সীমান্ত হত্যা
সীমান্ত হত্যা কারোই কাম্য নয়: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, হত্যা কারোই কাম্য নয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সু-সম্পর্ক রয়েছে। তারাও চান না সীমান্তে হত্যাকাণ্ড হোক।
তিনি বলেন, আমাদেরও কাম্য নয়। বিগত বছরের তুলনায় সীমান্ত হত্যা এ বছরে অনেক কম হয়েছে। দুই দেশে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে এছাড়া সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নিয়ে আসা হবে।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাট চার্চ অভ্ গড উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিদেশি মিশনের সঙ্গে নথি শেয়ারের কারণ জানালেন শাহরিয়ার আলম
ইতোপূর্বে সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের শিকার লাশ ফেরতের বিষয়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী আলোচনা করে থাকেন। করোনার সময় বন্ধ থাকা দুই দেশের জেলা প্রশাসক পর্যায় আলোচনা পুনরায় চালু করা হবে। সেখানে এসব বিষয়ও আলোচনা হতে পারে। তবে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ না করতে সীমান্তবাসীর প্রতি আহ্বান জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এক সময় মোগলহাট স্থলবন্দর দিয়ে কয়লাসহ বিভিন্ন পণ্যের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল। যা পুণরায় তৈরি করতে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। পুরানো যত যোগাযোগের মাধ্যম রয়েছে সবগুলো পুনরায় চালু করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ভারত সরকার আন্তরিক হলে মোগলহাট স্থলবন্দর চালু করা সম্ভব হবে। এ নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা হয়েছে।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসাবে চার্চ অভ্ গড উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি ব্যবস্থা করতে আমার বাবার নামে একটি ট্রাস্টি গঠন করব। ২৫ লাখ টাকার তহবিল দেয়া হবে। সেখান থেকে মিশন স্কুলের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করা হবে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকট দূর করাসহ ডিজিটাল ল্যাব গঠন করা হবে।
এতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না পেলে প্রয়োজনে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে গড়ে তুলব। বিদ্যালয়টিতে আধুনিক যুগোপযোগী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী।
চার্চ অভ্ গড উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহিদার রহমানের সভাপতিত্বে ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, সিআইবির জাতীয় পরিচালক খ্রাস্টাবেল কালাইসেলভি, লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন, লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন, বিদ্যালয়টির প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক অনিমেষ বৈদ্য ও প্লাটিনাম জুবিলি উদযাপন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সালেহ বিন সামস প্রমুখ।
এর আগে চার্চ অভ্ গড উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৫ বছর উদযাপনে প্রকাশিত স্মরণিকা 'ঐক্যতান' এর মোড়ক উন্মোচন করেন প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
এরপর কেক কেটে ও বেলুন উড়িয়ে দুই দিনব্যাপী বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তিনি।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে তিন দিনের সফরে লালমনিরহাট পৌঁছান তিনি।
শনিবার বিকালে জেলা কালেক্ট্রেট মাঠে জেলা চেম্বার অব কমার্সের আয়োজনে বাণিজ্যের উদ্বোধন করবেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি সোমবার সকালে লালমনিরহাট ত্যাগ করবেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: কোনো দল নির্বাচনে অংশ না নেয়ার দায় সরকার নেবে না: শাহরিয়ার আলম
‘বিজিবি সতর্ক, মিয়ানমার থেকে এখন কেউ ঢুকতে পারবে না’: শাহরিয়ার আলম
সীমান্ত হত্যা ভারতের জন্য লজ্জাজনক: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আবারও বলেছেন, সর্বোচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে যে কোনও হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত দুঃখজনক।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে নিয়মিতভাবে মানুষ নিহত হচ্ছে। সীমান্তে দুর্ঘটনা ঘটলেও সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে যে তারা কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটাতে চান না।’
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থের তুলনায় কাজ উন্নত হয় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সবসময় বলি...আমি আগেও বলেছি...এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক এবং ভারতের জন্য লজ্জাজনক। তারা যদি তাদের (ভারতীয় পক্ষ) জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, তাহলে তা তাদের জন্য লজ্জাজনক এবং দুর্ভাগ্যজনকও।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ভারতে রাষ্ট্রীয় সফর করেন।
চার দিনের সফর শেষে দেশে ফেরার পর শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির শীর্ষ বৈঠক নিয়ে প্রচারিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সীমান্তে প্রাণহানির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ায় দুই শীর্ষ নেতা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। দুই পক্ষই সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন।
উভয় পক্ষ অস্ত্র, মাদকদ্রব্য, জাল মুদ্রার চোরাচালানের বিরুদ্ধে এবং বিশেষ করে নারী ও শিশুদের পাচার রোধে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জোর প্রচেষ্টা প্রশংসার সঙ্গে উল্লেখ করেছে।
তবে সর্বশেষ ঘটনায়, রবিবার ভোরে সাতক্ষীরা সদরের খৈতলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক খাদ্য সংকটে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভার্জিনিয়ায় বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সীমান্ত হত্যা বিব্রতকর: শ্রিংলাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জোর দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সদিচ্ছা ও চমৎকার সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা বিব্রতকর অবস্থায় রয়ে গেছে।
মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি বিষয়টি দেশটির প্রাসঙ্গিক সংস্থার কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
‘ভালো প্রতিবেশীর’ প্রমাণ হিসেবে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি এবং অন্যান্য অভিন্ন নদীর পানির সম বণ্টন চুক্তির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার আশাবাদ পুনর্ব্যক্ত করেন।
এর আগে দু’দেশের সমঝোতার মাধ্যমে অনেক অসামান্য সমস্যার সমাধানের কথা স্মরণ করেন ড. মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পারস্পরিক সুবিধার জন্য দু’দেশের মধ্যে শক্তিশালী ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। তিনি দু’দেশের বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে মুজিবনগর থেকে কলকাতাকে সংযোগকারী ‘স্বাধীনতা সড়ক’ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ভারতীয় পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের বাংলাদেশ সফর দ্বিপক্ষীয় স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ: ভারত
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। চলমান কোভিড-১৯ মহামারিতেও উভয় পক্ষই চলমান সহযোগিতা ও উচ্চ পর্যায়ের সম্পৃক্ততার বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।
সীমান্ত হত্যা দুঃখজনক, এটি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে: দোরাইস্বামী
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তার দেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, এটি দুঃখজনক, এটিকে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি সীমান্ত হত্যা দুঃখজনক এবং এটা বন্ধ করতে হবে। কিন্তু আমাদের এটিকে সঠিকভাবে সংজ্ঞায়িত করতে হবে, সীমান্তে যারা আহত বা নিহত হয় তারা দু’দেশেরই।
হাইকমিশনার বলেন, কেউ চায় না যে সীমান্তে কেউ আঘাত করুক। মানুষ কেন মানব পাচারসহ অবৈধ কার্যকলাপ চালাচ্ছে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার উপায় খুঁজে বের করার জন্য উভয় পক্ষের আরও শক্তিশালী প্রচেষ্টা দরকার।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এবং রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম ফর ডেভেলপিং কান্ট্রিজের (রিস) যৌথভাবে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারতের ৫০ বছরের অংশীদারত্ব: আগামী ৫০ বছরের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁও সীমান্ত থেকে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
হাইকমিশনার সীমান্ত এলাকায় আরও বেশি বর্ডার হাট, আন্তঃসীমান্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানের উপর গুরুত্ব দেন।
অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
পড়ুন: সীমান্ত হত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক আইনে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান বিএনপির
আমরা কোনো সীমান্তেই প্রাণহানি চাই না: ভারতীয় হাইকমিশনার
সীমান্ত হত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক আইনে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান বিএনপির
ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশিদের অগ্রহণযোগ্যভাবে হত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন,দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থা সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা, সিলেট ও লালমনিরহাটে তিন দিনের মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
তিনি জানান, কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৮ নভেম্বর লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে এবং পরদিন সিলেটের কানাইঘাটে তাদের দল মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে।
আরও পড়ুন: সীমান্ত হত্যা বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্যজনক আর ভারতের জন্য লজ্জা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও জানান, সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে আগামী ২০ নভেম্বর রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনেও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
ফখরুল বলেন,তাদের বৈঠকে কালিগঞ্জ ও কানাইঘাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ)কর্তৃক সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশিদের হত্যার তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।
সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে ভারত সীমান্তে গুলি করে বাংলাদেশিদের হত্যার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: আমরা কোনো সীমান্তেই প্রাণহানি চাই না: ভারতীয় হাইকমিশনার
বিএনপি নেতা বলেন, সীমান্ত হত্যা ইস্যুতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের বক্তব্যের সমালোচনা করেছে তাদের স্থায়ী কমিটি। তিনি বলেন, চোরাচালান বন্ধে সীমান্তে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা কোনো অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায় না।আমরা সরকারকে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
সীমান্ত হত্যা বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্যজনক আর ভারতের জন্য লজ্জা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন রবিবার সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বলেন,এটি ভারতের জন্য লজ্জার বিষয়। আর বাংলাদেশিদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক যে তাদের জীবন হারাতে হচ্ছে।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন,আমি সবসময়ই বলি, এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক এবং এটা ভারতের জন্য লজ্জার বিষয়। আমার কাছে এ বিষয়ে অন্য কোনো উত্তর নেই।
ড. মোমেন বলেন, দুই দেশের সরকার প্রধানসহ বিভিন্ন পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, দুই দেশ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কোনো হত্যাকাণ্ড দেখতে চায় না এবং কোনো প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হবে না বলে মৌখিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সময়ে সময়ে এটি ঘটে চলছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সঙ্কটে ফ্রান্স বাংলাদেশের পাশে থাকবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, এই বছরের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময়,উভয় নেতারাই একটি শান্ত, স্থিতিশীল ও অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর সীমান্ত ব্যবস্থাপনার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছিলেন।
উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে যে সীমান্তে যে কোনও মৃত্যু উদ্বেগের বিষয় এবং যৌথ বিবৃতি অনুসারে, সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জনমুখী পদক্ষেপ বাড়ানো ও বেসামরিক নাগরিকদের এই ধরনের মৃত্যু শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারকে বিব্রত করতে গুজব ছড়ানো হচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে ফেলানীর বাড়িতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী
সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ফেলানী খাতুনের বাড়ির উঠানে আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সীমান্ত হত্যা নিয়ে কেউ সাফাই গাইতে চায় না: ভারত
সীমান্ত হত্যা নিয়ে কেউ সাফাই গাইতে চায় না উল্লেখ করে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যাকাণ্ড পুরোপুরি বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে ভারত।
বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করার চেষ্টা করছে ভারত: জাফরুল্লাহ
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বৃহস্পতিবার বলেছেন, ভারতকে শক্তিশালী বার্তা দেয়া উচিত। কারণ তারা বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করার চেষ্টা করছে।
সীমান্ত হত্যার বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধান চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধান দেখতে চায় বাংলাদেশ সরকার।