তিনি বলেন, ‘সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সম্প্রচার বিল করেছে...কেন আপনারা এমন আইন করেছেন? এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য হলো সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে গণমাধ্যমকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়া।’
শুক্রবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, নির্বাচনের আগে গণমাধ্যম যাতে সরকারের সমালোচনা করতে না পারে এবং টেলিভিশন ও সংবাদপত্র যাতে শুধু সরকারের উন্নয়নের গুণগান করে সে জন্য দুটি নিবর্তনমূলক আইন করা হয়েছে।’
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কারামুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই আলোচনার আয়োজন করে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিক ও জনগণকে আতঙ্কিত করে তুলেছে।
তার অভিযোগ, দেশে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের মতো কোনো পরিবেশ নেই। কারণ, সরকার গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে এবং বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে তাদের বিরুদ্ধে ‘গায়েবি’ মামলা দিচ্ছে।
নবগঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কারণে সরকারের আঁতে ঘা লেগেছে দাবি করে মওদুদ বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি যে আমাদের ফ্রন্ট গঠনের পর থেকে সরকার বিচলিত হয়ে পড়েছে। তাদের বিভিন্ন বক্তব্যে তা প্রকাশ পেয়েছে...তারা গুরুতরভাবেই জাতীয় ঐক্য ও জনগণকে ভয় পায়।’
বিএনপির এ নেতা সরকারকে হুমকি দিয়ে বলেন, তারা জনগণকে ঐক্যফ্রন্টে যুক্ত করে এর মাধ্যমে সরকারের পতন নিশ্চিত করবেন।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন যদি অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয় তাহলে বর্তমান মন্ত্রিসভার কোনো সদস্য জয়লাভ করতে পারবেন না। ‘এ জন্যই সরকার কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না।’
আগামী ২৩ অক্টোবর সিলেটে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ করার অনুমতি না দেয়ায় সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এতেই প্রকাশ পায় যে সরকারের জনপ্রিয়তা কত হ্রাস পেয়েছে।
মওদুদের অভিযোগ, ক্ষমতাসীন দল যেকোনো জায়গায় সমাবেশ ও পথসভা করতে পারলেও বিএনপিকে একই ধরনের কর্মসূচি পালন করতে দেয়া হচ্ছে না। বিএনপি নেতা-কর্মীরা দেশের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন তিনি।
সরকারের সব বাধা দূর করতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারকে সমঝোতায় আসতে বাধ্য করার জন্য আমাদের অবশ্যই রাজপথ দখল এবং কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’