নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সড়কের দু'পাশে দেওয়া কাঁটাতারের ব্যারিকেড সরিয়ে নিয়েছে পুলিশ। এর অর্থ দলটির কার্যালয় আবার খোলার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।
তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কলাপসিবল গেট এখনো বাইরে থেকে তালাবদ্ধ থাকায় মঙ্গলবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মীদের দলীয় কার্যালয় এলাকায় আসতে দেখা যায়নি।
গত ২৯ অক্টোবরের পর থেকে আগের দিনগুলোর মতো মঙ্গলবারও বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিএনপি কার্যালয়ের কাছে হোটেল ভিক্টরির সামনে এখনও কিছু পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার(১৪ নভেম্বর) ভোরে কাঁটাতারের ব্যারিকেড সরিয়ে মতিঝিল মডেল থানার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, রাজধানীর নয়াপল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি নিজেরাই তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের ডাকা চতুর্থ ধাপের দ্বিতীয় দিনের অবরোধ চলছে
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আহতদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বিএনপি নেতারা চাইলে অফিসে বসে তাদের কার্যক্রম চালাতে পারেন এবং আমাদের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই।’
তিনি বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে সারা বছরই বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশ মোতায়েন থাকে।
তিনি বলেন, ‘নিয়মিত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে পুলিশ সেখানে পাহারা দিচ্ছে। গত ২৮ অক্টোবর দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিএনপি। তবে তারা চাইলে অফিসে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন।’
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির ব্যাপক সংঘর্ষের পর বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ঘোষণা বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর
পরে গত ২৯ অক্টোবর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বিএনপি কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের এলাকাগুলো 'ক্রস করবেন না' লেখা ক্রাইম সিন টেপ দিয়ে ঘিরে রাখে।
সিআইডি সদস্যরা ১১ ধরনের আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠায়।
এর দুই দিন পর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ক্রাইম সিন হলুদ টেপ অপসারণ করা হলেও পুলিশ কার্যালয়ের দুই পাশের রাস্তায় কাঁটাতারের ব্যারিকেড বসিয়েছে।
নয়াপল্টনে বিএনপির বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ শুরুর দেড় ঘণ্টা পর কাকরাইলে ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতাকর্মী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এক পর্যায়ে নয়াপল্টন ও এর আশেপাশের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয় এবং কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: তারেক ও বিএনপিকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তার অসহায়ত্বের বহিঃপ্রকাশ: রিজভী