বৃহস্পতিবার চান্দিনা থানা থেকে তিনশত গজের মধ্যে চান্দিনা পাইলট স্কুল খেলার মাঠ সংলগ্ন সড়কে এই ঘটনা ঘটে।
চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাস-২ এ নব-নির্মিত মমতাজ আহমেদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করতে যাওয়ার পথে কর্নেল অলির গাড়িকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। এতে তাকে বহনকারী পাজেরো গাড়ির পেছনের গ্লাস ভেঙে যায়। তবে অলি আহমদ অক্ষত থাকেন।
পরে অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে পুলিশ ও প্রশাসনের সমালোচনা করেন অলি আহমদ। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ওই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
সাবেক মন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশের সামনে মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীরা হামলা করবে, এজন্য এ দেশকে স্বাধীন করিনি। আওয়ামী লীগের কর্মীরা মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করতে চায়! পুলিশ ও ইউএনও অফিসের পাশে, আগে-পেছনে একাধিক পুলিশ অফিসার এমনকি ওসির উপস্থিতিতে এ ধরনের হামলা আমি কল্পনাও করতে পারি না। তারা দেশের ক্ষতি করেছে, আওয়ামী লীগের ক্ষতি করেছে। ’
বিকালে চান্দিনা পৌর এলডিপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন বন্ধ করে দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের সভা, সমাবেশের জন্য ইউএনও, ওসির অনুমতি নিতে হবে কেন। এটা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।’ হামলার প্রসঙ্গ টেনে হামলার সময় চান্দিনা থানার ওসির নিরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন তিনি।
এ ব্যাপারে চান্দিনা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মীর ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
এদিকে চান্দিনা থানার ওসি মোহাম্মদ সামছুল ইসলাম জানান, ‘কর্নেল অলি আহমদের গাড়ি বহরে হামলা বা ভাঙচুরের কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে শুনেছি রেদোয়ান আহমেদ কলেজে যাওয়ার সময় কে বা কারা পেছন থেকে ঢিল মেরেছে। এতে গাড়ির একটি গ্লাস ভেঙে গেছে।’
লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান তিনি।