'ভারত নজর দিয়েছে কীভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করা যায়। যে কারণে তারা ষড়যন্ত্র করছে। আর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই তারা আন্তর্জাতিক নিয়মাবলী না মেনে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে,' বলেন তিনি।
এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য প্রদানকালে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতি ভারতের বর্তমান আচরণ মেনে নেয়া যায় না। ভারতেকে একটি ফাইনাল ওয়ার্নিং দেয়া প্রয়োজন। এর বিরুদ্ধে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে। চলুন সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে ভারতের বিরুদ্ধে আরেকটি যুদ্ধ ঘোষণা করি।’
এসময় তিনি ‘ভারতকে আধিপত্যবাদী মনোভাবের জন্য শিক্ষা দিতে’ ট্রানজিট সুবিধা বন্ধ করে দিতে সরকারকে পরামর্শ দেন।
জাফরুল্লাহ অভিযোগ করেন, ভারত সুকৌশলে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে গুলশানে ‘বন্দি’ এবং শেখ হাসিনাকে আমলা ও ‘র’ এর অনুসারীদের দ্বারা ‘আবদ্ধ’ করে রেখেছে।
‘এই অবস্থা চলতে পারে না। ভারতকে অবশ্যই আমাদের উপযুক্ত জবাব দিতে হবে।’
মানববন্ধনে আড়াই মিনিট বক্তব্য দেয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন জাফরুল্লাহ। পরে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তিনি।
সীমান্ত হত্যা, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং সরকারের জরাজীর্ণ পররাষ্ট্র নীতির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম মানববন্ধনের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, জনসাধারণের অর্থ লুট এবং বিদেশে পাচার করার কারণে দেশের অর্থনীতি এখন খারাপ অবস্থার মধ্যে রয়েছে। ‘চোর, ডাকাত ও লুটেরারা জনগণের টাকা বিদেশে পাঠাচ্ছে।’
তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতাসীন দলের লোকদের দুর্নীতি ও লুণ্ঠন রোধে পদক্ষেপ নিচ্ছে না কারণ কেবল ক্ষমতায় থাকতে তারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
মান্না জনগণকে সুসংহত ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে রাস্তায় নামার আহ্বান জানান। ‘আমরা যদি তা করতে পারি তবে আমরা অবশ্যই সফল হবো।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বর্তমান সরকার ভারতের সাথে রক্তের সম্পর্কের দাবি করলেও বিএসএফ প্রায়শই সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা করে।
‘আজ (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়েছে। তবে গতকালও (বুধবার) সীমান্ত হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি এর জন্য দায়ী,’ বলেন তিনি।