বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
সরকারি হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে উপস্থিতি, আসছে রোগীরাও
গত ৫ আগস্ট আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার দেশত্যাগে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে সৃষ্টি হয় সাময়িক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির। এসময় দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতেও পরিচালক ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে হাসপাতালে গিয়েও দেখা মেলেনি তার। পরিচালক কখন হাসপাতালে আসেন বা থাকেন সে বিষয়ে সঠিক তথ্যও কেউ দিতে পারেনি।
হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে সেখানে দায়িত্বরত আনসার সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, রাজনৈতিক নানা কারণবশত ভয়ে অনেকে হাসপাতালে আসছেন না। তবে ৭ আগস্টের পর কেউ কেউ আসা শুরু করেছেন বলে জানান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনজন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, ৫ তারিখ সরকারের পদত্যাগের পর রোগীর চাপ অনেক বেশি বেড়েছে। এত রোগী এসেছে যে হিসাব রাখা সম্ভব হয়নি।
৫ আগস্ট হাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দাউদকান্দি থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসে ১০ বছর বয়সি পারভেজ।
পারভেজের মা পারুল জানান, চিকিৎসা পেতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে তার থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অংকের রশিদ দেখিয়ে টাকা নেওয়া হচ্ছে। যারা নিচ্ছেন পরে তাদের আর দেখতে পাননি। সেই টাকার বিনিময়ে কোনো সেবাও পাননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
৩ মাস আগে
বিএসএমএমইউকে উন্নত-সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে হবে: নবনিযুক্ত উপাচার্য
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নবনিযুক্ত উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক বলেছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা, সেবা ও গবেষণায় উন্নত ও সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে হবে, যাতে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে সবাই গর্ব করতে পারে।
তিনি বলেন, হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন হাজার হাজার রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। এই রোগীদের দুর্ভোগ লাঘবের দিকে নজর দিতে হবে।
সোমবার (১ এপ্রিল) শহীদ ডা. মিল্টন হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও ডিনদের গুরুত্বপূর্ণ সভায় নবনিযুক্ত উপাচার্য এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য আবু তাহের
তিনি আরও বলেন, রোগীরা যাতে প্রয়োজনীয় টেস্ট করাসহ দ্রুত চিকিৎসাসেবা নিয়ে ফিরে যেতে পারেন তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
উপাচার্য বলেন, উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হলে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, রিপেয়ার অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, লিলেন কিপিং, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণাকেও সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে।
ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক আরও বলেন, উদ্দেশ্য সৎ ও সুন্দর থাকলে এবং প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে দেশের মানুষের জন্য স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্য অবশ্যই পূরণ হবে। বিএসএমএমইউ এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। আর সে লক্ষ্য পূরণে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- উপউপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপউপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খানসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: কোনো ধরনের দুর্নীতি প্রশ্রয় দেব না: বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্য
বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্য দীন মোহাম্মদ
৭ মাস আগে
বিএসএমএমইউতে অস্ত্রোপচারে আলাদা হলো জোড়া শিশু
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) অস্ত্রোপচারে আলাদা করা হয়েছে পেটে ও বুকে জোড়া লাগানো ৭৮ দিন বয়সী দুই শিশু আবু বকর ও ওমর ফারুককে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থায়নে সফল অস্ত্রোপচারে দুই শিশুকে আলাদা করা হয়েছে। অস্ত্রোপচারে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম জাহিদ হোসেন।
বুধবার সকালে (২০ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের অপারেশন থিয়েটারে এ অস্ত্রোপচার করা হয়।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউতে এনটি-প্রো বিএনপি পরীক্ষা চালু
বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর অর্থায়নে দুই শিশুর দেহে সফলভাবে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। অস্ত্রোপচারের আগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল, শিশু দুজনের মা-বাবার সঙ্গে দেখা করে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
জানা গেছে, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার চায়না বেগম এবং তার স্বামী আল আমিন শেখের ঘরে গত ৪ জুলাই পেটে জোড়া লাগা দুই নবজাতক জন্মগ্রহণ করে। জন্মগ্রহণের পর তাদের শরীরে জটিলতা দেখা দিলে ৫ জুলাই তাদের বিএসএমএমইউয়ের শিশু সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম জাহিদ হোসেনের অধীনে ২০১ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয়। পেটে জোড়া লাগানো যমজ এ দুই নবজাতকের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্বভার গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর বিএসএমএমইউয়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল আবু বকর ও ওমর ফারুকের নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় তাদের শরীরে অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন।
অস্ত্রোপচারে নেতৃত্ব দিয়েছেন শিশু সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম জাহিদ হোসেন। এ ছাড়াও অস্ত্রোপচারে ছিলেন শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন, সহকারী অধ্যাপক ডা. কেএম সাইফুল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার ডা. উম্মে হাবিবা দিলশান মুনমুন, নার্সিং অনুষদের ডিন ও অ্যানেসথিয়া বিভাগের অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, এনেসথিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবাশীষ বণিক ও নার্সিং ইনচার্জ মেহেরুন্নেসাসহ অন্যান্য চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা জানান, আবু বকর ও ওমর ফারুকের লিভার ও বুকের হাড় সংযুক্ত ছিল। অস্ত্রোপচারের পর তারা শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রয়েছে। দুই শিশু সংকটমুক্ত। তাদের বাবা-মা ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল তাদের পূর্ণ সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
জটিল এই অস্ত্রোপচার প্রসঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের দেশের সার্জনরা এ ধরনের জটিল রোগের চিকিৎসা সেবা দিতে সক্ষম। এরকম জটিল রোগের চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার কোনো দরকার নেই। স্বল্প খরচে দেশেই বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউ কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পদ পেতে জালিয়াতির অভিযোগ
বিএসএমএমইউ-তে সফল লিভার প্রতিস্থাপন
১ বছর আগে
বিএসএমএমইউ-তে সফল লিভার প্রতিস্থাপন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সফলভাবে লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
রবিবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বিএসএমএমইউ'র শহীদ ডা. মিল্টন হলে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
একই সঙ্গে লিভার প্রতিস্থাপনে সেবাগ্রহীতা ও লিভার দাতা দু’জনেই সুস্থ আছেন বলে রোগীরা জানান।
এছাড়া তারা দু’জনে দেশবাসীর কাছে আগামী দিনের জন্য দোয়া চেয়েছেন।
এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার ডা. স্বপন কুমার তপাদার, হেপাটোব্লিয়িারি, প্যানক্রিয়েটিক এন্ড লিভার সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহছেন চৌধুরীসহ এই সার্জারি কাজে সংযুক্ত বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর আনুমানিক ৮০ লাখ রোগী লিভার সংক্রান্ত ব্যাধিতে এ আক্রান্ত হয় (২০১৮ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী)।
এর মধ্যে অন্যতম ‘এন্ড স্টেজ লিভার ডিজিজ’ যা হলো ক্রনিক প্রদাহ জনিত লিভারের শেষ অবস্থা যেখানে লিভার তার কার্যক্ষমতা হারায়। সাধারণত হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি এবং ই ভাইরাস সংক্রমণ অথবা লিভারে অতিরিক্ত চর্বিজনিত প্রদাহ থেকে লিভার টিস্যুর পরিবর্তন শুরু হয়, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক লিভার টিস্যুর পরিবর্তন হয়ে সিরোটিক লিভার টিস্যু তৈরি হয়।
সিরোটিক লিভার টিস্যু স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে অক্ষম। যখন রোগীর লিভারের একটি বড় অংশ সিরোটিক হয়ে যায় তখন আমরা বলি রোগীটি লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। এই লিভার সিরোসিসের শেষ পর্যায় হচ্ছে ‘এন্ড স্টেজ লিভার ডিজিজ’।
‘এন্ড স্টেজ লিভার ডিজিজ’ এর একমাত্র চিকিৎসা লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন। এছাড়াও লিভারের আরও কিছু রোগ রয়েছে; যেমন লিভারের কোন একটি অংশে (লোবে) ক্যান্সার (হেপাটোসেলুলার ক্যান্সার), বাচ্চাদের ক্ষেত্রে লিভারের জন্মগত ত্রুটি (বিলিয়ারি এট্রেশিয়া, মেটাবোলিক ডিজিজ ইত্যাদি) এর চিকিৎসাও লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন।
উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, আমাদের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ নানাবিধ হেপাটাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত।
আরও পড়ুন: ৮৮ শতাংশ করোনা রোগী ওমিক্রনে আক্রান্ত: বিএসএমএমইউ’র জরিপ
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, জনসংখ্যার মাত্র পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ এ ভাইরাসের জন্য টিকা নিয়েছে। যা অত্যন্ত অপ্রতুল।
ফলশ্রুতিতে হেপাটাইটিস ভাইরাস সংক্রান্ত রোগব্যাধী বেড়েই চলেছে।
প্রতিবছর বাংলাদেশে আনুমানিক চার থেকে পাঁচ হাজার রোগী লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন চিকিৎসা প্রয়োজন। দেশে পূর্বে লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় প্রতি বছর উপরোক্ত রোগীদের একটি বিশাল অংশ দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য চলে যাচ্ছে।
পার্শ্ববর্তী দেশসহ বহিঃবিশ্বে লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন একটি ব্যয়বহুল চিকিৎসা। ফলে দেশের স্বল্প আয়ের ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এ চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এ প্রেক্ষিত বিবেচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগের সমন্বয়ে ‘মুজিব শতবর্ষ লিভার ট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রাম’ চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে আমার সভাপতিত্বে এবং হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মোহছেন চৌধুরীকে সদস্য সচিব করে ‘মুজিব শতবর্ষ লিভার ট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন কমিটি’ গঠন করি।
লিভার ট্রান্সপ্লান্টের মতো একটি জটিল চিকিৎসা প্রক্রিয়া সুচারুরূপে সম্পন্ন করার জন্য এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজির লিভার ট্রান্সপ্লান্ট বিভাগের সহযোগিতা নেয়া হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় নতুন বর্ষের সূচনালগ্নে ১ জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
উপাচার্য বলেন, দেশের স্বল্প আয়ের ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যাতে এই চিকিৎসা সুবিধা পেতে পারে এজন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনাক্রমে লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন কার্যক্রমের উদ্যোগ ইতোমধ্যে নিয়েছে। লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন অপারেশনটি ছিল একটি লিভিং ডোনার লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন; এর অর্থ হলো রোগীর আত্মীয় সম্পর্কিত কোন ডোনার থেকে লিভারের একটি অংশ কেটে রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করা হয় (রোগীর সিরোটিক লিভারের পুরোটিই কেটে ফেলা হয়)।
১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনে রোগী ছিলেন বগুড়া জেলার মো. মন্তেজার রহমান (৫৩); তিনি নন-বি, নন-সি জনিত ‘এন্ড স্টেজ লিভার ডিজিজে’ আক্রান্ত ছিলেন।
মো. মন্তেজার রহমানকে লিভার দান করেন তার বোন মোসা. শামীমা আক্তার (৪৩)। মোসা. শামীমা আক্তারের দেহ থেকে সুস্থ লিভারের ৬০ শতাংশ কেটে ফেলা হয়। মো. মন্তেজার রহমান এর সিরোটিক লিভারের পুরোটাই কেটে বের করে ফেলা হয় এবং মোসা. শামীমা আক্তারের দেহ থেকে কেটে নেয়া সুস্থ লিভারের ৬০ শতাংশ জোড়া দেয়া হয়।
এখানে উল্লেখ্য, লিভার দাতা মোসা. শামীমা আক্তারের লিভারটি ধীরে ধীরে রি-জেনারেট করবে। এটি লিভার নামক অঙ্গটির একটি বিশেষত্ব।
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, এ বছর ১লা জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগের তত্বাবধানে লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন অপারেটশনটি সম্পাদিত হয়।
উক্ত অপারেশনে লিভার গ্রহীতার পক্ষে ছিলেন অধ্যাপক মো. মোহছেন চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. বিধান চন্দ্র দাস, অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ মো. আবু আইয়ুব আনসারী, সহকারী অধ্যাপক ডা. সারওয়ার আহমেদ সোবহান।
লিভার দাতার পক্ষে ছিলেন-অধ্যাপক মো. জুলফিকার রহমান খান, অধ্যাপক ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান ডা. মো. নূর ই এলাহী, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সাইফ উদ্দীন, সহযোগী অধ্যাপক এবং ডা. আশীষ সাহা, মেডিকেল অফিসার।
লিভার ট্রান্সপ্লান্ট অপারেশনটি সার্থক করার লক্ষ্যে বিভাগের রেসিডেন্টদের কর্মতৎপরতা ছিলো প্রশংসনীয়। ১২ ঘন্টাব্যাপী লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন অপারেশনটিতে সহযোগিতা করেন এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি, ভারত এর লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন ও এ্যানেস্থেসিয়া টিম।
‘মুজিব শতবর্ষ লিভার ট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রামে’ সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি, ভারতকে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্যে ভিশন ২০৪১ অর্থাৎ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা করেছে।
প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় গড় আয়ু বৃদ্ধি, নন-কমিউনিকেবল এবং কমিউনিকেবল ডিজিজ হ্রাসের পরিকল্পনা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনের মতো একটি সুপার স্পেশালাইজড কেয়ার চালু করার ফলে লিভার রোগ, লিভারের শল্য চিকিৎসা, লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন বিষয়ে শিক্ষা/প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একদিকে যেমন মানবসম্পদে উন্নয়ন ঘটবে তেমনি উক্ত বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে উন্নততর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত হবে।
এছাড়া সুস্থ সবল জাতি গঠনের সহায়ক হবে। এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করি।
তিনি বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশের রোগীদের চিকিৎসা প্রয়োজনে বহিঃবিশ্বের ওপর নির্ভরতা কমাতে। এ বিষয়ে বর্তমান সরকার দৃঢ় প্রতীজ্ঞ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নততর চিকিৎসা সুবিধাবলি নিশ্চিত করা হচ্ছে।
সুলভ মূল্যে দেশের সকল জনগোষ্ঠী এ চিকিৎসা সেবার আওতায় উপকৃত হবে।
“মুজিব শতবর্ষ লিভার ট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রামের” আওতায় জানুয়ারি ১, ২০২৩ এ অনুষ্ঠিত লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনটি আমাদের এই পথ চলার একটি দীপ্তমান স্বারক।
সুন্দর আগামী ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে আজকের সংবাদ সম্মেলন সমাপ্তি ঘোষণা করছি।
উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনাভাইরাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সফলভাবে মোকাবেলা করেছে। করোনাভাইরাস পরবর্তী চিকিৎসা ব্যবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদী ও জটিল রোগের বিষয়ে আগের চেয়ে আরও বেশী যত্নবান হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় শুধু রোগীর চিকিৎসা নয় বরং রোগ প্রতিরোধের দিকে বেশী মনোনিবেশ করছে। এজন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কাজকে আরও বেগবান করার জন্য এ খাতে বরাদ্দ পাঁচগুণ বৃদ্ধি করেছে।
গবেষণা খাতে বরাদ্দ চার কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ২২ কোটি ২০ লক্ষ টাকায় উন্নীত করেছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে একসঙ্গে ২৪ চিকিৎসক গবেষককে পিএইচডি কোর্সে ইনরোলমেন্ট করেছে।
তিনি আরও বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাকে আরও বেগবান ও শিক্ষক শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করার জন্য গবেষণায় অবদান রাখার জন্য ভাইস চ্যান্সেলার এ্যাওয়ার্ড পুরস্কার প্রবর্তন করেছি। প্রতিমাসে নিয়মিতভাবে আমরা অধিকতর জনগুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা বিষয় নিয়ে সেন্ট্রাল সেমিনার আয়োজন করছি।
এতে করে দেশের আপামর জনসাধারণসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ চিকিৎসা গ্রহণে সচেতন হচ্ছে।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকরা দেশি-বিদেশি চিকিৎসা সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করছেন।
আপনাদের অবগত জানানোর জন্য আমরা জানাচ্ছি, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় জাতিসংঘের একটি সাইড ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে।
সেই অনুষ্ঠানের আলোকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ‘বায়ো ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করছে। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ‘এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেসিসট্যান্স’ বিষয়ে গবেষণা চালাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্যালিয়েটিভ মিডিসিন বিভাগে হোম কেয়ার সার্ভিস, করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সি, ব্রেস্ট ক্যান্সারের জিনেটিক এনালাইসিস, হেপাটোলোজি বিভাগে লিভার সিরোসিস বিভাগের জন্য স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্টেশন, এন্ড্রোক্রাইন বিভাগে আধুনিক পরীক্ষা নিরীক্ষা কার্যক্রম, উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা গর্ভবতী মায়েদের স্ক্রেনিং, ট্রান্সফিউশন বিভাগের স্টেম সেল কালেকশন, বিলুরুবিন ডায়ালাইলিস কার্যক্রম, শিশুর জন্মগত ত্রুটি নির্ণয়, জেনারেল সার্জারি বিভাগের অধীনে ব্রেস্ট কনাসার্ভিং সার্জারি, ব্রেস্ট রিকনসাট্রিক সার্জারি, ব্রারিয়ারটিক সার্জারি যার বিদেশে ১০০০ ডলার খরচ, বছরে এডভান্সড ল্যাপারোসকপি কোলারেক্টরাল সার্জারি, ভাস্কুলার সার্জারি বিভাগে আরএফএ মেশিন দিয়ে কাটা ছেড়া ছাড়া বাকাশিরা সোজাকরণ কার্যক্রম চালু রয়েছে।
এছাড়া এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যান্সারের সর্বাধুনিক সকল ধরণের চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি হৃদরোগ, স্নায়ু রোগের চিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: রোগীর প্রেসক্রিপশনে ওষুধের নাম ইংরেজি বড় অক্ষরে লিখতে হবে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য
বিএসএমএমইউতে এনটি-প্রো বিএনপি পরীক্ষা চালু
১ বছর আগে
নথি চুরির ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সচিবালয়ে নথি চুরির ঘটনাটি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ উল্লেখ করে বিষয়টি নিয়ে তারা ‘ক্ষুব্ধ’ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘নথি চুরির বিষয়টি নিয়ে আমরা ক্ষুব্ধ। এ ঘটনায় আমরা যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। তদন্তের পর যা যা ব্যবস্থা নেয়া দরকার,আমরা নেব।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তবে মন্ত্রণালয় থেকে এ ঘটনায় আলাদা কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে কি না তা জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি কর্তৃক আয়োজিত ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জ্যৈষ্ঠ সচিব লেকমান হোসেন মিয়া।
এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সন্ধানী উপদেষ্টা সাংসদ অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এম. শারফুদ্দিন আহমেদ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয়ের নথি গায়েব: সিআইডি হেফাজতে রাজশাহীর ঠিকাদার
খালেদার বিদেশ যাত্রা: আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের নথি স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ে
পাপুলের স্ত্রী-মেয়ের জামিন আবেদনে নথি জালিয়াতি তদন্তের নির্দেশ
৩ বছর আগে
নকল মাস্ক: শারমিনকে অব্যাহতির আবেদন করে চুড়ান্ত প্রতিবেদন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনা ইউনিটে নকল ‘এন-৯৫’ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলা থেকে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের মালিক শারমিন জাহানকে অব্যাহতির আবেদন করে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: করোনা: মাস্ক পরা নিশ্চিতে রাজধানীতে শিগগির ভ্রাম্যমাণ আদালত
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক মোর্শেদ হোসেন খান গত ২৮ এপ্রিল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে অব্যাহতি দিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: গুলশানে ডিএনসিসি’র ভ্রাম্যমাণ আদালত, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
এর আগে বিএসএমএমইউয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার মজুমদার বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (তৎকালীন) উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার নির্দেশে গত বছরের ২৩ জুলাই রাতে শাহবাগ থানায় শারমিনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন প্রক্টর মোজাফফর আহমেদ।
আরও পড়ুন: গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে বরিশালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
মামলা থেকে জানা যায়, বিএসএমএমইউয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া শুরু হয় গত ৪ জুলাই থেকে। সেখানে প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যাচে যারা মাস্ক সরবরাহের দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের দেয়া এন-৯৫ মাস্ক নিয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
৩ বছর আগে
জাতীয় পুরস্কার জয়ী সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদ আর নেই
জাতীয় পুরস্কার জয়ী সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদ মারা গেছেন।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনার চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
ফরিদ আহমেদ এবং তার স্ত্রী করোনা পজিটিভ ধরা পরার পর ২৫ মার্চ চিকিৎসার জন্য প্রথমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরে ফরিদ আহমেদের অবস্থার অবনতি ১১ এপ্রিল তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) স্থানান্তরিত করা হয়। করোনার পাশাপাশি তিনি কিডনি এবং ডায়াবেটিস জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী মিতা হক আর নেই
ফরিদ আহমেদের মেয়ে দুর্দানা ফরিদ জানান, আজ (মঙ্গলবার) বিকালে আসর নামাজে পর তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে কলাবাগান ল’ কলেজের মাঠে। জানাজা শেষে তাকে রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।
আরও পড়ুন: করোনায় এনটিভির যুগ্ম বার্তা সম্পাদকের মৃত্যু
গুণী এই সংগীত পরিচালক ২০১৭ সালে ‘তুমি রবে নিরবে’ চলচিত্রে সংগীত পরিচালনার জন্য পান জাতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তার সুর করা আলোচিত গানের মধ্যে রয়েছে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির আবহ সংগীত ‘কেউ কেউ অবিরাম চুপি’। এছাড়াও চ্যানেল-আই এর ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ এবং সেরা কণ্ঠের আবহ সংগীত পরিচালনার কাজও তার করা।
আরও পড়ুন: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী মারা গেছেন
৩ বছর আগে
খালেদা জিয়ার সাজা আরও ৬ মাস স্থগিত করা হতে পারে: আইন মন্ত্রণালয়
দুটি দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ পূর্বের শর্তে আরও ৬ মাস বাড়ানোর সুপারিশ করে মতামত দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
৩ বছর আগে
সাংবাদিকদের করোনা পরীক্ষায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে বিশেষ ব্যবস্থা: তথ্যমন্ত্রী
সাংবাদিকদের কারও করোনাভাইরাস সংক্রান্ত পরীক্ষার প্রয়োজন হলে তাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
৪ বছর আগে
বিএসএমএমইউ অধ্যাপক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধ্যাপক শহীদুল্লাহ শিকদার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
৪ বছর আগে