলায় বন্যার্তদের চিকিৎসায় এবং বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১৪টি স্বাস্থ্য ক্যাম্প স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা শহরে সেনাবাহিনীর স্বাস্থ্য ক্যাম্প স্থাপনসহ ছয় উপজেলায় ছয়টি স্বাস্থ্য ক্যাম্প এবং বেসরকারি সাতটি হাসপাতালকে এই কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেনী জেলা প্রশাসক মোছাম্মাৎ শাহীনা আক্তার।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বন্যা: বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সাড়ে ৩ লাখ মানুষ
তিনি বলেন, ফেনী ডায়াবেটিস হাসপাতালে চিকিৎসকসহ পর্যাপ্ত জনবল থাকায় তারা নিজেরা সমন্বয় করে নেবে। উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাইরে ডেডিকেটেড স্বাস্থ্য ক্যাম্প করা হচ্ছে। পৌর এলাকায় পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের নবনির্মিত ভবনে সেনাবাহিনীর স্বাস্থ্য ক্যাম্প গড়ে তোলা হচ্ছে।
এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বিশেষ মেডিকেল দল ফেনী আসছে। ইতোমধ্যে ৩০ জন চিকিৎসকের একটি বিশেষ দল ফেনীতে এসেছে।
এই মেডিকেল ক্যাম্পের আওতায় আরও চিকিৎসক বন্যার্তদের সেবায় ফেনী আসবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. শিহাব উদ্দিন বলেন, বন্যার্তদের চিকিৎসায় জেলা শহরে বেসরকারি হাসপাতালগুলো হলো- কনসেপ্ট হাসপাতাল, মেডিল্যাব, মেডিনোভা, জেডইউ মডেল, আল আকসা, ফেনী ডায়াবেটিস এবং মিশন হাসপাতাল কাজ করবে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে বন্যার্তদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে বলে জানান তিনি।
ফেনী সদর হাসপাতালের নিচতলা পুরোপুরি ডুবে গেছে। স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ন ইউনিট, জরুরি বিভাগ, স্টোর রুম, ব্লাড ব্যাংক—সবকিছু পানির নিচে। পানিতে ভাসছে হাসপাতালের নানা জিনিসপত্র।
পানি নেমে গেলে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাবে এ হাসপাতালটিও।
আরও পড়ুন: পানি কমতে শুরু করেছে ফেনীতে
ফেনীর মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল রাখতে জেনারেটরের ডিজেল ফ্রি করার নির্দেশনা উপদেষ্টা নাহিদের
৩ মাস আগে
আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় পূর্ণ সহায়তা দেবে সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অবসরপ্রাপ্ত) বলেছেন, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেবে।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এখন মূল চ্যালেঞ্জ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মঙ্গবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) এবং জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আন্দোলনরত ও চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং তাদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।
আহতদের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি করে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের দাবি আমলে নেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৪ মাস আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে সরকার: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যেসকল ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন সরকারি হাসপাতালে তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসহ যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় বহন করবে সরকার।
শনিবার (১৭ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
এতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতদের ব্যাপারে অনুসন্ধান করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটি কর্মপন্থা নির্ধারণে রবিবার(১৮ আগস্ট) বৈঠকে বসবে।
আরও পড়ুন: চার দফা দাবিতে 'প্রতিরোধ সপ্তাহ' ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
বিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোকেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা বিল গ্রহণ না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রয়োজনে এ সকল বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্র-জনতার সকল বিল সরকার বহন করবে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন: মানুষের জন্য কল্যাণকর প্রকল্প নিয়ে কাজ করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
৪ মাস আগে
আহত আবু বক্করের চিকিৎসায় এগিয়ে এলেন বিএনপি নেতা ইয়াছিন
কোটা আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী আবু বক্করের (১৭) চিকিৎসায় এগিয়ে এলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য হাজী আমিন-উর রশিদ ইয়াছিন।
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা সদর এলাকায় গত ৪ আগস্ট আন্দোলনে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম অনুসারীদের হামলায় আহত আহত হয় সে। তার শরীরে অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আবু বক্কর দেবিদ্বার উপজেলার শাকতলা গ্রামের মোল্লা বাড়ির আবুল খায়েরের ছোট ছেলে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক চলছে
আবু বক্করের বড় ভাই মো. আলী বলেন, ‘আহত হওয়ার পর ভাইকে নিয়ে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেলে যাই। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ও শেষে কুমিল্লার একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। এছাড়া ভাইয়ের চিকিৎসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। তার অবস্থা খারাপ দেখেও আমরা বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কারণ, ভাইকে আইসিইউতে রাখতে অর্থের প্রয়োজন, আমাদের সেই সামর্থ্য নেই।’
‘এরইমধ্যে কুমিল্লার বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার এসে দেখে গেছেন। তিনি বলেছেন, ওনারা চিকিৎসার সব খরচ দেবেন।’
৪ মাস আগে
সাধারণ রোগীর মতো জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিলেন প্রধানমন্ত্রী
অন্যান্য সাধারণ রোগীর মতো শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আমাকে হটিয়ে তারা কাকে ক্ষমতায় আনতে চায়: বামপন্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সকালে হাসপাতালে যান এবং অন্যান্য সাধারণ রোগীদের মতো বহির্বিভাগে ১০ টাকার টিকিট কেটে চিকিৎসা নেন
৭ মাস আগে