বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কত লোক মারা যাচ্ছে আর সংবাদে কয় জনের কথা বলা হচ্ছে? করোনায় আক্রান্ত হয়ে অনেক লোক মারা যাচ্ছে। সংবাদ বেরিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতদের নিয়ে সরকার যেটা পরিসংখ্যান তৈরি করছে তার মধ্যে প্রায় ৮২ হাজার লোকের নাম বাদ পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘তার মানে সরকার সঠিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না, কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না। হঠাৎ করে আসা বৈশ্বিক মহামারির ধাক্কা মোকাবিলার জন্য যে ওষুধ, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যবিধি তৈরি করা দরকার সেটা সরকার করেনি। ফলে মানুষ রাস্তায় মারা যাচ্ছে, হাসপাতালের বারান্দায় মারা যাচ্ছে, কোনো চিকিৎসা না পেয়ে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে মারা যাচ্ছে।’
ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে দোহার-নবাবগঞ্জে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন রিজভী।
এসময় বিএনপির এ নেতা শোল্লা ও ইকোরিয়াসহ কয়েকটি ইউনিয়নে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোনো লোক করোনায় আক্রান্ত হলে অনেক সমস্যা সম্মুখীন হচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘যদি জনগনের সরকার থাকতো, জনগনের জবাবদিহিমূলক সরকার থাকতো সে আগামী দিনে জনগণের ভোট পাওয়ার জন্য হলেও আজকে অসহায় মানুষের পাশে থাকত। কিন্তু তাদের (বর্তমান সরকার) তো ভোটের দরকার নাই, ওদের নির্বাচনের দরকার নাই যার কারণে ওরা জনগনকে কোনো পাত্তা দেয় না।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ক্ষমতা দখলে রাখার জন্য সরকার ‘বিচারবর্হিভূত হত্যা’, ‘জোর করে গুম’ এবং অন্য দল ও ভিন্নমত পোষণবকারীদের অত্যাচার ও নির্মূল করার চেষ্টা করছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সেনাবাহিনী একজন অবসরপ্রাপ্ত অফিসার মেজর সিনহাকে থানার একজন ওসি ধরে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলে দিলো। কোনো বিচার নাই, আইন নাই, কোনো কিছুই নাই। একজন ইউএনওর মাথা কুপিয়ে দেয়ায় আজকে তিনি মরণাপন্ন অবস্থা আছেন। চারিদিকে খুন, গুম, হত্যা- এটাই হচ্ছে সরকারের কর্মসূচি।’