মঙ্গলবার বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দিয়েছে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদাকে দেয়া চিঠিটি ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের কাছে হস্তান্তর করে।
বিএনপির অভিযোগ, নয়াপল্টনের ঘটনায় ওই চার কর্মকর্তা প্ররোচনা দিয়েছেন এবং তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন।
বিএনপির দাবি, নয়াপল্টনের ঘটনায় ইসি সচিব, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, সংশ্লিষ্ট জোনের উপ-কমিশনার ও ইসি সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব জড়িত ছিলেন।
বিএনপি চিঠিতে উল্লেখ করে, নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি নিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের দেয়া বক্তব্য বিভ্রান্তিমূলক এবং ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামানের বক্তব্যে ঘটনা ঘটানোর স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
নির্বাচন কমিশন থেকে আচরণবিধি পালন সংক্রান্ত ১৩ নভেম্বরের চিঠির পরই এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে বিএনপি আরও অভিযোগ করে, ‘নির্বাচন কমিশন চিঠির মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির চরম বিঘ্ন সৃষ্টি ও নিরপরাধ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরে সরাসরি ইন্ধন যুগিয়েছে।’
নির্বাচন কমিশনের সচিব, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, সংশ্লিষ্ট জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে জারিকৃত পত্রে স্বাক্ষরকারী ইসির যুগ্ম সচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২) এর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায় বিএনপি।
উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ২৩ পুলিশসহ অর্ধ-শতাধিক আহত হয়।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নয়াপল্টনের সংঘর্ষের ঘটনায় সরকার ও বিএনপি একে অপরকে দোষারোপ করে যাচ্ছে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে লেভেল-প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করাসহ বেশ কয়েকটি দাবি আদায়ের জন্য বিএনপি ইসিকে চারটি চিঠি পাঠিয়েছে।