দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের দেওয়া রায় প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি।
বুধবার (২ আগস্ট) বিএনপি বলেছে, চলমান এক দফা আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই রায় দেওয়া হয়েছে।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশের জনগণ বিচারের নামে বিদ্বেষমূলক প্রহসন প্রত্যাখ্যান করেছে। এই রায়ে সরকার প্রধানের প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, তাদের বর্তমান আন্দোলন যখন দাবানলের মতো সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে, তখন জনগণকে বিভ্রান্ত করার কৌশল হিসেবে এই রায় দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘চলমান আন্দোলন নেতৃত্বহীন করতে আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড দিয়ে বিএনপির চলমান আন্দোলন দমন করা যাবে না। আমরা এই রায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তাদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলায় সাজা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন:বিএনপির আন্দোলনে আ.লীগ গুগলিতে বোল্ড আউট হয়ে গেছে: ফখরুল
ফখরুল অভিযোগ করেন, ‘আদালতে প্রায় ৪৯ লাখ মামলা বিচারাধীন। অথচ এই মামলার কার্যক্রম দ্রুত গতিতে সম্পন্ন হয়েছে, যাতে বোঝা যায় শেখ হাসিনার নির্দেশেই এই রায় দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, এই রায় বিচার বিভাগের রাজনীতিকরণের আরেকটি উদাহরণ। ‘এই নির্দেশিত রায় দেশের গণতন্ত্রকে বিলুপ্ত করার ক্রমাগত ষড়যন্ত্রের অংশ।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ বাংলাদেশকে ‘ডিপ স্টেটে’ পরিণত করেছে: ফখরুল
এর আগে ২০০৭ সালের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি আদালত।
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান লন্ডনে অবস্থানরত তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে এ রায় দেন।
একই সঙ্গে তারেককে ৩ কোটি টাকা ও জুবাইদাকে ৪৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবাইদার কারাদণ্ডের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ