কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদান ও ২৬ ফেব্রুয়ারি মহানগর বিএনপির মানববন্ধন পালন।
মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নামফলকে শহীদ জিয়ার নাম পুনরায় স্থাপন করার জন্য চট্টগ্রামের প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান। অন্যথায় ২৫ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনারকে স্মারকলিপি প্রদান এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি জিয়া স্মৃতি যাদুঘরের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে।’
লিখিত বক্তব্যে শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবের পর জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নামফলকে কালি লাগিয়ে জিয়া’র নাম মুছে দেয়া হয়েছে। এছাড়া শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। এই জাদুঘর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। আমরা ইতোমধ্যে জাদুঘরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে ম্যুরালের কাপড় সরিয়ে ফেলা এবং নামফলকের কালি মুছে জিয়ার নাম পুনঃস্থাপনের জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছি। অন্যথায় ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা আন্দোলনে নামব।’
মানববন্ধন থেকে পরবর্তী ঘোষণা করা হবে জানিয়ে শাহাদাত বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলন চলবে। জিয়া স্মৃতি জাদুঘরকে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর করার সিদ্ধান্ত (প্রস্তাব) প্রত্যাহার করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ভোট ডাকাতির নির্বাচন’ থেকে দৃষ্টি সরাতে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় তোলা হয়েছে দাবি করে শাহাদাত বলেন, ‘নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব তোলার পরদিন ১২ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ছাত্রফোরাম নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী জিয়া জাদুঘরের নামফলক থেকে প্রকাশ্যে শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলে। তারা শিক্ষা উপমন্ত্রী ও চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরীর ছবি-সম্বলিত ব্যানার টাঙিয়ে দেয়।’
শাহাদাত চট্টগ্রাম নগরীর বিপ্লব উদ্যানে জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙ্গে ফেলার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এই স্থান থেকে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে জিয়াউর রহমান তৎকালীন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে বিদ্রোহের সূচনা করেছিলেন। এটা ভেঙ্গে ফেলার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে- তারা মুক্তিযুদ্ধের লেবাসধারী। আওয়ামী লীগ নেতারা মুখে শুধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলেন। আসলে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না। তাদের চরিত্র দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে হবে।’
নগরীর নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ের সামনের চত্বরে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর এবং বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলের শরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বীরপ্রতীক।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর,কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন. চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট বদরুল আনোয়ার, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিঃ সহ সভাপতি মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন।