তিনি বলেন, ‘আমাদের পাঁচ দফা দাবির বিষয়ে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। বর্তমান সরকারকে অপসারণ করতে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উপযুক্ত কর্মসূচি দেয়া হবে।’
শুক্রবার এক আলোচনা সভায় তিনি আরো বলেন, ‘পরিস্থিতি আমাদের কর্মসূচির ধরন নির্ধারণ করবে। আপনারা আগামী এক মাসে অনেক পরিবর্তন দেখতে পাবেন।’
বিএনপিপন্থী সংগঠন ‘চেতনায় বাংলাদেশ’ আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ বলেন, বর্তমান সরকারকে সরাতে পুরো জাতি এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়াকে নষ্ট করতে সরকার ষড়যন্ত্র করলেও আগামী দিনগুলোতে তা আরো শক্তিশালী হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকারকে সরানোর জন্য জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই। তাই আমাদের দাবি আদায়ে সব রাজনৈতিক দল, তাদের নেতা ও সর্বস্তরের জনগণকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।’
বিএনপির এ নেতা সতর্ক করে দেন, সরকার যতই একতরফাভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাক না কেন, এবার তারা একতরফা নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে না।
মওদুদ দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রে ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে অসত্য তথ্য দিয়ে বলেছেন যে আগামী নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশে সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে। ‘দেশে এখন কোনো সাধারণ নির্বাচনের জন্য ন্যূনতম পরিবেশ নেই।’
তার অভিযোগ, বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের পাইকারি হারে গ্রেপ্তার ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে সরকার দেশে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার ‘অশুভ পরিকল্পনা’ নিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার দেশে ন্যূনতম নির্বাচনী পরিবেশের বিরাজ চায় না। কারণ বিএনপিকে বাদ রেখে আরেকটি একতরফা নির্বাচন করার খারাপ উদ্দেশ্য রয়েছে তাদের।
সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদের মন্তব্য, সরকার সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের আগে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। ‘সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে কিছু বলা নেই। তারা মানুষকে শুধুমাত্র বিভ্রান্ত করার জন্য এটা বলছে।’