ডিসেম্বরের পর নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা করে ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন শেষ করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাষ্ট্রের কিছু সংস্কার প্রয়োজন। পুলিশ, নির্বাচন কমিশন, জুডিসিয়ালসহ ৫-৭টি দপ্তরের সংস্কার করার পর যখন জাতি বুঝবে এখন নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়া প্রয়োজন, তখন নির্বাচন হতে পারে। সেই সময়টা বেশি লাগার কথা নয়।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে জামায়াতের রুকন শিক্ষাশিবিরে যোগদানের আগে এসব কথা বলেন তিনি।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ২০১৪, ১৮ ও ২৪ সালে দেশের সাধারণ মানুষ কোনো ভোট দিতে পারেনি। ভোট দিতে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগ, যুবলীগ সাধারণ মানুষদের বলেছে আপনাদের ভোট হয়েছে।
বর্তমান সরকারের বিষয়ে জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনো দল ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করছে না। যারা রাজনীতি চর্চা করেন তাদের মধ্যে একটি সরকারি দল, অপরটি হচ্ছে বিরোধী দল। সাইকেলের যেমন দুটি চাকা না থাকলে সাইকেল চলে না, ঠিক তেমনি সরকার ও বিরোধী দল না থাকলে রাষ্ট্র চলে না। সমালোচনা রাষ্ট্রের একটি সৌন্দর্য।
আরও পড়ুন: আ. লীগের চরিত্র বদলায়নি, দফায় দফায় ষড়যন্ত্র করছে: জামায়াত আমির
তিনি আরও বলেন, আমরাও সরকারকে বলি আপনাদের প্রশাসনের অভ্যন্তরে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিদায় করুন। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার আহ্বান জানান জামায়াতের সেক্রেটারি।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বিপ্লবের পরেই বর্তমান সরকারের সামনে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ এসেছে। পাল্টা ক্যু, জুডিসিয়াল ক্যু, আনসারকাণ্ড, প্রশাসনের অস্থিরতা, হিন্দু ভাইদের নিয়ে রাজনীতির চেষ্টা হয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দিল্লিতে বসে অরাজকতা করছে। সবই সরকার মোকাবিলা করছে। এগুলো সামনে না আসলে সরকার আরও অনেক কিছুই সংস্কার করতে পারত। সরকার যা করছে তাতে আমরা খুশি (হ্যাপি)।
টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতের আমির আহসান হাবিব মাসুদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জতুল্লাহ, জামালপুর জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুস সাত্তার, টাঙ্গাইল জেলার সেক্রেটারি হুমায়ুন কবির, জেলা নায়েবে আমির খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জামায়াতের সঙ্গে তুরস্কের ইন্টারন্যাশনাল জুরিস্ট ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ