পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, উন্নয়নের মূলমন্ত্র গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার ধারাবাহিকতা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগ আছে বলে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, রিজার্ভ বাড়ছে। আর উন্নয়নের মূলমন্ত্র হচ্ছে গণতান্ত্রিক ক্ষমতার ধারাবাহিকতা। তাই দেশের উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করতে হবে।’
সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় সিলেট নগরীর হাফিজ কমপ্লেক্সে ‘দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে আয়োজিত সিলেটের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিনিয়োগসংক্রান্ত আলোচনা সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি এখন নালিশ পার্টি। তারা অযথা লবিং করে বেড়াচ্ছে। এগুলো ঠিক নয়। কারণ বাস্তব অবস্থা সবাই জানে। কাজেই কোনো ব্যক্তি বিশেষ বা কারো প্রোপাগান্ডায় কোনো কিছু হবে না। বিভিন্ন রাষ্ট্রের দূতাবাসগুলো তাদের কথায় প্রভাবিত হবে না।
তিনি সিলেটের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনার প্রশংসা করেন এবং প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি তাহমিন আহমদ বলেন, বর্তমান সরকারের গত ১৫ বছরের মেয়াদে সিলেটে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন হয়েছে, যার ফলে সিলেটের সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ীমহল উপকৃত হয়েছেন। আগামীতেও নির্বাচিত হয়ে বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখবেন।
তাহমিন আহমদ সিলেট চেম্বারের উদ্যোগে এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফজলে এলাহী মো. ফয়সালের সহযোগিতায় প্রস্তুত করা সিলেট জেলার ১৩টি উপজেলায় বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় খাতসংক্রান্ত গবেষণাপত্র এবং সিলেটের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সিলেট চেম্বারের পক্ষ থেকে ১৬টি প্রস্তাব লিখিতভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
আরও পড়ুন: আমি দৌঁড়াতে পারি বলেই নড়াইলে মেগা প্রকল্প আসছে : মাশরাফি
প্রস্তাবনার মধ্যে ছিল- সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে ইন্টার কন্টেইনার ডিপো (আইসিডি) স্থাপন, ইসলামপুরে অবস্থিত বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন সিলেট টেক্সটাইল মিলের জমি প্লট আকারে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তাদের বরাদ্দ প্রদান, সিলেট থেকে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে তাজা শাক-সবজি ও ফলমূল রপ্তানির লক্ষ্যে সিলেটে প্যাকিং হাউজ ও সার্টিফিকেশন ল্যাব নির্মাণ, সিলেট-চট্টগ্রাম হাইওয়ে ৬ লেনে রূপান্তর, সিলেটে এনআরবি ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠা, সিলেটের পর্যটন খাতের বিকাশ ঘটাতে “সিলেট পর্যটন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ” গঠন, সিলেটে নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের লক্ষ্যে নতুন একটি বিসিক শিল্প নগরী স্থাপন, ভোলাগঞ্জ স্থল শুল্ক স্টেশনে ইমিগ্রেশন চালু, সিলেট-ঢাকা ও ঢাকা-সিলেট রুটে বাংলাদেশ বিমানের সান্ধ্যকালীন ফ্লাইট প্রতিদিন চালু।
সিলেট চেম্বারের সিনিয়র কর্মকর্তা মিনতি দেবীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক 0মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, পরিচালক ও সাবেক সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব।