তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে স্নেহ করেন। ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রীর শিকলবাহার জনসভায় আখততারুজ্জামান বাবু ও আমি সেতুর দাবি জানিয়েছিলাম। তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন নতুন সেতু হবে। সেই সেতু আমি করতে পারবে।’
দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন বলেন, ‘আমি সাধারণ রাজনৈতিক কর্মী। ১৯৬৫ সালে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করেছি। ১৯৭৫ সালের দুঃসময়ে মৌলভী সৈয়দের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে সক্রিয় ছিলাম। আমি ছাত্রলীগ, যুবলীগ করেছি। ২৭ বছর দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। আখতারুজ্জামান বাবু ভাইয়ের মৃত্যুর পর থেকে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। আমার হাতে রক্তের দাগ নেই। সন্ত্রাসের মাধ্যমে নয়, ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হতে চাই।’
‘জীবন সায়াহ্নে এসে বলতে চাই, জীবনে কোনো দিন জাসদ করিনি। মূলধারার রাজনীতি করেছি। জিয়া এরশাদের সঙ্গে রাজনীতি করার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছি,’যোগ করেন তিনি।
মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমি বোয়ালখালীতে শিল্পজোন করবো, বেকারদের কর্মসংস্থান করবো, পৌরসভাকে এ গ্রেডে উন্নীত করবো, আওয়ামী লীগের বাইরেও অন্যরা এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে পারবেন।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, উত্তর জেলা সভাপতি এমএ সালাম, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, নঈম উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সংসদ সদস্য ও জাসদ নেতা মঈনুদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুতে এ আসনটি শূন্য হলে নির্বাচন কমিশন আগামী ১৩ জানুয়ারি বোয়ালখালী উপজেলা-চান্দগাঁও, পূর্ব ও পশ্চিম ষোলশহর, পাঁচলাইশ, মোহরা নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপনির্বাচনের জন্য তারিখ ঘোষণা করেন।