মামলায় তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের প্রথম জেলা যুগ্ম জজ খাইরুল আমিনের আদালতে এ মামলা করেন। আদালতে লিখিত আবেদন করা হলেও এ ব্যাপারে কোন শুনানি হয়নি।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য ও ডা. শাহাদাত হোসেনের আইনজীবি দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: চসিকের মেয়র নির্বাচিত হলেন রেজাউল করিম চৌধুরী
চসিক নির্বাচন ‘চূড়ান্ত তামাশা’ ছাড়া কিছু নয়: বিএনপি
মামলায় সিইসি, সচিব ও চসিক মেয়র ছাড়াও অন্য যাদের বিবাদী করা হয়েছে তারা হলেন- চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং রিটার্নিং অফিসার, মেয়র প্রার্থী আবুল মঞ্জুর, এমএ মতিন, খোকন চৌধুরী, মোহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ ও জান্নাতুল ইসলাম।
অভিযোগ দায়েরের পর চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, চসিক নির্বাচনে ভোটের দিন দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪-৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু দিন শেষে সাড়ে ২২ শতাংশ ভোট দেখানো হয়েছে। নির্বাচনের দিন প্রতিঘণ্টার ভোটের হিসাব দেখতে চেয়েছিলাম। এজন্য ৭ দিন সময়ও দিয়েছি। কিন্তু ১০ দিন পরেও এই তথ্য কমিশন দিতে পারেনি। নির্বাচনে ৪ হাজার ৮৮৫টি ইভিএম ব্যবহার করা হয়। সেখানে মাত্র ১০টি বুথে ইভিএমের প্রিন্টেড কপি দেয়া হয়েছে। যদি ১০টি বুথের ইভিএমের প্রিন্টেড কপি থাকে তাহলে সবগুলো ইভিএমের প্রিন্টেড কপি থাকার কথা। কিন্তু তারা এটা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচন: বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আটক
প্রাণহানি, সংঘর্ষ, কেন্দ্র দখলে শেষ হলো চসিক নির্বাচন
চসিক নির্বাচন: নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ২
ভোট কারচুপির অভিযোগ এবং বির্তকিত নির্বাচন বাতিল করে নতুন তফশিল ঘোষণা মাধ্যমে নিরপেক্ষভাবে পুননির্বাচনের দাবিতে ৯ জনকে বিবাদী করে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, হানাহানি, সংর্ঘষ ও ভোট জালিয়াতির অভিযোগের মধ্যদিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে তিন লাখ ৬৯ হাজার ২৮৪ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী।