বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক দাবি করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) মানবিক কারণে তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাব এক বিবৃতিতে আরও বলেছে, বিএনপি চেয়ারপার্সনের বর্তমান শারীরিক অবস্থায় প্রয়োজনীয় আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাবে দেশে তাকে চিকিৎসা দেওয়ার মতো আর কিছু বাকি নেই।
ড্যাবের সভাপতি হারুন আল রশীদ ও মহাসচিব আবদুস সালামের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন কারণ খালেদা জিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও তাকে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।’
বিবৃতিতে তারা বলেন, খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অত্যন্ত অসুস্থ এবং মেডিকেল বোর্ডের অধীনে এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ৭৯ বছরে পা দিলেন
ড্যাব নেতারা বলেন, মেডিকেল বোর্ডের মতে খালেদা এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। কারণ, বাংলাদেশে তার চিকিৎসা নিশ্চিত করার অন্য কোনো কিছুই বাকি নেই।
তারা বলেন, ‘তাই খালেদা জিয়ার জীবন বাঁচাতে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে অ্যাডভান্স সেন্টারে নেওয়া খুবই জরুরি। তাই রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে মানবিক বিবেচনায় প্রবীণ খালেদা জিয়াকে যত দ্রুত সম্ভব বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
ড্যাব নেতারা খালেদা জিয়াকে জামিন পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করে তাকে মুক্ত করতে এবং বিদেশে তার চিকিৎসার পথ সুগম করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য খালেদাকে বিদেশে পাঠানো জরুরি: ফখরুল
তা না হলে তার খারাপ কিছু ঘটলে সরকার দায়ী থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
তারা আরও বলেন, ‘তার অবস্থা সম্পর্কে মেডিকেল টিম যা বলেছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা মনে করি দেশের একজন শীর্ষ রাজনীতিবিদ, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, একজন প্রবীণ নাগরিক ও নারী এবং একজন বন্দী হিসেবে যথাযথ চিকিৎসা পাওয়া তার ন্যূনতম মানবাধিকারের অংশ।’
গত ৯ আগস্ট খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং তখন থেকে তিনি হাসপাতালের একটি কেবিনে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ারে ভর্তি খালেদা জিয়া