গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মধ্যে বরগুনা সদরের ২ জন, আমতলীর ৩ জন, পাথরঘাটার ২ জন, বামনার ৩ জন, ও বেতাগীর ১ জন রয়েছে। বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার নেতাকর্মী হলেন- আমতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিন ফকির, সহ-সভাপতি মকবুল আহম্মে খান ও উপজেলা ছাত্র দলের সাধারন সম্পাদক মেহেদি হাসান রাকিব। কাটাখালী গ্রামের আ. হালিম মিয়ার ছেলে ও কাটাখালী ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি মো. জামাল মিয়া(৩২), কলাগাছিয়া গ্রামের আ. গনি সর্দারের ছেলে ও উপজেলা যুবদল নেতা জামাল হোসেন(৩০) ও কলাগাছিয়া গ্রামের আ. হক মিস্ত্রীর ছেলে উপজেলা বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. খোকন(৩৫)। বরগুনা জেলা যুবদলের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম ও জেলা ছাত্রদলের সদস্য পাভেল মল্লিক। পাথরঘাটা উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি শাহিন মোল্লা ও পৌর যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন। বেতাগী ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আরিফ হোসেন।
এদিকে তফসিলের আগে হঠাৎ এই গ্রেপ্তারে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বরগুনার বিএনপির নেতাকর্মীরা। অনেকে গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন গেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী বলেন, সরকার আবারও ক্ষমতায় আসার নীল নকশা করছে, তারই ধারাবাহিকতায় এই গ্রেপ্তার কার্যক্রম শুরু করেছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ৫ জানুয়ারির মতো আবারও সরকার একতরফাভাবে নির্বাচন করতে পুলিশ বাহিনী দিয়ে গ্রেপ্তার শুরু করেছে। তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে যাতে নেতাকর্মীদের দমিয়ে রাখা যায় তাই এই গ্রেপ্তার।
বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হাসান ইউএনবিকে বলেন, আমরা নিয়মিত মামলার আসামি গ্রেপ্তার করছি। কে কি বললো সেটা আসলে কোনো বিষয় না।