বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার বোনের সাথে সাক্ষাৎ শেষে সেলিমা বলেন, খালেদা জিয়া তার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘তার (খালেদা) শারীরিক অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। তার সুগার লেভেল এখন ১৮। হাত এবং পায়ে প্রচণ্ড ব্যথায় ভুগছেন। তার বাম হাতের অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে।’
সেলিমা আরো বলেন, ‘মনে হচ্ছে তারা (সরকার) তাকে জামিন না দিয়ে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। তার অবস্থা এতটাই মারাত্মক যে তিনি উঠতে ও বসতে পারছেন না।’
গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এভাবে তিনি কতদিন বাঁচবেন।
‘জামিন না দিয়ে তারা তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তার এখন চিকিৎসার প্রয়োজন, কিন্তু এখানে (বিএসএমএমইউ) যথেষ্ট চিকিৎসা পাচ্ছেন না। যথাযথ চিকিৎসা ছাড়া তিনি কতদিন বাঁচবেন?’
সেলিমা দাবি করেন যে শেষবার যখন তার বোনকে দেখেছেন তার চেয়ে এখনকার অবস্থা আরো খারাপ। তার হাত এবং আঙুল বেঁকে গেছে। ‘হাঁটুর মারাত্মক ব্যথার কারণে তিনি নড়াচড়াও করতে পারছেন না। হাঁটু ফুলে গেছে।’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার কথা বলতে সমস্যা হচ্ছে, বমি বমি ভাব হওয়ার কারণে তিনি ঠিকমতো কিছু খেতে পারেন না।
খালেদার বোন বলেন, আজ (রবিবার) চিকিৎসকরা তাকে দেখে ওষুধ দিয়েছেন। ‘কিন্তু ওষুধ কাজ করছে না। তার এখন উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তার পরিবার বিদেশে পাঠাতে চায় এবং এটা এখন তার জন্য খুবই প্রয়োজন।
এসময় খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাতে কারা কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেয় না বলে অভিযোগ করেন সেলিমা। ‘আমরা কাছে আসলে তার তো একটু ভালো লাগে। কিন্তু আমরা যে দেখতে আসবো সেই অনুমতি তারা দিচ্ছে না। একমাস দেড়মাস হয়ে যায় কোনো অনুমতি দেয় না।’
সেলিমা ছাড়াও খালেদা জিয়ার ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলী রহমান সিঁথি, কোকোর ছোট মেয়ে জাহিয়া রহমান এবং আরো তিনজন স্বজন দুপুর ২টা ৫০ মিনিটের দিকে খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করতে যান। এক ঘণ্টারও বেশি সময় তারা সেখানে ছিলেন বলে জানান বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।
দুর্নীতির মামলা সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন খালেদা জিয়া। গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন তিনি।