তিনি বলেন, ‘সংকট কেন গভীর তা উপলদ্ধি এবং দেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ পথরেখা চিহ্নিত করতে চাইলে আমাদের চারটি বিষয়ে নজর দিতে হবে। সেগুলো হচ্ছে- বর্তমান শাসনের রূপ, সমাজে নতুন শ্রেণি বিন্যাসের প্রতিক্রিয়া, সমাজ ও রাজনীতিতে ইসলামপন্থীদের প্রভাব এবং ভারতের ভূমিকা।’
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজুল ইসলাম লেকচার হলে রিডিং ক্লাব ট্রাস্ট এবং জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ গতিপ্রকৃতি’ শীর্ষক ২৩তম মাসিক পাবলিক লেকচারে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানীয় ফেলো ড. রওনক জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলী রীয়াজ বলেন, দেশে ‘হাইব্রিড রেজিম’ ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে। এই ব্যবস্থায় সবার ভোটের অধিকার ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এক ‘বিরাট উদ্বেগের বিষয়’।
ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচনই একমাত্র বৈধ পথ উল্লেখ করে ড. রীয়াজ বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন ও সংবিধানের ১৫তম সংশোধনীর পর এক নতুন ধরনের রাজনৈতিক ব্যবস্থার উত্থান হয়েছে, যেখানে নির্বাচনকে গণতন্ত্র নয় কর্তৃত্ববাদের উপায় বানিয়ে ফেলা হয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর এখন ক্ষমতাসীনদের নির্বাচনে পরাজিত করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে বলেও মত দেন তিনি।